স্যাটেলাইট ইন্টারনেট বাংলাদেশ ২০২৪ । এটি সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য কি সুবিধা বয়ে আনবে?
ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালু করতে চায় সরকার এবং এ লক্ষ্যে জনগণের মতামত চেয়েছে বিটিআরসি- স্যাটেলাইট ইন্টারনেট বাংলাদেশ ২০২৪
স্যাটেলাইট ইন্টারনেট কি? স্যাটেলাইট ইন্টারনেট হল এমন একটি ইন্টারনেট সংযোগ যেখানে পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে থাকা উপগ্রহের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা হয়। এই উপগ্রহগুলি পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ইন্টারনেট সংকেত প্রেরণ ও গ্রহণ করে।
স্যাটালাইট ইন্টারনেট কীভাবে কাজ করে? পৃথিবী থেকে অনেক উঁচুতে অবস্থিত এই উপগ্রহগুলি শক্তিশালী অ্যান্টেনা দিয়ে সজ্জিত। পৃথিবীর স্থল স্টেশন থেকে ইন্টারনেট সংকেত উপগ্রহে পাঠানো হয়। উপগ্রহ এই সংকেতগুলিকে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত ব্যবহারকারীর স্যাটেলাইট ডিশ বা অন্যান্য রিসিভারে প্রতিফলিত করে। ব্যবহারকারীরা তাদের ডিভাইসের মাধ্যমে এই সংকেত গ্রহণ করে এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে।
স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের সুবিধা কি? যেসব অঞ্চলে ভূমিগত কেবল ব্যবস্থা নেই, সেখানে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট একটি দুর্দান্ত বিকল্প। স্যাটেলাইটের কারণে পৃথিবীর প্রায় সব জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া সম্ভব। ভূমিগত কেবলের তুলনায় স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সিস্টেম স্থাপন করা অনেক দ্রুত। যারা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাদের জন্য স্যাটালাইট সুবিধাজনক হবে না।
দাম বেশি কিন্তু স্পিড কম হবে স্যাটালাইট ইন্টানেট / স্যাটালাইট ইন্টারনেট ব্যবহার করতে কি ডিস বসাতে হবে
বাংলাদেশেও স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে। বিশেষ করে দূরবর্তী অঞ্চল এবং যেসব এলাকায় ভূমিগত কেবল ব্যবস্থা ভালো নয়, সেখানে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট একটি সম্ভাবনাময় বিকল্প।Caption: AI Info
স্যাটালাইট ইন্টারনেট বাংলাদেশ । আবেদন বা প্রসেসিং ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ টাকা
- এছাড়া অধিগ্রহণ ফি ১০ হাজার মার্কিন ডলার এবং বার্ষিক ফি ৫০ হাজার ডলার। পাশাপাশি বার্ষিক স্টেশন/টার্মিনাল ফি ২০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
- লাইসেন্সধারীকে তার বার্ষিক নিরীক্ষিত মোট রাজস্বের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ দিতে হবে বিটিআরসিকে।
- গ্রস রাজস্বের আরও এক শতাংশ বাধ্যতামূলক হিসেবে মহাকাশ শিল্পের উন্নয়ন এবং ব্যবস্থাপনায় অবদানের অংশ হিসেবে জমা দিতে হবে।
- বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ এবং দামের হার নির্ধারণ করে।
- আপনি কত পরিমাণ ডাটা ব্যবহার করবেন তার উপর নির্ভর করে খরচ বাড়তে পারে।
- স্যাটেলাইট ডিশ এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতির জন্য এককালীন খরচ করতে হয়।
- কিছু কোম্পানি ইনস্টলেশন ফি বা অন্যান্য অতিরিক্ত ফি নিতে পারে। সাধারণত, স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ভূমিগত ইন্টারনেটের তুলনায় বেশি ব্যয়বহুল। এর কারণ হল স্যাটেলাইট প্রযুক্তি এবং কক্ষপথে উপগ্রহ রাখার খরচ বেশি।
স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের অসুবিধা কি?
সাধারণত ভূমিগত ইন্টারনেটের তুলনায় স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের মূল্য বেশি। কক্ষপথের দূরত্বের কারণে সংকেত প্রেরণ ও গ্রহণে কিছুটা সময় লাগে, যার ফলে গেমিং বা ভিডিও কলের মতো কাজে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে।আবহাওয়া এবং মৌসুমের পরিবর্তনের কারণে সংকেতের গতিবেগে কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। বাংলাদেশের খারাপ আবহাওয়াপূর্ণ দেশে এটি খুব বেশি সুফল বয়ে আনবে না।