SBL DPS Scheme bd 2025 । সোনালী ব্যাংক ০১টি নতুন ডিপিএস স্কিম এনেছে?
হ্যাঁ, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য নতুন ডিপিএস স্কিম ঘোষণা করেছে। এই স্কিমের নাম “সঞ্চয়ী ডিপিএস” এবং এটি একটি মাসিক কিস্তি ভিত্তিক স্কিম। এখানে, গ্রাহক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ মাসিক কিস্তি হিসেবে জমা দিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময় পর লাভসহ সেই টাকা ফেরত পাবেন। সোনালী ব্যাংকের ওয়েবসাইটে এই স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে– SBL DPS Scheme bd 2025
সোনালী ব্যাংকের নতুন স্কিম কোনটি? আজকের আলোচনা সোনালী ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন ডিপিএস স্কিম নিয়ে আলোচনা করবো। নতুন স্কিমটির নাম—সোনালী বিশেষ সঞ্চয় প্রকল্প/Sonali Special Deposit Scheme(SSDS/ এসএসডিএস)। নতুন স্কিমটির মেয়াদ—তিন(৩) বছর। এই স্কিমে মুনাফার হার একটু বেশি–৮.৫%(সরল) নির্ধারিত রয়েছে। মাসিক কিস্তির পরিমান—১০০০ টাকা কিংবা এর গুনিতক,যে কোন অঙ্ক যা আপনি এফোর্ট করেন। এ হিসাব খোলার জন্য একটি সেটেলমেন্ট হিসাব মানে(চলতি/সঞ্চয়ী) হিসাব থাকতে হবে এবং এই স্কিম আগামী ২৪/০৭/২০২৫ তারিখ থেকে চালু হবে।
নতুন স্কিমটি কত বছরের জন্য করা যাবে? সোনালী ব্যাংক “বিশেষ সঞ্চয় প্রকল্প” নামে একটি বিশেষ সঞ্চয় প্রকল্প পরিচালনা করে। এই প্রকল্পের আওতায়, গ্রাহকরা তাদের অর্থ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জমা রেখে একটি নির্দিষ্ট হারে সুদ পান। এই স্কিমের মূল উদ্দেশ্য হল জনগণের মধ্যে সঞ্চয় করার অভ্যাস তৈরি করা এবং তাদের অর্থ নিরাপদ রাখা। এই প্রকল্পের মেয়াদ সাধারণত ৩ বছর হয়ে থাকে। গ্রাহকরা এই স্কিমে নূন্যতম ১০০০ টাকা জমা দিয়ে হিসাব খুলতে পারেন এবং যে কোন পরিমাণ টাকা জমা করতে পারেন। সঞ্চয়ী হিসাবে বিদ্যমান মুনাফা হারের অতিরিক্ত ৮.৫% হারে মাসিক জমার উপর অর্ধ বার্ষিক ভিত্তিতে সুদ প্রদান করা হয়। এই স্কিমে মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে মুনাফা উত্তোলনের সুযোগ রয়েছে। মেয়াদ শেষে অথবা প্রয়োজন অনুযায়ী, গ্রাহকরা তাদের জমাকৃত অর্থ সুদ সহ উত্তোলন করতে পারেন। এই প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য এবং নিয়মাবলী সোনালী ব্যাংকের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
৫০০০ টাকা করে ৩ বছর রাখলে কত টাকা পাওয়া যাবে? আপনি যদি প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা করে নতুন স্কিমে টাকা রাখেন তবে আপনি ৩ বছর পর ৮.৫% হারে সুদ ধার্য করে ২,০৮,৫৮৭ টাকা পাবেন অর্থাৎ আপনার আসল জমা হবে ৩ বছর ১,৮০,০০০ টাকা। সুদ বা মুনাফা হিসেবে ৩ বছর ২৮,৫৮৭ টাকা পাবেন সেখান থেকে আবার ১০-১৫% কেটে রাখা হবে। ১০% কাটলে আপনি ২৫,৭২৯ টাকা পাবেন। সে হিসেবে টাকা বাড়বে না বরং মূল্যস্ফিতির চেয়ে সুদের হার কম হওয়ার কারণে আপনার টাকা কমবে।
নতুন ডিপিএস স্কিম ২০২৫ / মূল্যস্ফিতির চেয়ে সুদের হার কম হওয়ার কারণে আপনার টাকা কমবে ৩ বছর শেষে তাই বলে কি টাকা জমাবেন না?
ডিপিএস (DPS) বা ডিপোজিট পেনশন স্কিম হল একটি সঞ্চয়ী স্কিম, যেখানে আপনি প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা করে একটি নির্দিষ্ট সময় পর সুদ সহ সেই জমানো টাকা ফেরত পেতে পারেন। এটি সাধারণত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাওয়া যায়। ডিপিএস করার প্রধান কারণ হল ভবিষ্যতের জন্য একটি নিশ্চিত সঞ্চয় তৈরি করা, যা বিভিন্ন প্রয়োজনে কাজে লাগতে পারে।
Caption: Sonali Bank DPS Scheme 2025
সোনালী ব্যাংক বিশেষ ডিপোজিট স্কিম ২০২৫ । এ ছাড়াও আরও কিছু ডিপিএস স্কিম রয়েছে যা আপনি টাকা জমানোর জন্য করতে পারেন।
- Sonali Special Deposit Scheme
- Sonali Deposit Scheme
- Sonali Bank Milionaire Scheme
- Marriage Savings Scheme
- Medicare Deposit Scheme
- Educational Deposit Scheme
ডিপিএস করলেই কি লাভ?
না। বরং টাকার মান ঠিক থাকবে। টাকা বাড়বে না। ডিপিএস-এ প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা করার ফলে একটি নির্দিষ্ট সময় পর আপনি একটি নিশ্চিত পরিমাণ অর্থ ফেরত পাবেন। এটি আপনার ভবিষ্যতের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য সঞ্চয় হতে পারে। ডিপিএস-এ জমার উপর সুদ পাওয়া যায়, যা আপনার জমানো টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এই সুদের হার বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ভিন্ন হতে পারে। ডিপিএস খোলা এবং টাকা জমা করার প্রক্রিয়া বেশ সহজ। আপনি অনলাইনে বা ব্যাংকের শাখায় গিয়ে ডিপিএস একাউন্ট খুলতে পারেন। ডিপিএস বিভিন্ন মেয়াদে পাওয়া যায়, যেমন ১ বছর, ২ বছর, ৩ বছর বা ৫ বছর। আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোনো মেয়াদে ডিপিএস করতে পারেন। ডিপিএস-কে একটি নিরাপদ এবং ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগ হিসেবে ধরা হয়, কারণ এখানে আপনার জমানো টাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। ডিপিএস আপনার ভবিষ্যতের জন্য একটি ভালো প্রস্তুতি হতে পারে, যেমন সন্তানের শিক্ষা, বিবাহ, অথবা অবসর গ্রহণের জন্য। ডিপিএস করার আগে, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিপিএস স্কিমগুলোর সুদের হার, নিয়ম ও শর্তাবলী ভালোভাবে জেনে নেয়া উচিত। কিছু ওয়েবসাইট ও ব্লগ রয়েছে যেখানে ডিপিএস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়াও, আপনি আপনার নিকটস্থ ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করে ডিপিএস সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পারেন।
Sonali Bank Deposit Schemes
ক্রমিক নং | আমানত স্কীমের নাম | মুনাফার হার (০৪ অক্টোবর ২০২১ তারিখ থেকে খোলা নতুন হিসাব সমূহের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) | মেয়াদ |
০১ | সোনালী সঞ্চয় স্কিম | ৬.৫০% (চক্রবৃদ্ধি) মাসিক কিস্তিঃ ৫০০ টাকা অথবা এর গুণিতক , সর্বোচ্চ ১০,০০০/- টাকা। | ০৫ বছর |
০২ | শিক্ষা সঞ্চয় স্কিম | ৬.৫০% (চক্রবৃদ্ধি ) মাসিক কিস্তিঃ ৫০০ টাকা অথবা এর গুণিতক , সর্বোচ্চ ১০,০০০/- টাকা। | ১০ বছর |
০৩ | চিকিৎসা সঞ্চয় স্কিম | ৬.৫০% (চক্রবৃদ্ধি ) মাসিক কিস্তিঃ ৫০০ টাকা অথবা এর গুণিতক , সর্বোচ্চ ১০,০০০/- টাকা। | ১০ বছর |
০৪ | পল্লী সঞ্চয় স্কিম | ৬.৫০% (সরল হার) মাসিক কিস্তিঃ ১০০, ২০০, ৩০০, ৪০০, ৫০০ এবং ১০০০ টাকা। | ০৭ বছর |
০৫ | বিবাহ সঞ্চয় স্কিম | ৬.৫০% (চক্রবৃদ্ধি) মাসিক কিস্তিঃ ১০০, ২০০, ৩০০, ৪০০, ৫০০, ১০০০, ২০০০, ৩০০০, ৪০০০,৫০০০,৬০০০,৭০০০, ৮০০০, ৯০০০ এবং ১০,০০০ টাকা। | ১০ বছর |
০৬ | অনিবাসী আমানত স্কিম | ৭.০০% (সরল হার) মাসিক কিস্তিঃ ৫০০০,৬০০০,৭০০০, ৮০০০, ৯০০০, ১০০০০, ১১০০০, ১২০০০, ১৩০০০, ১৪০০০, ১৫০০০ টাকা। | ০৫ বছর |
০৭ | সোনালী ব্যাংক অবসর সঞ্চয় স্কিম | ১০.০০% (সরল )০১ এপ্রিল ২০২৫ থেকে কার্যকর) | ০৩-১৫ বছর |
০৮ | সোনালী ব্যাংক মিলিওনিয়ার স্কিম | ৬.০০% (চক্রবৃদ্ধি ০৪ থেকে ০৮ বছর মেয়াদী) ৬.৫০% (চক্রবৃদ্ধি ০৯ থেকে ১৪ বছর মেয়াদী) ৭.০০% (চক্রবৃদ্ধি ১৫ থেকে ২০ বছর মেয়াদী) | ০৩-২০ বছর |
০৯ | স্বাধীন সঞ্চয় স্কিম | সঞ্চয়ী হিসাবে বিদ্যমান মুনাফা হারের অতিরিক্ত ৩% প্রাথমিক জমাঃ ১০০০টাকা | ৫ অথবা ১০ বছর |
১০ | অনন্যা সোনালী সঞ্চয় স্কিম | ৯.২৫% (সরল হার) মেয়াদ- ৩ বছর ৯.৫০% (সরল হার) মেয়াদ- ৫ বছর। মাসিক কিস্তিঃ ১০০০, ২০০০, ৩০০০, ৪০০০, ৫০০০, ৬০০০, ৭০০০, ৮০০০, ৯০০০, ১০০০০ টাকা। (১৩-১১-২০২৪ তারিখ হতে কার্যকর) | ৩ অথবা ৫ বছর |
১১ | সোনালী লাখপতি সঞ্চয় স্কিম | ৫.০০% (বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি) অথবা ৫.৫০% (বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি) মাসিক কিস্তিঃ ৪০০০, ২৬০০ টাকা। | ২ অথবা ৩ বছর |
১১ | সোনালী মাসিক মুনাফা সঞ্চয় প্রকল্প | ৮.২৫% (সরল মুনাফা) ১.০০ (এক লক্ষ) টাকা এবং এর গুণিতক হিসেবে যে কোন অংক। | ৩ বছর |
১২ | সোনালী প্রবাসী মাসিক মুনাফা প্রকল্প | ৮.৫০% (সরল মুনাফা) ২.০০ (দুই লক্ষ) টাকা এবং দুই লক্ষ টাকার উর্দ্ধে ১ (এক) লক্ষ টাকার গুণিতক হিসাবে সর্বোচ্চ ১.০০ (এক) কোটি টাকা পর্যন্ত। ১৮ (আঠারো) বছর বা তদুর্ধ বাংলাদেশী যারা বিদেশে কর্মরত/বিদেশে অবস্থান করছেন তারাই এই আমানত হিসাবে খুলতে পারবে। | ৩ বছর |