দেয়ালের ড্যাম দূর করার উপায় ২০২৫ । ড্যাম্প ওয়ালের সমাধান কি? - Technical Alamin
Latest News

দেয়ালের ড্যাম দূর করার উপায় ২০২৫ । ড্যাম্প ওয়ালের সমাধান কি?

ওয়াল ড্যাম্প হলে রং মিস্ত্রি এসে‌ ঘসে পুরনো তেঁতুল দিয়ে তিন দিন স্পে করে‌ ঠিক করে দিয়ে গেছে এখন‌ ঠিক আছে–দেয়ালের ড্যাম দূর করার উপায় ২০২৫

ওয়াল ড্যাম্প হলে ফাটল ধরে? হ্যাঁ। আমরা আপনাদের কাছে প্রায়ই শুনি দেয়ালে নোনা বা ড্যাম্প এর কথা। অর্থাৎ সাদা সাদা আস্তরণ পড়েছে, যার দীর্ঘস্থায়ীত্বে দেয়ালে রং, প্লাস্টার ঝড়ে পড়াসহ ফাটল পর্যন্ত ধরে। এতে, দেয়ালের সৌন্দর্য হারিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে বিপদজনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

দেয়ালে নোনা কেন ধরে জানেন ? দেয়ালের এই নোনা ধরার পিছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। সঠিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে। দেয়ালের মাঝে পানির লাইনের ছিদ্র দেখা দিলে । দেয়াল নির্মাণে ব্যবহৃত উপকরণে যেমন সিমেন্ট, বালু ও পানিতে লবণের পরিমাণ ২.৫% এর অধিক হলে। দেয়ালে ব্যবহৃত ইট স্বাভাবিক পোড়ানোর মাত্রা থেকে কম পোড়ানো হলে। ঘরের মধ্যে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশের সুযোগ না থাকলে। দেয়ালের প্লাস্টার ভালোমতো শুকানোর আগেই রঙ করে ফেললে ওয়াল ড্যাম্প হয়ে যায়।

বাড়ির ওয়াল বা দেয়াল ড্যাম্প হওয়ার প্রতিকার কি? পানি অপসারণের ব্যবস্থা রাখা।বাড়ির চারপাশে ড্রেনের ব্যাবস্থা করতে হবে। ছাদের পানি দূর করার জন্য ছাদ প্রয়োজনমতো ঢালু এবং রেইন ওয়াটার পাইপ রাখতে হবে। চারদিক থেকে সূর্যের আলো পরার ব্যাবস্থা থাকতে হবে। বাতাস খুবই প্রয়োজনীয়। এজন্য ভবনের যেসব রুমের ভিতরকার দেয়ালে সূর্যের আলো পৌঁছাতে পারবে না সেখানকার পরিবেশ যথেষ্ট শুকনো এবং বাতাসপূর্ণ রাখতে হবে।বিটুমিন শীট, প্লাস্টিক শীটের মতো অন্যান্য সিক্ততা প্রতিরোধক স্তর বা সিলার ব্যবহার করে নোনা ধরা দূর করা হয়। এ ধরনের সিলার ব্যবহারের ফলে দেয়ালে চিড় ধরেনা। ডেনসিফায়ার সিলার ব্যবহার করেও এই কাজটি করা যায়। এটি যেকোনো সময় ব্যবহার করা যায়, তাতে দেয়ালে নোনা ধরা বা না ধরার জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। ( 2 mm/3mm) পিভিসি বোর্ড ব্যাবহার করে ড্যাম্প দূর করা যায়। যেটা আমরা করে থাকি।

দেয়ালে ড্যাম্প হওয়ার সমাধান হলো, দেয়ালে পানি প্রবেশ বন্ধ করা এবং ড্যাম্পপ্রুফিং করতে হবে

দেয়ালে ড্যাম্প হওয়ার কারণ হলো নির্মাণের সময় নিম্নমানের বিল্ডিং সামগ্রী ব্যবহার করা হলে, জল বা বর্জ্য জলের পাইপে ফুটো থাকলে, দেয়ালে কোনো ফাটল থাকলে, ঘরের মধ্যে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশের সুযোগ না থাকলে, দেয়ালের প্লাস্টার ভালোমতো শুকানোর আগেই রঙ করে ফেললে সাধারণ দেওয়াল নষ্ট হয়ে যায়।

Caption: dam wall

ড্যাম হবে না ওয়াল ২০২৫ । মজবুত ওয়াল কিভাবে তৈরি করে?

  1. দেওয়ালের প্রধান উপাদান ইট, কংক্রিট ব্লক বা পাথর হতে পারে। এগুলোর গুণগত মান ভালো হওয়া জরুরি। সিমেন্ট, বালি এবং অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী যেন সঠিক অনুপাতে এবং ভালো মানের হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  2. ভিত্তি নির্মাণ: দেওয়ালের ভিত্তি মজবুত হওয়া অত্যাবশ্যক। ভিত্তির গভীরতা এবং প্রস্থ দেওয়ালের উচ্চতা ও ওজনের ওপর নির্ভর করে। ভিত্তি তৈরির সময় মাটির ধরণ এবং লোড বহন ক্ষমতা বিবেচনা করতে হবে।
  3. সঠিক গাঁথনি: ইট বা ব্লকগুলো সঠিকভাবে স্থাপন করতে হবে। ফাঁকা স্থান যেন না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সিমেন্টের মিশ্রণ যেন ভালোভাবে দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। দেওয়ালের সঠিক গাঁথনির জন্য অভিজ্ঞ মিস্ত্রি দ্বারা দেওয়াল তৈরি করতে হবে।
  4. রিইনফোর্সমেন্ট: দেওয়ালের শক্তি বাড়ানোর জন্য রিইনফোর্সমেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন, কংক্রিটের দেওয়ালে রড ব্যবহার করা হয়।
  5. কিউরিং: দেওয়াল তৈরির পর পর্যাপ্ত সময় ধরে কিউরিং করা প্রয়োজন। কিউরিং দেওয়ালের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
  6. জলরোধী ব্যবস্থা: দেওয়ালে যেন জল না ঢোকে, সেজন্য জলরোধী ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

দেয়ালে ড্যাম্প বা ফলে যাওয়ার সমাধান কি?

বাইরের দেয়ালে ওয়াটারপ্রুফিং কোট লাগানো, ছাদ ওয়াটারপ্রুফ করা, দেয়াল ভেদ করা থেকে আর্দ্রতা ঢোকা বন্ধ করার জন্য ওয়াটারপ্রুফ টাইলস বা একটি ড্যাম্প-প্রুফ কোর্স ইনস্টল করা, স্যাঁতসেঁতে প্রতিরোধক ইনজেকশন ক্রিম ব্যবহার করা, স্যাঁতসেঁতে প্রতিরোধী রঙ ব্যবহার করা, দেয়ালে ড্যাম্প হওয়ার লক্ষণ দেয়ালের কোনো অংশের রংয়ে বুদবুদ দেখা দেওয়া, দেয়ালের পলেস্তার ফুলে যাবে।

   
   
   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *