পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনুসন্ধান 2025 । গ্রামে বিদ্যুতের মিটার নিতে জমা টাকা লাগে?
পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন 2025 সালের জন্য অনুসন্ধান করতে, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (REB) অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যেতে পারে। সেখানে “আবেদন অনুসন্ধান করুন” বা অনুরূপ একটি বিভাগ খুঁজে পাওয়া যাবে। আবেদন নম্বর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে আবেদনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানা সম্ভব।– পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনুসন্ধান 2025
আবেদনের অবস্থা অনুসন্ধানের নতুন পদ্ধতি কি? দেশের গ্রামীণ জনপদে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (BREB)। তারই ধারাবাহিকতায়, নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য মিটার আবেদন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও স্বচ্ছ করা হয়েছে। গ্রাহক ভোগান্তি কমাতে এবং দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে অনলাইনেই মিটার আবেদনের অবস্থা যাচাই করা যাবে। পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটার সংযোগের জন্য আবেদন করার পর গ্রাহকরা প্রায়শই জানতে চান তাদের আবেদনের কী অবস্থা। এই সমস্যার সমাধানে, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। এর মাধ্যমে আবেদনকারী সহজেই তার আবেদনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
কীভাবে অনুসন্ধান করবেন? প্রথমে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। “মিটার আবেদন অনুসন্ধান” বা “Application Status” অপশনে ক্লিক করুন। এখানে আপনার আবেদনের সময় প্রাপ্ত ট্র্যাকিং নম্বরটি (Tracking Number) প্রদান করুন। এরপর “অনুসন্ধান” (Search) বাটনে ক্লিক করলেই আপনার আবেদনের বর্তমান অবস্থা, যেমন – আবেদন গৃহীত হয়েছে কি না, পরিদর্শনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে কি না, অথবা মিটার স্থাপনের জন্য প্রস্তুত কি না, ইত্যাদি তথ্য দেখতে পাবেন।
কীভাবে প্রতারণা এড়ানো যায়? দুর্ভাগ্যবশত, কিছু অসাধু লাইনম্যান বা মধ্যস্থতাকারী গ্রাহকদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা দাবি করে। এই ধরনের প্রতারণা এড়াতে নিচের বিষয়গুলো অনুসরণ করা জরুরি:
১. শুধুমাত্র অফিসিয়াল মাধ্যমে লেনদেন: বিদ্যুতের জন্য সকল প্রকার ফি, যেমন আবেদন ফি বা জামানত, অবশ্যই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নির্ধারিত ব্যাংক একাউন্টে জমা দিন। হাতে হাতে বা অন্য কোনো মাধ্যমে টাকা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
২. ট্র্যাকিং নম্বর ব্যবহার: আবেদন করার পর যে ট্র্যাকিং নম্বরটি পাবেন, সেটি ব্যবহার করে অনলাইনে আবেদনের অবস্থা যাচাই করুন। এতে করে দালাল বা লাইনম্যানের মিথ্যা তথ্যের ওপর নির্ভর করতে হবে না।
৩. অফিসে যোগাযোগ: যদি কোনো লাইনম্যান বা অন্য কেউ টাকা দাবি করে, তাহলে দেরি না করে সরাসরি নিকটস্থ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসে যোগাযোগ করে অভিযোগ করুন। আপনি সমিতির হটলাইন নম্বর ১৬৮৯৯-তেও ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারেন।
৪. সচেতনতা: মিটার সংযোগের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত খরচ সম্পর্কে সচেতন থাকুন। এই তথ্য সমিতির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, সিটিজেন চার্টার বা অফিসে সরাসরি জানতে পারবেন।
মনে রাখবেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে। তাই কোনো ধরনের অনিয়ম বা বাড়তি টাকা চাওয়ার ঘটনা ঘটলে, সাথে সাথে কর্তৃপক্ষকে জানানো আপনার কর্তব্য। গ্রাহকদের দোরগোড়ায় বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দিতে এবং হয়রানি কমাতে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (পবিস-২) এক অবস্থান সেবা কেন্দ্র চালু করেছে। এই কেন্দ্র থেকে নতুন সংযোগ, বিল সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান, মিটার পরীক্ষা, এবং অন্যান্য জরুরি সেবার বিষয়ে সরাসরি সহায়তা পাওয়া যাবে ।
নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রক্রিয়া আরও সহজ ও স্বচ্ছ? পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ নতুন সংযোগের প্রক্রিয়াকে সহজ করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন থেকে গ্রাহকরা ঘরে বসেই অনলাইনে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
অনলাইন আবেদন: আবেদনকারীকে www.rebpbs.com ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে । আবেদনের সময় অবশ্যই নিজের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে। অন্য কোনো ব্যক্তির নম্বর ব্যবহার করলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে ।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: অনলাইন আবেদনের সাথে ওয়্যারিং সম্পন্ন হওয়ার রিপোর্ট, ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং জায়গার মালিকানার দলিল বা খতিয়ানের কপি সংযুক্ত করতে হবে ।
দ্রুত সংযোগ: আবেদন অনুমোদিত হলে আবাসিক সংযোগের জন্য দুই দিনের মধ্যে এবং শিল্প সংযোগের জন্য ১৩ দিনের মধ্যে এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় জামানতের পরিমাণ জানিয়ে দেওয়া হবে । টাকা জমা দেওয়ার দুই দিনের মধ্যেই সংযোগ প্রদান করা হবে ।
মিটার জামানত: আবাসিক গ্রাহকদের জন্য প্রতি কিলোওয়াট লোডের জামানত ৪০০ টাকা এবং বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য ৬০০ টাকা । শিল্প এবং সেচ সংযোগের জন্য প্রতি কিলোওয়াট লোডের জামানত ১০০০ টাকা । উৎস তথ্য
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মটিকে আরও উন্নত করা হবে, যাতে গ্রাহকরা আবেদন থেকে শুরু করে মিটার স্থাপন পর্যন্ত প্রতিটি ধাপের আপডেট তাদের মোবাইল ফোনে এসএমএস-এর মাধ্যমে পেতে পারেন। পল্লী বিদ্যুতের নতুন মিটার সংযোগের জন্য আবেদন করতে চাইলে, নিকটস্থ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করুন অথবা তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
লাইনম্যান বিদ্যুতের মিটার লাগালে কি ফি দিতে হয়? না, পল্লী বিদ্যুতের নিয়ম অনুযায়ী মিটার লাগানোর জন্য লাইনম্যানকে কোনো ধরনের অতিরিক্ত ফি বা বকশিশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অনৈতিক। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ফি (যেমন: আবেদন ফি, নিরাপত্তা জামানত, সদস্য ফি, ইত্যাদি) পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসে বা নির্ধারিত ব্যাংক একাউন্টে জমা দিতে হয়। এই খরচের মধ্যে মিটার স্থাপন ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সরবরাহ করার খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সাধারণত মিটার, সার্ভিস ড্রপ তার এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম বিনামূল্যে সরবরাহ করে। লাইনম্যানের কাজ হলো সমিতির নিয়ম অনুযায়ী গ্রাহকের বাড়িতে মিটার স্থাপন করা এবং সংযোগ দেওয়া। এটি তাদের নির্ধারিত দায়িত্ব। এই কাজের জন্য তারা সমিতি থেকে নিয়মিত বেতন পান।
Caption: Click here to Search
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনুসন্ধান প্রক্রিয়া কি?
- reb.gov.bd ওয়েবসাইটে যান।
- “মিটার আবেদন অনুসন্ধান” অপশন ক্লিক করুন।
- আবেদন নম্বর বা মোবাইল নম্বর দিন।
- সার্চ করলে আবেদন স্ট্যাটাস (গ্রহণ, জরিপ, ডিমান্ড নোটিশ, মিটার সংযোগ) দেখাবে।
- সমস্যা হলে নিকটস্থ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করুন।
গ্রামে বিদ্যুতের মিটার নিতে জমা টাকা লাগে?
হ্যাঁ, গ্রামে বিদ্যুতের মিটার নিতে কিছু নির্দিষ্ট ফি ও জামানত জমা দিতে হয়। এটি শুধু মিটার সংযোগের অফিসিয়াল খরচ। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (BREB) নিয়ম অনুযায়ী, এই খরচগুলো স্বচ্ছ এবং নির্ধারিত।নতুন সংযোগের জন্য আবেদন করার সময় একটি নির্দিষ্ট ফি দিতে হয়। প্রতি কিলোওয়াট লোডের জন্য ৪০০ টাকা জামানত হিসেবে জমা দিতে হয় এবং সব মিলিয়ে ১১০০ টাকা নেয়া হয় এবং অতিরিক্ত অর্থ যা নেয়া হয় তা ঘুষ হিসেবে নেয়া হয়। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদস্য হওয়ার জন্য একটি ফি লাগে।এটি একটি জামানতের টাকা, যা বিদ্যুৎ ব্যবহারের লোডের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। সাধারণত, ২ কিলোওয়াট লোডের আবাসিক সংযোগের জন্য নিরাপত্তা জামানতসহ অন্যান্য খরচ মিলে একটি নির্ধারিত পরিমাণ টাকা লাগে। এই টাকা লোড (অর্থাৎ আপনি কতটা বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে চান) অনুযায়ী কম বা বেশি হতে পারে।পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সরাসরি গ্রাহকের কাছ থেকে এই নির্ধারিত ফি ছাড়া কোনো অতিরিক্ত টাকা নেয় না। যদি কোনো দালাল বা মধ্যস্থতাকারী আপনার কাছে অতিরিক্ত টাকা দাবি করে, তাহলে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। সকল লেনদেন অবশ্যই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নির্ধারিত ব্যাংকে বা অনলাইনে করতে হবে। আবেদনের সময় প্রাপ্ত ট্র্যাকিং নম্বর দিয়ে আপনি অনলাইনে আপনার আবেদনের অবস্থা এবং প্রয়োজনীয় জমার পরিমাণ জানতে পারবেন। এতে করে কোনো ধরনের প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
প্রতারণা থেকে বাঁচতে সতর্কতা কি? পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ গ্রাহকদের সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছে। যেকোনো প্রকার প্রতারণা থেকে বাঁচতে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি নতুন সংযোগ বা অন্য কোনো সেবার জন্য কোনো মধ্যস্থতাকারী বা দালালের শরণাপন্ন না হয়ে সরাসরি অফিসে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করতে হবে । সকল প্রকার ফি সরাসরি অফিসে বা রকেটের মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জমা দেওয়া যাবে । ওয়্যারিং-এর কাজ যেকোনো দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ান দিয়ে করানো যাবে। এ ক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অনুমোদনের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই । পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ শুধু নতুন সংযোগ নয়, গ্রাহকদের জন্য আরও বেশ কিছু সেবা প্রদান করছে: প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল গ্রাহকের ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হবে। বিলের কোনো অসঙ্গতি থাকলে দ্রুত অফিসে জানাতে হবে । বকেয়া বিল পরিশোধ, মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বা অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে পবিসের এক অবস্থান সেবা কেন্দ্রে যোগাযোগ করে তা পুনরায় চালু করা যাবে । গ্রাহকরা এখন ঘরে বসেই বিকাশ, রকেট, টেলিটক, জি-পে, এম-ক্যাশ, ইউ-ক্যাশ অথবা ব্যাংক, এজেন্ট ব্যাংকিং এবং ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করতে পারবেন । যেকোনো অভিযোগের জন্য এক অবস্থান সেবা কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে: মিটার বেশি ঘোরা, মিটার সকেট পুড়ে যাওয়া, বিল বেশি আসা, এবং মিটার হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়া ।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া
১️⃣ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ওয়েবসাইটে যান: https://reb.gov.bd | ২️⃣ অনলাইন আবেদন নির্বাচন করুন মেনু থেকে “নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ” বা “Online New Connection Application” অপশন সিলেক্ট করুন। | ৩️⃣ আবেদন ফর্ম পূরণ করুন প্রয়োজনীয় তথ্য দিন –নাম ও ঠিকানাজাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর মোবাইল নম্বর ইমেইল (যদি থাকে) বিদ্যুৎ প্রয়োজনের ধরন (বাসাবাড়ি/বাণিজ্যিক/সেচ) |
৪️⃣ ডকুমেন্ট আপলোড করুন NID স্ক্যান কপি জমির মালিকানা দলিল / ভাড়ার কাগজ পাসপোর্ট সাইজ ছবি | ৫️⃣ সাবমিট করুন তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পর আবেদন সাবমিট করুন। একটি আবেদন নম্বর (Tracking Number) পাবেন। | ৬️⃣ ফি জমা ও জরিপ ডিমান্ড নোটিশ এলে অনলাইনে বা অফিসে ফি পরিশোধ করুন। পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীরা জরিপ করে সংযোগের জন্য প্রস্তুতি নেবে। |
৭️⃣ মিটার সংযোগ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে নির্ধারিত তারিখে মিটার সংযোগ দেওয়া হবে। |
মিটারের আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানার উপায় ২০২৫ । পল্লী বিদ্যুতের অনলাইন আবেদন কি মঞ্জুর হয়েছে?