Bank Merger Act 2024 । দেশে ব্যাংক একীভূতকরণ নীতিমালা কি জারি হয়েছে?
সরকার ব্যাংকগুলোকে সবুজ লাল ও হলুদ রং তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে- লাল চিহ্নিত ব্যাংকগুলোকে মূলত অন্য ব্যাংকগুলোর সাথে মার্জ বা একীভূত করছে-Bank Merger Act 2024
ব্যাংক কোম্পানী আইন কি পরিবর্তন হল? হ্যাঁ। ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ধারা ৪৯ (১)(গ), ৭৭(১৬) এবং কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ এর ধারা ২২৮ ও ২২৯ এর বিধান অনুসরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে এবং মধ্যস্থতায় কোনো ব্যাংক-কোম্পানী স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে (mutually agreed negotiated) অন্য কোনো ব্যাংক-কোম্পানীর সাথে একীভূত হতে পারবে।
স্বেচ্ছায় না হলে কি বাধ্যতামূলক একীভূত করা হবে? হ্যাঁ। ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৭৭ক ধারায় ব্যাংক-কোম্পানীর পুনরুদ্ধার বিষয়ে আশু/দ্রুত সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। উক্ত ক্ষমতাবলে ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক “Prompt Corrective Action (PCA) Framework” শীর্ষক সার্কুলার জারি করা হয়েছে। উক্ত সার্কুলারের নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো ব্যাংক মূলধন ও তারল্য ঘাটতি, উচ্চ মাত্রার খেলাপী ঋণ, সুশাসনের ঘাটতি এবং সর্বোপরি আমানতকারীগণের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপের কারণে PCA Framework এর আওতাভুক্ত হলে, সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক আরোপিত/নির্দেশিত বিধিনিষেধ অনুসরণ করতে হবে। উক্ত পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে, আমানতকারীগণের স্বার্থ রক্ষার্থে বা জনস্বার্থে ব্যাংকের যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার স্বার্থে, ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ধারা ৭৭ এর বিধান সাপেক্ষে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে অন্য কোনো ব্যাংক-কোম্পানীর সাথে বাধ্যতামূলক একত্রীকরণ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক যে কোনো এক বা একাধিক বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করার আইনি বিধান পরিপালনের আবশ্যকতা রয়েছে।
নতুন মার্জার আইন কবে থেকে কার্যকর হবে? ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। এক্ষণে, ব্যাংক-কোম্পানীর একত্রীকরণ প্রক্রিয়া শৃঙ্খল এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার লক্ষ্যে ব্যাংকসমূহের অনুসরণের জন্য ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৪৯, ৭৭, ৭৭ক এবং ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই নীতিমালা (সংযুক্তি- ‘ক’ ও সংযুক্তি “খ”) জারি করা হয়েছে। এই নীতিমালায় বর্ণিত নির্দেশনার যে কোনো পরিবর্তন/পরিবর্ধন করার ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে। এ সার্কুলারে বর্ণিত নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
ব্যাংক মার্জার করাতে কি অন্য ব্যাংকগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে? / বাংলাদেশ ব্যাংক শক্তিশালী ব্যাংকগুলোকে কতটা সহায়তা দিচ্ছে?
বাংলাদেশ ব্যাংকের সন্তুষ্টির পর প্রস্তাবিত একত্রীকরণ স্কীমের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রয়োজনীয় পরিবর্তনসহ বা পরিবর্তন ব্যতীত, অনুমোদন প্রদান করবে, এবং উক্ত অনুমোদনের পর প্রস্তাবিত স্কীমটি কার্যকর করা যাবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক নিশ্চিত হবে যে, উক্ত স্কীমটি সংশ্লিষ্ট কোম্পানীসমূহের জন্য লাভজনক বা সুবিধাজনক বা উপকারী এবং আমানতকারীগণের জন্য ক্ষতিকর নয় এবং/অথবা দেশের আর্থিক ব্যবস্থার জন্য লাভজনক বা সুবিধাজনক বা উপকারী, বা ক্ষতিকর নয়।
Caption: Bank Merger Act 2024 pdf Download
ব্যাংক একীভূতকরণ নীতিমালা ২০২৪ । যেভাবে বা যে নিয়ম গুলো অনুসরণ করে ব্যাংক একীভূত হবে
- ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১- ধারা ৪৯: বাংলাদেশ ব্যাংকের অধিকতর ক্ষমতা ও কার্যাবলী।- (১)(গ) বাংলাদেশ ব্যাংক, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীসমূহের অনুরোধক্রমে এবং ধারা ৭৫ এর বিধান সাপেক্ষে, উহাদের একত্রীকরণের প্রস্তাবে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে বা অন্য কোনোভাবে সহায়তা প্রদান করতে পারবে। ধারা ৭৫: স্বেচ্ছায় অবসায়নে বাধা-নিষেধ। কোম্পানী আইনের ধারা ২৮৬ তে ভিন্নতর কোনো কিছু থাকা সত্ত্বেও, কোনো ব্যাংক-কোম্পানী তার পাওনাদারদের ঋণ সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ করতে সমর্থ, এই মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংক লিখিতভাবে প্রত্যয়ন না করলে ধারা ৩১ এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোনো ব্যাংক-কোম্পানীর স্বেচ্ছা অবসায়ন করা যাবে না; এবং স্বেচ্ছা অবসায়নের কার্যধারার কোনো পর্যায়ে যদি ব্যাংক-কোম্পানী তার কোনো দেনা পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তাহলে কোম্পানী আইনের ধারা ৩১৪ এবং ৩১৫ এর বিধান ক্ষুণ্ণ না করে, বাংলাদেশ ব্যাংক হাইকোর্ট বিভাগের মাধ্যমে উক্ত কোম্পানীর অবসায়নের জন্য আবেদন করবে। ধারা ৭৬(১) : ব্যাংক-কোম্পানী এবং পাওনাদারদের মধ্যে আপস-মীমাংসা বা বিশেষ ব্যবস্থার উপর বাধা-নিষেধ। -(১) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, হাইকোর্ট বিভাগ কোনো ব্যাংক-কোম্পানী এবং তার পাওনাদার বা তাদের কোনো শ্রেণির মধ্যে বা উক্ত কোম্পানী এবং তার সদস্য বা সদস্য-শ্রেণির মধ্যে, কোনো আপস-মীমাংসা বা বিশেষ ব্যবস্থা অনুমোদন করবে না, বা অনুরূপ কোনো মীমাংসা বা বিশেষ ব্যবস্থায় কোনো সংশোধন অনুমোদন করবে না, যদি না বাংলাদেশ ব্যাংক এই মর্মে প্রত্যয়ন করে যে, উক্ত মীমাংসা, বিশেষ ব্যবস্থা বা উহাদের সংশোধন কার্যকর করার অযোগ্য নয় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর পাওনাদারদের স্বার্থের পরিপন্থি নয়। ধারা ৭৭(১৬): ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবসা সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ এবং ব্যাংক-কোম্পানীর পুনর্গঠন বা একত্রীকরণ।— উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত ক্ষেত্র ব্যতীত, কোনো ব্যাংক-কোম্পানী স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অন্য কোনো ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে একত্রীভূত হতে চাইলে অথবা কোনো ব্যাংক-কোম্পানী নিজের ব্যবসার কিয়দংশ অন্য কোনো ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিকট হস্তান্তরের মাধ্যমে পুনর্গঠিত হতে চাইলে, বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদনক্রমে, এতদ্বিষয়ে তৎকর্তৃক জারীকৃত নীতিমালা অনুসরণ করে কাঙ্ক্ষিত একত্রীকরণ বা পুনর্গঠন করতে পারবে।
- ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২৩– অনুরূপভাবে, ফাইন্যান্স কোম্পানী আইন, ২০২৩ এর ধারা ৫০ এ বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কোনো ফাইন্যান্স কোম্পানী বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ এর ২২৮ ও ২২৯ এর বিধান অনুসরণে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অন্য কোনো ফাইন্যান্স কোম্পানী বা ব্যাংক কোম্পানীর সাথে একীভূত হতে পারবে।
- উল্লিখিত বিধানসমূহ অনুসারে, আমানতকারী বা ব্যাংক-কোম্পানী বা ব্যাংকিং খাতের জন্য ক্ষতিকর নয় মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংকের সন্তুষ্টি/প্রত্যয়ন ব্যতীত কোনো ব্যাংকের একত্রীকরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হতে পারবে না। অর্থাৎ, ব্যাংক-কোম্পানী মূলত আমানতকারীগণের অর্থে পরিচালিত হয় বিধায় ব্যাংক যেন আমানতকারীগণের স্বার্থের পরিপন্থি, ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলা ও সুশাসনের পরিপন্থি সর্বোপরি দেশের আর্থিক ব্যবস্থায় ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে এরূপ কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে বা জড়িত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আইনে বাংলাদেশ ব্যাংককে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
- নিরীক্ষা ফার্ম/নিরীক্ষক কর্তৃক নিরীক্ষা, আর্থিক এবং আইনি due diligence প্রতিবেদন দাখিল: আর্থিক এবং আইনি due diligence সম্পন্ন হওয়ার পর উক্ত নিরীক্ষা ফার্ম তার একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করবে। উক্ত প্রতিবেদনে অন্যান্য বিষয় ব্যতীত নিম্নলিখিত বিষয় থাকতে হবে, যথা: সুরক্ষিত/জামানতী এবং অসুরক্ষিত/জামানতবিহীন ঋণ/ডেট, সুরক্ষিত ঋণের ক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ/জামানতের বিস্তারিত বিবরণ ও তাদের অর্থমূল্য; (খ) হস্তান্তর গ্রহীতা ও হস্তান্তরকারী কোম্পানীর ভূসম্পত্তি এবং সম্পদের অর্থমূল্য, পরিশিষ্ট-‘খ’; (গ) হস্তান্তর গ্রহীতা ও হস্তান্তরকারী কোম্পানীর দায়; (ঘ) শেয়ার বিনিময়/সোয়াপ অনুপাত (swap ratio) এবং goodwill নির্ধারণের বিবরণী; (ঙ) উপরোল্লিখিত প্রেক্ষাপটে একত্রীকরণের ফলশ্রুতিতে কোম্পানীসমূহের উপর এবং তাদের আমানতকারী, পাওনাদার ও শেয়ারহোল্ডারগণের উপর আর্থিক প্রভাব ।
- কোম্পানীসমূহের শেয়ারহোল্ডার ও পাওনাদারগণের সম্মতি গ্রহণ: নিরীক্ষা ফার্ম হতে প্রাপ্ত due diligence প্রতিবেদনের কপি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক হস্তান্তর গ্রহীতা ও হস্তান্তরকারী কোম্পানীর নিকট প্রেরণ করা হবে। অতঃপর due diligence এ প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে হস্তান্তরকারী ও হস্তান্তর গ্রহীতা কোম্পানীসমূহ প্রস্তাবিত একত্রীকরণ বিষয়ে স্কীম প্রণয়ন করে তা নিজ নিজ পরিচালনা পর্ষদে উপস্থাপনকরতঃ অনুমোদন ও এতদ্বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। উক্ত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ এর বিধান অনুযায়ী কোম্পানীসমূহ তাদের শেয়ারহোল্ডারগণের বা পাওনাদারগণের সম্মতির জন্য বিশেষ সভা আহ্বান করে বিশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে প্রণীত স্কীমের উপর কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ এর বিধান অনুযায়ী কোম্পানীর পাওনাদারগণের বা শেয়ারহোল্ডারগণের, বা ক্ষেত্রমত, সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠের সম্মতি গ্রহণ করতে হবে।
- স্কীম বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মতির জন্য দাখিল: একত্রীকরণ সংক্রান্ত স্কীম বিশেষ সাধারণ সভায় অনুমোদনের পর হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংক-কোম্পানীকে পরিশিষ্ট-‘গ’ এ উল্লিখিত তথ্য ও দলিলাদিসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মতির জন্য উক্ত স্কীমসহ আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।
- খসড়া স্কীমের পর্যালোচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষাঃ হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংক হতে একত্রীকরণ সংক্রান্ত স্কীম প্রাপ্তির পর বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এ মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, হস্তান্তর গ্রহীতা ব্যাংক কর্তৃক দাখিলকৃত উক্ত স্কীম সফলভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক স্কীমের বিষয়ে সম্মতি প্রদান করবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিশিষ্ট-‘ঘ’ এ উল্লিখিত শর্ত ও বিষয়াদি বিবেচনায় নিবে ।
- সম্পদ ও দায়সমূহের মূল্যায়ন: হস্তান্তর গ্রহীতা এবং হস্তান্তরকারী কোম্পানীসমূহ পারস্পরিক সমঝোতা/সম্মতিতে সম্পদের মূল্যায়নের বিষয়ে সম্মত হতে পারবে। সাধারণভাবে, বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না যদি না এরূপ বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে মূল্যায়ন ন্যায্য এবং যুক্তিসঙ্গত নয়। তবে, নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে যেমন (ক) বিশেষ/সুনির্দিষ্ট/স্বতন্ত্র কোনো সম্পদ; (খ) ঋণ বা বিনিয়োগের শ্রেণিবিভাগ; (গ) কোনো দায় নির্ধারণে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে সেক্ষেত্রে কোম্পানীসমূহ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শ গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করবে এবং সমস্যা সমাধান করবে। মধ্যস্থতা ব্যর্থ হলে, সম্পদ বা দায়ের মূল্য নির্ধারণ বা সমস্যার নিষ্পত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত মর্মে গণ্য হবে এবং তা সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহ মানতে বাধ্য থাকবে। এক্ষেত্রে, বাংলাদেশ ব্যাংক আবশ্যক মনে করলে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা গ্রহণপূর্বক সিদ্ধান্ত প্রদান করবে।
- লেনদেন/হস্তান্তর মূল্য/ব্যয়/লাভ (consideration): হস্তান্তর গ্রহীতা এবং হস্তান্তরকারী কোম্পানীর মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে সম্পত্তি এবং দায় হস্তান্তরের যুক্তিসঙ্গত এবং ন্যায্য মূল্য নির্ধারিত হবে, মূল্য নির্ধারণ প্রিমিয়াম বা ডিসকাউন্টে হতে পারে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক সাধারণভাবে হস্তক্ষেপ করবে না, তবে বাংলাদেশ ব্যাংক এ মর্মে সন্তুষ্ট হবে যে, পারস্পরিকভাবে সম্মত মূল্য ন্যায্য এবং যুক্তিসঙ্গত, এবং এতদুদ্দেশ্যে পর্যালোচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর স্কীমের সংশোধন/পরিমার্জন/পরিবর্তনপূর্বক উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে।
দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সাথে মার্জ করা হবে?
হ্যাঁ। ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ধারা ৪৯(১)(গ), ৭৭(১৬) এবং কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ এর ধারা ২২৮ ও ২২৯ এর বিধান মোতাবেক কোনো ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অন্য কোনো ব্যাংক-কোম্পানী বা ফাইন্যান্স কোম্পানীর সাথে একত্রীকরণের মাধ্যমে আর্থিকভাবে অধিকতর সবল ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হলো অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যাংকের বিদ্যমান সমস্যা সমাধান এবং একইসাথে অপেক্ষাকৃত সবল ব্যাংকের কার্যক্রম উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করা যাতে করে জনস্বার্থে একীভূত ব্যাংক-কোম্পানী অধিকতর সেবা প্রদান করতে পারে।