Apply for Driving License

Apply for Driving License । অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন

বর্তমানে বিআরটিএ অনলাইনেই ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করার সুযোগ করে দিয়েছে। ডিজিটালাইজেশনের যুগে অনলাইনে এখন অনেক ধরনের আবেদন করা যায়। বিশেষ করে চাকরির আবেদন এবং ভর্তি আবেদন অনলাইন হওয়ার পাশাপাশি পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন অনলাইন ভিত্তিক করায় সাধারণ জনগণের জন্য খুবই সুবিধা জনক হয়েছে। অনলাইনে আবেদনের পরই লার্নার বা শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইলেন্স পাওয়া যায়।

বিআরটিএ কর্তৃক স্বতন্ত্র সা্ব-ওয়েবসাইট

BRTA Service Portal (BSP) Bangladesh Road Transport Authority(BRTA) will allow citizen to resister as a service recipient as driver, owner, vehicle dealer to register learner driving license, smart card driving license, driving license renewal, duplicate driving license and all relevant services. https://bsp.brta.gov.bd/drivingLicense

শিক্ষানবীশ বা লার্নার লাইসেন্স দিয়ে রাস্তায় গাড়ি চালানো যাবে?

না। এটি শুধুমাত্র প্রশিক্ষকের মাধ্যমে ড্রাইভিং শিখার অনুমতি মাত্র। এটি দিয়ে হাইওয়ে বা জনবহুল রাস্তায় ড্রাইভিং প্র্যাকটিস বা অনুশীলনের জন্য ড্রাইভিং করা যাবে না। লার্নার কার্ড দিয়ে রাস্তায় গাড়ি চালানো দন্ডনীয় অপরাধ। এজন্য পুলিশ আপনাকে জরিমানা করবে। জনসাধারণের ক্ষতি হলে জেলা জরিমানা হতে পারে। তাছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি বা মোটরবাইক চালানো দন্ডনীয় ক্রাইম।

অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া কি?

ড্রাইভিং লাইসেন্সের পূর্বশর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স। গ্রাহককে প্রথমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হবে। গ্রাহককে তার স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমান ঠিকানা (প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিসহ) বিআরটিএ’র যে সার্কেলের আওতাভূক্ত তাকে সেই সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। সার্কেল অফিস কর্তৃপক্ষ তাকে একটি শিক্ষানবিস বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করবে যা দিয়ে আবেদনকারী ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে। ২/৩ মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তাকে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট-এ অংশ গ্রহণ করতে হবে। এসময় প্রার্থীকে তার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স (মূল কপি) ও লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কলম সাথে আনতে হবে। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য বয়স ন্যূনতম ২০ বছর এবং অপেশাদার এর জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে।

লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য কি কি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে?

অনলাইন বা অফলাইন যে ভাবেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য আবেদন করুন না কেন, আপনাকে নিম্নবর্ণিত কাগজপত্রাদি ব্যবস্থা করতে হবে। কোন ভাবেই তথ্য বা প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট ব্যতীয় ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যাবে না।

১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড / জন্ম সনদ/পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি।
৪। নির্ধারিত ফী, ১ ক্যাটাগরি-৩৪৫/-টাকা ও ২ ক্যাটাগরি-৫১৮/-টাকা বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে (ব্যাংক এর তালিকা www.brta.gov.bd –তে পাওয়া যাবে) জমাদানের রশিদ।।
৫। সদ্য তোলা ০৩ কপি স্ট্যাম্প ও ০১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুনরায় একটি নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফী প্রদান করে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য সংশিস্নষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণপূর্বক স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হয়। স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে তা গ্রহণের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।

অনলাইনেই কি টাকা জমা দেওয়া যায়?

জি, অনলাইনে অর্থাৎ আপনি মোবাইল ব্যাংকিং এবং ই-চালান ছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমে অনলাইনেই নির্ধারিত ফি জমা দেওয়া যায়। ফি জমা দিতে ব্যাংক যেতে হবে না, তবে আপনি চাইলে ব্যাংকেও জমা দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করলেও আপনিকে ফিজিক্যালি লিখিত পরীক্ষা, ব্যবহারিক পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে।

যদি স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে চাই এ জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কি কি?

১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড / জন্ম সনদ/পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি।
৪। নির্ধারিত ফী (পেশাদার- ১৪৩৮/-টাকা ও অপেশাদার- ২৩০০/-টাকা) বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ।
৫। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।
৬। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রকৃতি কি?

(১) পেশাদার হালকা (মোটরযানের ওজন ২৫০০কেজি-এর নিচে) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২০ বছর হতে হবে,
(২) পেশাদার মধ্যম (মোটরযানের ওজন ২৫০০ থেকে ৬৫০০ কেজি) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২৩ বছর হতে হবে এবং পেশাদার হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে।
(৩) পেশাদার ভারী (মোটরযানের ওজন ৬৫০০ কেজির বেশী) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২৬ বছর হতে হবে এবং পেশাদার মধ্যম ড্রাইভিং লাইসেন্সের ব্যবহার কমপক্ষে ০৩ বছর হতে হবে।
[বি:দ্র: পেশাদার ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য প্রার্থীকে প্রথমে হালাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে এর ন্যূনতম তিন বছর পর তিনি পেশাদার মিডিয়াম ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং মিডিয়ম ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার কমপক্ষে ০৩ (তিন) বছর পর ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। ]

ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়া কি?

(ক) অপেশাদারঃ
গ্রাহককে প্রথমে নির্ধারিত ফি ( মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ২১৮৫/- টাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে প্রতি বছর ২০০/- টাকা জরিমানাসহ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেলে একইদিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণ করা হয়। স্মার্ট কার্ড wপ্রন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।

(খ) পেশাদারঃ
পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদেরকে পুনরায় একটি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষায় উত্ত্তীর্ণ হওয়ার পর নির্ধারিত ফি ( মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিনের মধ্যে হলে ১৩২৩/- টাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণের ১৫ দিন পরে প্রতি বছর ২০০/- টাকা জরিমানাসহ ) জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএর নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণের জন্য গ্রাহককে নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে উপস্থিত হতে হয়। স্মার্ট কার্ড wপ্রন্টিং-এর সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৩। ন্যাশনাল আইডি কার্ড / জন্ম সনদ/পাসপোর্ট এর সত্যায়িত ফটোকপি।
৪। নির্ধারিত ফী জমাদানের রশিদ।
৫। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন।
৬। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি।

ডুপ্লিকেট লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়া কি?

ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে আপনি ডুপ্লিকেট ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি দাখিল এবং প্রয়োজনীয় ফি পরিশোধ করতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

১। নির্ধারিত ফরমে আবেদন।
২। জিডি কপি ও ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স।
৩। নির্ধারিত ফী (হাই সিকিউরিউটি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ক্ষেত্রে ৬৩৩/-টাকা) বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে জমাদানের রশিদ।।
৪। সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

প্রয়োজনীয় ফরম ও কাগজপত্র আপনি নিচের লিংক হতে সংগ্রহ করে নিতে পারেন।

লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর ফর্ম-এর জন্য নিচের লিংক-এ ক্লিক করুনঃ
http://www.brta.gov.bd/images/files/formfee/app_for_learners_driving_license.pdf

ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর ফর্ম-এর জন্য নিচের লিংক-এ ক্লিক করুনঃ
http://www.brta.gov.bd/images/files/formfee/latest_dl_form.pdf

মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের জন্য নিচের লিংক-এ ক্লিক করুনঃ
http://www.brta.gov.bd/images/files/formfee/brta_application_form_medical_report-1.pdf

​আরও বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ভিজিট করুন: বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ

One comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *