জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট ২০২৬: দ্বিগুণ কাজের চাপে সম্মানী বৃদ্ধির দাবি শিক্ষকদের - Technical Alamin
সরকারি আদেশ ও তথ্য

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট ২০২৬: দ্বিগুণ কাজের চাপে সম্মানী বৃদ্ধির দাবি শিক্ষকদের

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ তারিখে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তবে এবারের নির্বাচন অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ভিন্ন এবং অধিক পরিশ্রমসাধ্য হতে যাচ্ছে। কারণ, একই দিনে জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ বা সংবিধান সংস্কারের প্রশ্নে আয়োজিত হচ্ছে ঐতিহাসিক গণভোট। একই সাথে দুটি বড় কর্মযজ্ঞ পরিচালনার দায়িত্ব পড়ায় মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের মধ্যে সম্মানী বৃদ্ধির জোরালো দাবি উঠেছে।

দ্বিগুণ দায়িত্ব, বাড়তি পরিশ্রম

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, এবার ভোটারদের একই বুথে দুটি পৃথক ব্যালটে (সংসদ নির্বাচন ও গণভোট) ভোট দিতে হবে। এর ফলে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারদের কাজের পরিধি ও মানসিক চাপ আগের তুলনায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাবিত সম্মানীর তালিকা নিয়ে আলোচনা চলছে। আপনার পাঠানো তথ্যানুযায়ী, বিগত নির্বাচনের আদলে বর্তমানে যে সম্মানীর কথা ভাবা হচ্ছে তা হলো:

  • প্রিজাইডিং অফিসার: ৯,০০০/- টাকা

  • সহকারী প্রিজাইডিং: ৭,০০০/- টাকা

  • পোলিং অফিসার: ৫,০০০/- টাকা

কেন সম্মানী বৃদ্ধি যৌক্তিক?

নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই সম্মানী গতানুগতিক নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ২০২৬ সালের নির্বাচনে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন ঘটেছে: ১. একই সাথে দুই ভোট: একই সময়ে সংসদ সদস্য নির্বাচন এবং সংবিধান সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গণভোট পরিচালনা করা অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। ২. সময় ও গণনা: দুটি আলাদা ব্যালট বক্স এবং পৃথক ফলাফল বিবরণী প্রস্তুত করতে কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত সময় ও শ্রম ব্যয় করতে হবে। ৩. দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি: বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় কয়েক বছর আগের নির্ধারিত সম্মানী দিয়ে যাতায়াত ও আনুষঙ্গিক খরচ মেটানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শিক্ষকদের প্রত্যাশা

নির্বাচন পরিচালনার সিংহভাগ দায়িত্ব পালন করেন বেসরকারি এমপিওভুক্ত ও সরকারি শিক্ষকরা। তাদের দাবি, যেহেতু এবার কাজের চাপ ও দায়িত্বের গুরুত্ব বেড়েছে, তাই সম্মানীর পরিমাণ পুনর্নির্ধারণ করা সময়ের দাবি। সম্মানীর পরিমাণ সম্মানজনক পর্যায়ে উন্নীত করলে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা অধিকতর উৎসাহের সাথে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হবেন।

উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনের প্রশিক্ষণ আগামী ২২ জানুয়ারি ২০২৬ এর পর শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগেই নির্বাচন কমিশন সম্মানীর বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে বলে সাধারণ শিক্ষকদের প্রত্যাশা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *