হিজড়া ভাতার অনলাইন আবেদন ২০২৪ । দুঃস্থ ও অসচ্ছল হিজড়া ব্যক্তিকে মাসিক কত টাকা ভাতা পায়?
বয়স্ক হিজড়া ও যুবক হিজড়াদের ভিন্ন ভিন্ন ভাতা প্রদান করা হয় – হিজড়া শিক্ষার্থীদের মাসিক ৭০০-১০০০ টাকা শিক্ষা ভাতা প্রদান করা হয়– হিজড়া ভাতা ২০২৪
চলতি অর্থ বছরে কত জন এ ভাতা পাবে? – হিজড়া সম্প্রদায় বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি ক্ষুদ্র অংশ। আবহমানকাল থেকেই এ জনগোষ্ঠী অবহেলিত ও অনগ্রসর। এ লক্ষ্যে এ জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ, তাদের জন্য সামাজিক ন্যায় বিচার নিশ্চিতকরণ, তাদের পারিবারিক, আর্থসামাজিক, শিক্ষা ব্যবস্থা, বাসস্থান, জীবনমান উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সর্বোপরি তাদেরকে সমাজের মূল স্রোতধারায় এনে দেশের সার্বিক উন্নয়নে তাদের সম্পৃক্তকরণের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় ‘হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি’ বাস্তবায়ন শুরু হয়। ৬৪টি জেলায় হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রতিবছরই এ কার্যক্রমের আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমাজসেবা অধিদফতরের প্রাথমিক জরিপ মতে বাংলাদেশে হিজড়ার সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার।
সমাজসেবা অধিদফতরের Management Information System (MIS) এ ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে বা সরাসরি আবেদনগ্রহণপূ্র্বক হিজড়া ব্যক্তির তথ্য যাচাই করে এ নীতিমালা অনুসরণপূর্বক প্রকৃত হিজড়া জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রণয়ন করে বরাদ্দ অনুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে G2P পদ্ধতিতে EFT এর মাধ্যমে মোবাইল একাউণ্টে/এজেন্ট ব্যাংকিং একাউণ্টে বিশেষ ভাতা বা শিক্ষা উপবৃত্তির অর্থ প্রেরণ করা হয়ে থাকে।
হিজড়া ভাতা কবে দিবে? আপনার সমস্যার সমাধান ছাড়া অধিদপ্তরের MIS এডমিন প্যানেল হতে কারো আইডি ও পাসওয়ার্ড চাওয়া হয় না। প্রতারক হতে সাবধান। স্বীয় পাসওয়ার্ড কারো কাছে না দেয়ার জন্য এবং ব্রাউজারে সেভ না রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ রইল। নির্ভুল পে-রোল পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। চলতি মাসের শেষ অথবা মাসের শুরুর দিকেই জানুয়ারী/২০২৫ পর্যন্ত ভাতা পাওয়া যেতে পারে।
কেন হিজড়া ভাতা দেয়া হয়? হিজড়া ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ ও পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়। হিজড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান হয়। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হিজড়া জনগোষ্ঠীর যুবাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও আয়বর্ধনমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্তকরণ করা হয়।বয়স্ক হিজড়া জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধান। পরিবার ও সমাজে হিজড়া ব্যক্তিদের মর্যাদা বৃদ্ধি। আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে হিজড়া ব্যক্তিদের মনোবল জোরদারকরণ এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীর কল্যাণ ও সামাজিক সুরক্ষায় সরকার কর্তৃক গৃহীত স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে ভূমিকা রাখা।
হিজড়া ভাতার আবেদন ফরম / হিজড়া তথ্য অনলাইনে এন্ট্রি করতে হবে। এটি কর্তৃপক্ষ করবে
সমাজসেবা অধিদফতর অধীন বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়, জেলা সমাজসেবা কার্যালয় এবং উপজেলা ও শহর সমাজসেবা কার্যালয়সমূহের সাংগঠনিক কাঠামোতে বিদ্যমান জনবল এবং বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় এ কর্মসূচির বিশেষ ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। তাই ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সমাজসেবা অধিদপ্তরে আবেদন প্রেরণ করতে হবে। হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভাতা মঞ্জুরির আবেদনপত্র PDF ডাউনলোড
হিজড়া ভাতা ২০২৪ । এক নজরে হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রমের পরিসংখ্যান (২০২৪-২০২৫)
2024- 2025 অর্থবছরে বেদে, অনগ্রসর ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর বিশেষভাতা এবং শিক্ষা উপবৃত্তির অর্থ G2P পদ্ধতিতে পরিশোধের নিমিত্ত আবেদন গ্রহণের সময়সীমা ৩০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে মাঠপর্যায়ে এখনো অনেক বেদে, অনগ্রসর ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর বিশেষ ভাতা এবং উপবৃত্তি প্রার্থী অনলাইনে আবেদন করতে পারেননি। তাদের সুবিধার্থে আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত অনলাইন https://dss.bhata.gov.bd/online-Application লিংকে আবেদন গ্রহণের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
নির্দিষ্ট সেবা পেতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী প্রতিকারকারী কর্মকর্তা – চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ; জেলা প্রশাসক, সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভার ক্ষেত্রে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা/আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা; উপপরিচালক, হিজড়া, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি, সমাজসেবা অধিদফতর। ভাতা ব্যাংক হিসাব বা মোবাইলে পাঠানো হবে। মধ্যসত্বভোগী থাকবে না। সরাসরি ভাতা ভোগীর নিকট সরকার বিকাশ বা রকেটে প্রেরণ করবে। হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভাতা মঞ্জুরির আবেদনপত্র
হিজড়া ভাতা কত টাকা পাওয়া যায়?
হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে নিম্নবর্ণিত কার্যক্রম পরিচালিত হবে। হিজড়া ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ ও পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়। ৫০ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের দুঃস্থ ও অসচ্ছল হিজড়া ব্যক্তিকে মাসিক ৬০০ টাকা হারে বিশেষ ভাতা প্রদান হয়। হিজড়া শিক্ষার্থীদের মাসিক হারে প্রাথমিক স্তরে ৭০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে ৮০০ টাকা, উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ১০০০ টাকা এবং উচ্চতর স্তরে ১২০০ টাকা হারে শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান করা হয়। কর্মক্ষম হিজড়া ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ প্রদান, আর্থিক অনুদান প্রদান ও আয়বর্ধক কাজে নিয়োজিতকরণ করা হয়। প্রশিক্ষণোত্তর এককালীন নগদ সহায়তা হিসেবে ১০,০০০ টাকা প্রদান করা হয়।
হিজড়াদের জন্য কি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে?
সামাজিক বৈষম্যের কারণে হিজড়া জনগোষ্ঠীকে আত্মনির্ভরশীল করে সমাজে সমঅধিকার ও সাম্যতার ভিত্তিতে স্বাভাবিক জীবনযাপনের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে কর্মক্ষম হিজড়া জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদানপূর্বক তাদের সমাজে পুনঃএকত্রিতকরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য হচ্ছে, লক্ষ্যভুক্ত জনগোষ্ঠীকে আয়বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচির সাথে সম্পৃক্ত করে তাদের জীবন-জীবিকার মান উন্নয়ন ও আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা। প্রশিক্ষণ মডিউল অনুযায়ী জেলা ও উপজেলা কমিটির তদারকির মাধ্যমে সমাজসেবা অধিদফতরাধীন শহর সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে লক্ষ্যভুক্ত হিজড়া জনগোষ্ঠীকে মৌলিক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, আনুষ্ঠানিক মনোসামাজিক কাউন্সেলিং, সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক মৌলিক প্রশিক্ষণ এবং রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং প্রশিক্ষণার্থীদেরকে প্রশিক্ষণোত্তর অফেরতযোগ্য ১০,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
তথ্য সূত্র: সমাজসেবা অধিদফতর