BDS Survey 2023 । জমির প্রচলিত জরিপ ও ডিজিটাল জরিপের পার্থক্য কি?
ডিজিটাল জরিপ আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে করা যায় তাই প্রচলিত জরিপ হতে ভিন্ন হয়ে থাকে – BDS Survey 2023
ডিজিটাল ভূমি জরিপ- প্রচলিত ভূমি জরিপ পদ্ধতির স্থলে আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) নির্ভর ভূমি জরিপ পদ্ধতিকে আমরা ডিজিটাল ভূমি জরিপ পদ্ধতি হিসাবে আখ্যায়িত করতে পারি। এ ক্ষেত্রে আধুনিক ডিজিটাল যন্ত্রপাতি যেমন, জিপিএস, ইটিএস, কম্পিউটার/ওয়ার্কস্টেশন, প্রিন্টার, প্লটার, ম্যাপ স্ক্যানার, জিপিএস ও ক্যাডাস্ট্রাল ডাটা প্রসেসিং সফটওয়্যার ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। এর সাহায্যে মূলতঃ মৌজা ম্যাপ ডাটাবেজ এবং খতিয়ান ডাটাবেজ প্রস্তুত করা হয়ে থাকে ।
প্রচলিত পদ্ধতিতে কিভাবে কি করা হতো?– এ পদ্ধতিতে ট্রাভার্সকৃত পি-৭০ সিট এবং ব্লু-প্রিন্ট সিটে নকশা প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। এ পদ্ধতিতে গান্টার চেইন, পিন, মেটাল স্কেল, গুনিয়া একর কম্ব, ডিভাইডার, পেন্সিল, রাবার, টেবিল, তে-পায়া ইত্যাদির সাহায্যে নকশা প্রস্তুত করা হয়ে থাকে । এ পদ্ধতির জরিপ নকশা সহজে হাল-নাগাদ করা যায়না। ভূমি বিভাজনের কারণে নকশার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটলে পুনরায় জরিপ করার প্রয়োজন হয়। এ পদ্ধতিতে নকশার সকল তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব হয়না । এ পদ্ধতিতে পারিবারিক খতিয়ান প্রস্তুত করা হয়। এ পদ্ধতিতে ভূমি ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জটিল।
প্রয়োজন হয়না।
ডিজিটাল পদ্ধতি কেন জনপ্রিয়?এ পদ্ধতিতে আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা Information and Communication Technology (ICT) ব্যবহার করে ডিজিটাল ডাটা সংগ্রহ ও প্রসেসিং এর মাধ্যমে মৌজা নকশা প্রস্তুত করা হয়ে থাকে । এ পদ্ধতিতে আধুনিক জিপিএস, টোটাল স্টেশন, কম্পিউটার, প্লটার, প্রিন্টার, ম্যাপ স্ক্যানার, প্রসেসিং সফটওয়্যার ইত্যাদি ব্যবহার করে মৌজা নকশা ও ম্যাপ ডাটাবেজ প্রস্তুত করা হয়ে থাকে । এ পদ্ধতিতে পূর্বে কোন স্কেল নির্ধারণের প্রয়োজন হয়না। ম্যাপ প্রিন্ট করার সময় যে কোন স্কেলে তা প্রিন্ট করা যায় ৷ ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রস্তুত নকশা প্রয়োজনানুযায়ী হাল- নাগাদ করা সম্ভব হবে। এ পদ্ধতির জরিপ একবার করা হলে তা বার বার করার প্রয়োজন হয় না। এ পদ্ধতিতে নকশায় দাগের এরিয়া নিখুঁতভাবে নির্ণয় করা সম্ভব। এ পদ্ধতিতে নকশায় দাগের এরিয়া স্বল্প সময়ে নিখুঁতভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হয় । এ পদ্ধতিতে তৈরী নকশায় বাহুর পরিমাপ, দাগের এরিয়া ইত্যাদি সহজে উপস্থাপন করা যায় ৷ এ পদ্ধতিতে প্লট বেইজড খতিয়ান প্রস্তুত করা হয়। এই পদ্ধতিতে ভূমি ব্যবস্থাপনা জটিলতা মুক্ত হয়ে সহজ আকার ধারণ করে।
বিডিএস জরিপ ২০২৩ । ডিজিটাল জরিপ সংক্রান্ত । ডিজিটাল রেকর্ড রুম বাংলাদেশ
ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করার জন্য ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালনা সক্ষমতা শক্তিশালীকরন প্রকল্প (জুলাই ২০২০ হতে জুন ২০২৫ পর্যন্ত)
Digital Land Survey Manual pdf Download
ডিজিটাল ভূমি জরিপ । কি ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়?
- বাংলাদেশে ভূমি নকশা প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল ভূমি জরিপ পদ্ধতির প্রবর্ত একটি যুগান্তকারী ঘটনা।
- ভূমি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে এর গুরুত্ব অপরিসীম। ডিজিটাল ভূমি জরিপের ক্ষেত্রে মূলতঃ তি ধরণের পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়।
- একটি সরাসরি জিপিএস ও টোটাল স্টেশনের মাধ্যমে ডাটা সংগ্রহ পদ্ধতি, ২য়টি সর্বশে প্রকাশিত মৌজা ম্যাপ ডিজিটাইজ ও ফিল্ড যাচাই পদ্ধতি, ৩য়টি বিমান ভূ-চিত্র অথবা উপগ্রহ ভূ-চিত্র ডিজিটাইজ এর মাধ্যে ডিজিটাল জরিপ পদ্ধতি।
- এখানে সরাসরি ফিল্ড ডাটা সংগ্রহ করে কিভাবে মৌজা ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়।
- সরাসরি ফিল্ড ডাটা সংগ্রহের জন্য বর্তমানে Electronic Total Station মেশিন ব্যবহার করা হয়। এই মেশিন দ্বারা Roa Survey, Civil works, Mining, Traverse Survey, Cadastral Survey ইত্যাদি কাজেও করা যায়।
- এটি একটি থিওডোলাই যন্ত্রেরই একটি উন্নত সংষ্করণ।
প্রথমে কোথায় বিডিএস শুরু হয়েছে?
১৮৮৮ সালে কক্সবাজার জেলার রামু থেকে শুরু হয় প্রথম ভূমি জরিপ যার নাম করন করা হয় ‘সিএস’ জরিপ আর এটি শেষ হয় ১৯৪০ সালে দিনাজপুর জেলায়। এরপর বিভিন্ন ধাপে ধাপে ‘আরএস’, ‘এসএ’, ‘পিএস’ এবং সর্বশেষ ‘বিএস’ জরিপ সম্পন্ন হয়। তবে এর পরও ভূমির জটিলতা কাটেনি। আর তাইতো এবার ড্রোন ও ফোর জেনারেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্তমান সরকার শুরু করছে বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ বা বিডিএস।