Google Pay Bangladesh 2025 । বাংলাদেশে ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা ‘গুগল পে’ চালু হচ্ছে?
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর, বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা ‘গুগল পে’ (Google Pay) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে চালু হতে যাচ্ছে– Google Pay Bangladesh 2025
গুগল পে বাংলাদেশে কবে চালু হবে? আগামী এক মাসের মধ্যেই এই সেবা দেশের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থায় তাদের কার্যক্রম শুরু করবে। এই সেবা চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা তাদের হাতে থাকা ডিভাইসকেই একটি পূর্ণাঙ্গ ‘ডিজিটাল ওয়ালেট’ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। এর ফলে আলাদা করে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড বহন করার প্রয়োজনীয়তা অনেকাংশে কমে যাবে।
গুগল পে ব্যবহারের সুবিধা কি? গুগল পে এর ইন্টারফেস ব্যবহার করা বেশ সহজ। দ্রুত লেনদেন সম্পন্ন করা যায়। একাধিক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যেমন – এনক্রিপশন ও জালিয়াতি সনাক্তকরণ, ব্যবহারকারীর তথ্য ও অর্থ সুরক্ষিত রাখে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি যুক্ত করে ব্যবহার করা যায়। সকল লেনদেনের ইতিহাস অ্যাপে সংরক্ষিত থাকে, যা পরবর্তীতে ট্র্যাক করা সহজ করে। গুগল পে প্রায়শই বিভিন্ন ধরনের ক্যাশব্যাক ও ডিসকাউন্ট অফার দিয়ে থাকে।
এনএফসি প্রযুক্তি কি? এনএফসি (NFC) বা নিয়ার-ফিল্ড কমিউনিকেশন হলো একটি স্বল্প-পাল্লার বেতার প্রযুক্তি যা দুটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে কাছাকাছি (<4 সেমি বা 1.5 ইঞ্চি) এনে ডেটা আদান-প্রদান করতে দেয়। এটি অনেকটা রেডিও-ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (RFID) প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি, তবে এনএফসি আরও জটিল মিথস্ক্রিয়া সমর্থন করে। এনএফসি আবেশের নীতির উপর ভিত্তি করে কাজ করে। যখন দুটি এনএফসি-সক্ষম ডিভাইস একে অপরের যথেষ্ট কাছাকাছি আসে, তখন একটি ডিভাইস (সাধারণত “ইনিশিয়েটর” বা “রিডার”) একটি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ক্ষেত্র তৈরি করে। অন্য ডিভাইসটি (“টার্গেট” বা “ট্যাগ”) এই ক্ষেত্র থেকে শক্তি গ্রহণ করে এবং ডেটা প্রেরণ বা গ্রহণ করতে পারে।
গুগল পে (Google Pay) বর্তমানে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়নি, তবে শিগগিরই এটি চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০২৫ সালের মে মাসে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গুগল পে আগামী এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশে চালু হতে পারে ।
গুগল পে (Google Pay) হলো গুগলের তৈরি একটি ডিজিটাল ওয়ালেট প্ল্যাটফর্ম এবং অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম। এর সাহায্যে ব্যবহারকারীরা তাদের মোবাইল ডিভাইস (অ্যান্ড্রয়েড ফোন, ট্যাবলেট বা স্মার্টওয়াচ) ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক লেনদেন করতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে দোকানে কেনাকাটা, অ্যাপ-মধ্যস্থ কেনাকাটা,
Caption: GPay Bangladesh
গুগল পে বাংলাদেশ ২০২৫ । গুগল পে যেভাবে কাজ করে
- গুগল পে ব্যবহার করার জন্য, ব্যবহারকারীকে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডের তথ্য অ্যাপে সংযুক্ত করতে হয়। এরপর বিভিন্ন পদ্ধতিতে লেনদেন করা যায়:
- ইন-স্টোর বা দোকানে পেমেন্ট: এনএফসি (NFC) প্রযুক্তিসম্পন্ন ডিভাইসগুলোতে ব্যবহারকারীরা পেমেন্ট টার্মিনালে তাদের ফোন বা স্মার্টওয়াচ ট্যাপ করে পেমেন্ট করতে পারেন।
- অনলাইন পেমেন্ট: বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অ্যাপে গুগল পে ব্যবহার করে দ্রুত এবং নিরাপদে পেমেন্ট করা যায়। এক্ষেত্রে বারবার কার্ডের তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
- টাকা পাঠানো ও গ্রহণ: ব্যবহারকারীরা একে অপরের গুগল পে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে ও গ্রহণ করতে পারেন।
- বিল পেমেন্ট: বিভিন্ন ধরনের বিল, যেমন – মোবাইল রিচার্জ, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ইত্যাদির বিল পরিশোধ করা যায়। গুগল পে লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এনক্রিপশন এবং জালিয়াতি সুরক্ষা ব্যবস্থার মতো বিভিন্ন ফিচার ব্যবহার করে।
গুগল পে ব্যবহারের অসুবিধা কি?
গুগল পে ব্যবহার করার জন্য স্থিতিশীল ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হয়। মাঝে মাঝে ব্যাংক সার্ভারের সমস্যার কারণে লেনদেন ব্যর্থ হতে পারে।অসাবধানতাবশত ভুল ফোন নম্বর বা ইউপিআই আইডিতে টাকা পাঠানোর ঝুঁকি থাকে। কিছু ফিচার বা সুবিধা সব দেশে বা সব ডিভাইসে উপলব্ধ নাও হতে পারে। কিছু নির্দিষ্ট ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে (যেমন ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বিল পেমেন্ট বা আন্তর্জাতিক লেনদেন) ব্যাংক কর্তৃক চার্জ প্রযোজ্য হতে পারে। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে গুগল পে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, খুব শীঘ্রই এই সেবা বাংলাদেশে আসতে পারে। এটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থায় এটি একটি নতুন সংযোজন হবে। তবে, বর্তমানে (মে ২৮, ২০২৫ অনুযায়ী) গুগল পে সরাসরি বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য সম্পূর্ণ রূপে (যেমন টাকা পাঠানো বা গ্রহণ) চালু হয়নি। কিছু ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য এটি ব্যবহার করা গেলেও, স্থানীয়ভাবে এর পূর্ণাঙ্গ সুবিধা পেতে আরও কিছু সময় লাগতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিকাশের মতো স্থানীয় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (MFS) অপারেটররা বেশ জনপ্রিয় এবং বহুলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। গুগল পে চালু হলে এটি স্থানীয় প্ল্যাটফর্মগুলোর সাথে প্রতিযোগিতায় নামবে।
গুগল পে দিয়ে কেনা কাটা করা যায় কি? হ্যাঁ।আনুষ্ঠানিকভাবে চালু নয়: বর্তমানে বাংলাদেশে গুগল পে ব্যবহার করে স্থানীয় ব্যাংক কার্ড বা মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে লেনদেন সম্ভব নয়। এটি মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের অভাব এবং স্থানীয় ব্যাংকগুলোর সঙ্গে গুগলের অংশীদারিত্ব না থাকার কারণে। বিদেশি কার্ডের মাধ্যমে সীমিত ব্যবহার: কিছু ব্যবহারকারী বিদেশি ব্যাংক কার্ড (যেমন: Revolut, Wise) গুগল পে-তে সংযুক্ত করে NFC-সক্ষম POS মেশিনে লেনদেন করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে, স্থানীয় ব্যাংক কার্ড দিয়ে এটি সম্ভব নয় ।
বিকল্প ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা-বিকাশ (bKash): বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস। | নগদ (Nagad): বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের একটি ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস। | রকেট (Rocket): ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। |
নেক্সাসপে (NexusPay): ডাচ-বাংলা ব্যাংকের একটি মোবাইল অ্যাপ যা QR কোডের মাধ্যমে পেমেন্টের সুবিধা দেয়। | ||