ইন্টারনেট গতি বাংলাদেশ ২০২৫ । জাপানের ইন্টারনেট গতি কত জানেন?
পেটাবিট (Petabit) হলো ডিজিটাল তথ্যের একটি একক, যা ডেটা স্টোরেজ এবং ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এটি ১,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০ (10^15) বিট এর সমান, যা ১,০০০ টেরাবিট (Terabit) বা ১ মিলিয়ন গিগাবিট (Gigabit) এর সমতুল্য। সহজভাবে, পেটাবিট হলো ডেটার একটি বিশাল পরিমাণ যা সাধারণত বড় ডেটা সেন্টার এবং সুপার কম্পিউটারগুলিতে ব্যবহৃত হয়-ইন্টারনেট গতি বাংলাদেশ ২০২৫
পেটাবিট কি? ডিজিটাল ডেটা পরিমাপের জন্য বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হয়। এক পেটাবিট মানে ১,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০ (10^15) বিট। বড় ডেটা সেন্টার, যেমন গুগল, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট ইত্যাদি, তাদের সার্ভারে বিপুল পরিমাণ ডেটা সংরক্ষণের জন্য পেটাবিট স্টোরেজ ব্যবহার করে থাকে। সুপার কম্পিউটারগুলি জটিল গণনা এবং ডেটা প্রসেসিংয়ের জন্য পেটাবিট ডেটা ব্যবহার করে। সম্প্রতি, জাপান ১.০২ পেটাবিট/সেকেন্ড গতির ইন্টারনেট সংযোগের রেকর্ড তৈরি করেছে। সংক্ষেপে, পেটাবিট হলো ডেটা পরিমাপের একটি বৃহৎ একক, যা আধুনিক ডিজিটাল বিশ্বে ডেটা সংরক্ষণ ও স্থানান্তরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সুপার স্পিড জাপানে? হ্যাঁ। এক সেকেন্ডে ডাউনলোড হবে নেটফ্লিক্সের পুরো লাইব্রেরি। অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি! জাপানের গবেষকরা প্রতি সেকেন্ডে ১.০২ পেটাবিট (Pbps)** ইন্টারনেট গতি অর্জন করে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। এই গতি কতটা দ্রুত এটি যুক্তরাষ্ট্রের গড় গতির চেয়ে প্রায় ৩৫ লাখ গুণ বেশি! চোখের পলকে ডাউনলোড হয়ে যাবে ওয়ারজোনের মতো ১৫০ গিগাবাইটের বিশাল গেম। একই সাথে চালানো যাবে প্রায় ১ কোটি 8K ভিডিও স্ট্রিম! সম্পূর্ণ ইংরেজি উইকিপিডিয়া ডাউনলোড করা যাবে সেকেন্ডে ১০,০০০ বার। এই যুগান্তকারী সাফল্যের পেছনে রয়েছে একটি বিশেষ ১৯-কোর বিশিষ্ট ফাইবার অপটিক কেবল, যা সাধারণ চুলের মতোই চিকন। এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI), স্বচালিত গাড়ি এবং ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের দরজা খুলে দেবে।
বাংলাদেশে ইন্টারনেট সর্বোচ্চ গতি কত? বাংলাদেশে ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ গতি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। বর্তমানে, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে ডাউনলোড স্পিড ৪৮.১৪ এমবিপিএস এবং আপলোড স্পিড ৪৭.৩১ এমবিপিএস-এর মতো পাওয়া যাচ্ছে। মোবাইল ইন্টারনেটের ক্ষেত্রেও গতি বাড়ছে এবং কিছু ক্ষেত্রে ২২০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতি পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। তবে, ইন্টারনেটের গতি বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে, যেমন – ব্যবহৃত প্রযুক্তি, সংযোগের মাধ্যম, এবং ব্যবহারকারীর অবস্থান ইত্যাদি।
ইন্টারনেট গতি কেন এত বেশি? / ইন্টারনেট গতি বেশি হলে যে কোন কাজ সম্পন্ন করতে খুবই কম সময় লাগে
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গতি কত? ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি সাধারণত ১৩.৯ এমবিপিএস এর আশেপাশে থাকে, তবে এটি ১২ থেকে ১৫ এমবিপিএস এর মধ্যে ওঠানামা করে বলে জানা গেছে। মোবাইল ইন্টারনেটের গতিও ধীরে ধীরে বাড়ছে, এবং কিছু ক্ষেত্রে ১১০ থেকে ৯০তম অবস্থানে উন্নীত হয়েছে বলে জানা গেছে কালের কন্ঠ থেকে। পরীক্ষামূলকভাবে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সংযোগ বাংলাদেশে চালু করা হয়েছে, যা মালয়েশিয়ার আইআইডি থেকে যুক্ত করা হয়েছে জানা গেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ইন্টারনেটের গতি এখনো কিছুটা কম, তবে মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে কিছু উন্নতি হয়েছে জানা গেছে।
Caption: The Best looking man in Bangladesh / Most Handsome Man in Bangladesh
সর্বোচ্চ ইন্টারনেট গতি জাপান ২০২৫ । কোন দেশে ইন্টারনেট স্পিড কত? ইন্টারনেট স্পিড বিভিন্ন দেশের অবকাঠামো, প্রযুক্তির উন্নতি এবং ব্যবহারের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। সর্বশেষ তথ্য (২০২৫ সালের মে-জুলাই মাসের হিসাব অনুযায়ী) অনুসারে কিছু দেশের ইন্টারনেটের গতি নিচে উল্লেখ করা হলো:
- সিঙ্গাপুর: ৩৬৮.৫০ Mbps – ৩৯২.৯৬ Mbps
- সংযুক্ত আরব আমিরাত: ৩১৪.৪৯ Mbps – ৩১৮.৬৩ Mbps
- হংকং: ৩১০.২৪ Mbps – ৩১২.৬০ Mbps
- ফ্রান্স: ৩০৮.০১ Mbps – ৩১৫.৩৮ Mbps
- আইসল্যান্ড: ২৯৭.৫০ Mbps – ৩০৬.২২ Mbps
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: ২৮৯.৩৪ Mbps – ২৯১.১৮ Mbps
- চিলি: ২৭৬.৭৭ Mbps – ২৯৭.৭৫ Mbps
- দক্ষিণ কোরিয়া: ২৮৮.৫৪ Mbps
- সুইজারল্যান্ড: ২৫৬.৯১ Mbps – ২৫৭.৩৮ Mbps
- ডেনমার্ক: ২৫৫.৮২ Mbps – ২৫৯.৪১ Mbps
- মোবাইল ইন্টারনেট গতির শীর্ষ দেশগুলো (গড় ডাউনলোড স্পিড):
- সংযুক্ত আরব আমিরাত: ৪৪২ Mbps – ৬৩০.১৯ Mbps
- কাতার: ৩৫৮ Mbps – ৫৮৮.০৬ Mbps
- কুয়েত: ২৬৪ Mbps – ৩৮৮.৬২ Mbps
- দক্ষিণ কোরিয়া: ১৪৮ Mbps – ৩৪১.১৮ Mbps
- বাহরাইন: ৩২৪.৩৮ Mbps
- বুলগেরিয়া: ১৭২ Mbps – ৩০৮.০১ Mbps
- ব্রাজিল: ২৯৬.৬৪ Mbps
- ডেনমার্ক: ১৬২ Mbps – ২৮৮.০৮ Mbps
- সৌদি আরব: ২৭৪.৫৪ Mbps
- ভিয়েতনাম: ২৬৯.৬৩ Mbps
বাংলাদেশের ইন্টারনেটের গতি কত?
২০২৫ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গড় ডাউনলোড গতি প্রায় ৫০.৯৩ Mbps থেকে ৫৩.১২ Mbps। মোবাইল ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে গড় গতি ৪৭.৮৭ Mbps। উল্লেখ্য, এই গতিগুলো বিভিন্ন রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে সামান্য ভিন্ন হতে পারে এবং সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। হ্যাঁ, বাংলাদেশে সাধারণত ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট মোবাইল ইন্টারনেটের চেয়ে দ্রুত গতির হয়ে থাকে। বিভিন্ন প্রতিবেদন এবং তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গড় ডাউনলোড গতি মোবাইল ইন্টারনেটের চেয়ে বেশি। যদিও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ইন্টারনেট গতি এখনো পিছিয়ে, তবে দেশের ভেতরে ব্রডব্যান্ডই তুলনামূলকভাবে বেশি দ্রুত সেবা প্রদান করে।