কোরবানির পশুর হাটে ও কোরবানি কালীন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার নিমিত্তে গাইডলাইন। - Technical Alamin
বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার ২০২৪

কোরবানির পশুর হাটে ও কোরবানি কালীন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার নিমিত্তে গাইডলাইন।

প্রতিটি হাটে সিটিকর্পোরেশন/পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক এক বা একাধিক ভ্রাম্যমান স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টিম গঠ করে সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। মেডিকেল টিমের নিকট শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য ডিজিটাল থার্মোমিটার রাখা যেতে পারে, যাতে প্রয়োজনে হাটে আসা সন্দেহজনক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করা যায়। এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে রোগীকে আলাদা করে রাখার জন্য প্রতিটি হাটে একটি আইসোলেশন ইউনিট (একটি আলাদা কক্ষ) রাখা যেতে পারে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ

কোরবানির পশুর হাটে ও কোরবানিকালীন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার নিমিত্ত নির্দেশিকা/গাইডলাইন

হাট কমিটির জন্য নির্দেশনা

১। হাট বসানোর জন্য পর্যাপ্ত খোলা জায়গা নির্বাচন করতে হবে। কোন অবস্থায় বদ্ধ জায়গায় হাট বসানো যাবে না।

২। হাট ইজারাদার কর্তৃক হাট বসানোর আগে মহামারি প্রতিরোধী সামগ্রী যেমন-মাস্ক, সাবান, জীবানুমুক্তকরণ সামগ্রী ইত্যাদি সংগ্রহ করতে হবে। পরিস্কার পানি সরবরাহ ও হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল সাবান/সাধারণ সাবানের ব্যবস্থা রাখতে বে। নিরাপদ বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৩। পশুর হাটের সাথে জড়িত সকল কর্মকর্তা, কর্মচারি ও হাট কমিটিরি সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। হাট কমিটির সকলের ব্যক্তিগত সুরক্ষা জোরদার করা এবং মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

৪। হাটের জড়িত সকল কর্মিদের স্বাস্থ্য বিধির নির্দেশনা দিতে হবে। জনস্বাস্থ্যের বিষয়াবলী যেমন মাস্ক এর সঠিক ব্যবহার, হাটিঁ কাশির শিষ্ঠাচার, শারীরিক দূরত্ব, হাত ধোয়া, জীবানুমুক্তকরণ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্য বিধি সমূহ সার্বক্ষণিক মাইকে প্রচার করতে হবে।

৫। মাস্ক ছাড়া কোন ক্রেতা বিক্রেতা হাটের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। হাট কর্তৃপক্ষ চাইলে বিনামূল্যে মাস্ক সরবরাহ করতে পারেন বা এর মূল্য নির্ধারণ করে দিতে পারেন।

৬। মাস্ক ছাড়া কোন ক্রেতা-বিক্রতা হাটের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। হাট কর্তৃপক্ষ চাইলে বিনামূল্যে মাস্ক সরবরাহ করতে পারেন বা এর মুল্য নির্ধারন করে দিতে পারেন।

৭। পশুর হাটে প্রবেশের জন্য গেট (প্রবেশপথ ও বাহিরপথ ) নির্দিষ্ট করতে হবে।

৮। পর্যান্ত পানি ও ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পশুর বর্জ্য দ্রুত পরিস্কার করতে হবে। কোথাও জলাবদ্ধতা তৈরি করা যাবে না।

৯। প্রতিটি হাটে সিটিকর্পোরেশন/পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক এক বা একাধিক ভ্রাম্যমান স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টিম গঠ করে সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। মেডিকেল টিমের নিকট শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য ডিজিটাল থার্মোমিটার রাখা যেতে পারে, যাতে প্রয়োজনে হাটে আসা সন্দেহজনক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করা যায়। এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে রোগীকে আলাদা করে রাখার জন্য প্রতিটি হাটে একটি আইসোলেশন ইউনিট (একটি আলাদা কক্ষ) রাখা যেতে পারে।

১০। একটি পশু থেকে আরেকটা পশু এমনভাবে রাখতে হবে যেন, ক্রেতাগণ কমপক্ষে ৩ ফুট বা ২ দুই হার দূরত্ব বজায় রেখে পশু ক্রয় করতে পারেন।

১১। ভিড় এড়াতে মূল্য পরিশোধ ও হাসিল আদায় কাউন্টারের সংখ্যঅ বাড়াতে হবে।

১২। মূল পরিশোধ সময় সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়ানোর সময়কাল যেন কম হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। লাইনে ৩ ফুট বা কমপক্ষ্যে ২ হাত দূরত্ব বজায় রেখে দাড়াতে হবে। প্রয়োজনে রেখা টেনে বা গোল চিহ্ন দিয়ে দিতে হবে।

১৩। সকল পশু একত্রে হাটে প্রবেশ না করিয়ে, হাটের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী পশু প্রবেশ করাতে হবে।

১৪। হাটের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী নিরাপদ দূরত্ব বাজায় রেখে কেনাকাটা করা সম্ভব, এমন সংখ্যক ক্রেতাকে হাটে প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে। অবশিষ্ট ক্রেতাগণ হাটের বাহিরে নিরাপদ দূরত্ব বাজায় রেখে অপেক্ষা করবেন। ১টি পশ ক্রয়ের জন্য ১ বা ২ জনের বেশি ক্রেতা হাটে প্রবেশ করবেন না।

১৫। অনলাইনে পশু কেনা বেচার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করা যেতে পারে।

১৬। স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে সমন্বয় করে সকল কাজ নিশ্চিত করতে হবে।

ক্রেতা বিক্রেতাদের জন্য নির্দেশনা

১। ক্রেতা বিক্রেতা সকলকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে।

২। সর্দি, কাশি, জ্বর বা শ্বাসকষ্ট নিয়ে কেউ হাটে প্রবেশ করবেন না।

৩। শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ্যরা হাটে আসতে পারবেন না।

৪। পশুর হাটে প্রবেশের পূর্বে ও বাহির হবার সময় তরল সাবান/সাধারণ সাবান এবং পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৫। মূল প্রদান এবং হাটে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় কমপক্ষে ৩ ফুটবা দুই হাত দূরত্ব বজায় রেখে সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাড়াতে হবে।

৬। হাট কমিটি, স্থানীয় প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সকল নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

পশ কোরবানিকালীন নির্দেশনা

১। পশু কোরবানির সময় প্রয়োজনের অধিক লোকজন একত্রিত হবেন না এবং কোরবানির মাংস সংগ্রহের জন্য একত্রে অধিক লোক চলাফেরা করতে পারবেন না।

২। পশুর চামড়া দ্রুত অপসারণ করতে হবে এবং কোরবানির নির্দিষ্ট স্থানটি ব্লিচিং পাউডারের দ্রবণ দিয়ে ভালভাবে জীবানুমুক্ত করে নিতে হবে।

(ডা. মো: শিব্বির আহমেদ ওসমানী)

উপসচিব

ফোন: ৯৫১১০৭২

কোরবানির পশুর হাটে ও কোরবানি কালীন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার নিমিত্তে গাইডলাইন: ডাউনলোড

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *