আয়কর-ভ্যাট কর্তনের সংশোধিত হার ২০২৫ । ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিভিন্ন বিলে VAT TAX কত হবে?
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিভিন্ন বিলে আয়কর-ভ্যাট কর্তনের সংশোধিত হার প্রকাশিত হয়েছে-আয়কর-ভ্যাট কর্তনের সংশোধিত হার ২০২৫
ট্যাক্স ভ্যাট কর্তনকারী কর্তৃপক্ষ কে? –লাদেশে ট্যাক্স ও ভ্যাট কর্তনকারী কর্তৃপক্ষ হলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) হলো বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি সংস্থা। এটি দেশের রাজস্ব প্রশাসন ও রাজস্ব নীতি প্রণয়নের জন্য দায়ী।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্স ও ভ্যাট সংগ্রহ করে, যার মধ্যে রয়েছে:- আয়কর
- মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট)
- কাস্টমস শুল্ক
- সম্পূরক শুল্ক
বিবিধ ভ্যাট হার কত? বাংলাদেশে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এর হার বিভিন্ন পণ্য এবং পরিষেবার জন্য ভিন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত, ভ্যাটের আদর্শ হার ১৫%। তবে, কিছু পণ্য ও পরিষেবার ক্ষেত্রে এই হার কম বা বেশি হতে পারে।
বিভিন্ন ধরনের ভ্যাট হার নিচে দেওয়া হলো:- ১৫%: এটি ভ্যাটের আদর্শ হার। বেশিরভাগ পণ্য এবং পরিষেবার ক্ষেত্রে এই হার প্রযোজ্য।
- ০%: রপ্তানির ক্ষেত্রে ভ্যাটের হার ০%।
- বিভিন্ন সেবার ক্ষেত্রে ভ্যাটের হার ভিন্ন। যেমন:
- এসি হোটেল (আবাসিক এবং খাবার): ১৫%
- নন-এসি হোটেল: ৯%
- রেস্তোরাঁ: ১৫%
- নির্মাণ সংস্থা: ৪%
- বিজ্ঞাপন সংস্থা: ১৫%
- প্রিন্টিং প্রেস: ১০%
কোন ক্যাটাগরিতে যদি ভ্যাট কর হার না পড়ে তবে কোন হারে ভ্যাট বা কর কর্তন হবে / বিবিধ হার প্রযোজ্য হইবে অর্থাৎ ১৫% হারে ভ্যাট কর্তন করতে হবে এবং কর ৫% প্রযোজ্য
কর্তনকৃত ভ্যাট কত দিনের মধ্যে জমা দিতে হয়? দেশে কর্তনকৃত ভ্যাট জমা দেওয়ার সময়সীমা নির্দিষ্ট কিছু নিয়মের উপর নির্ভরশীল। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হলো: সাধারণত, উৎসে কর্তনকৃত ভ্যাট পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়। মূসক-১২খ ফরম: ভ্যাট কর্তনের পর, কর্তনকারী কর্তৃপক্ষকে ‘মূসক-১২খ’ ফরম পূরণ করে সেবা প্রদানকারীকে দিতে হয়। এই ফরমটি কর্তনকৃত ভ্যাটের একটি প্রমাণপত্র হিসেবে কাজ করে। ট্রেজারি চালান: কর্তনকৃত ভ্যাট ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দিতে হয়।
Caption: VAT TAX Rate 2025 pdf
নতুন ভ্যাট হার ২০২৫ । উৎসে কর সর্বোচ্চ ৫% কর্তন করা হয়
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী ১০%
- আপ্যায়ন ব্যয় ( এসি হোটেল) (রেস্তোরা) ১৫%
- আইন সংক্রান্ত ব্যয় ১৫%
- প্রশিক্ষণ/সেমিনার/কনফারেন্স ব্যয় ভ্যাট কর্তনের হার১৫%
- কুরিয়ার ১৫%
- ইন্টারনেট ৫%
- প্রচার-বিজ্ঞাপন ও পেপার বিজ্ঞাপন ১৫%
- বইপত্র সাময়িকী ১০%
- প্রকাশনা ১৫%
- অফিস ভবন ভাড়া ১৫%
- আউটসোর্সিং/মানব সম্পদ সরবরাহ ১৫%
- পরিবহন ব্যয় (অন্যান্য পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে) ১৫%
- প্রশিক্ষণ ১৫%
- পথ্য সামগ্রী 9.0%
- স্বাস্থ্যবিধান সামগ্রী ১০%
- নিরাপত্তা সেবা ১৫%
- কম্পিউটার সমাগ্রী ১০%
- মুদ্রণ ও বাঁধাই ১৫%
- স্ট্যাম্প ও সিল ১০%
- অন্যান্য মনিহারি ১০%
- ব্যবহার্য সামগ্রী ১০%
- পোষাক ১০%
- সন্মানী অনুষ্ঠান/উৎসবাদি ১৫%
- মোটরযান মেরামত ১৫%
- আসবাবপত্র মেরামত ১৫%
- কম্পিউটার মেরামত ১৫%
- অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি মেরামত ১৫%
- আবাসিক ভবন ৭.৫%
- অনাবাসিক ভবন ৭.৫% অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা ৭.৫%
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সরঞ্জামাদি ১৫%
- কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক ক্রয় ১০%
- টেলিযোগাযোগ সামগ্রী ১০%
- বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি ১০%
- গবেষনার সরঞ্জামাদি ১০%
- অফিস সরঞ্জামাদি ১০%
- আসবাবপত্র ক্রয় ১৫%
- অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি ১০%
- কম্পিউটার সফটওয়্যার ১০%
কোন কোন খাতে ভ্যাট অব্যাহতি রয়েছে?
বাংলাদেশে বেশ কিছু খাতে ভ্যাট অব্যাহতি রয়েছে। নিচে কিছু উল্লেখযোগ্য খাত উল্লেখ করা হলো: মৌলিক খাদ্যপণ্য- চাল, ডাল, আটা, ময়দা, তেল, লবণ, ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের উপর ভ্যাট অব্যাহতি রয়েছে। জীবন রক্ষাকারী ওষুধ- জীবন রক্ষাকারী ওষুধের একটি বড় তালিকা ভ্যাট অব্যাহতি প্রাপ্ত।- কৃষি খাত: কৃষি সরঞ্জাম এবং কৃষি পণ্যের উপর প্রায়শই ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়।
- শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা: শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক পরিষেবাগুলোতে সাধারণত ভ্যাট অব্যাহতি থাকে।
- গণপরিবহন: গণপরিবহনের উপর ভ্যাট অব্যাহতি রয়েছে।
- রপ্তানি: রপ্তানি করা পণ্য এবং পরিষেবাগুলোর উপর ভ্যাট অব্যাহতি থাকে।
- এই তালিকা পরিবর্তনশীল এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সময়ে সময়ে পরিবর্তন করতে পারে। সর্বশেষ তথ্যের জন্য, এনবিআর ওয়েবসাইট দেখুন।