ভোটার স্থানান্তরের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া ২০২৫ । আবাসস্থল পরিবর্তনের জন্য কত তারিখের মধ্যে আবেদন করতে হবে?
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটারদের জন্য এক নির্বাচনী এলাকা থেকে অন্য এলাকায় নাম স্থানান্তরের সুযোগ রেখেছে। যারা স্থায়ী বা বর্তমান বাসস্থান পরিবর্তনের কারণে তাদের ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। স্থানান্তরের জন্য ইসির নির্ধারিত ‘ফরম-১৩’ (এক ভোটার এলাকা হইতে অন্য ভোটার এলাকায় ভোটার স্থানান্তরের আবেদন) পূরণ করে জমা দিতে হবে।
📍 স্থানান্তরের মূল প্রক্রিয়া:
- আবেদনের স্থান: আবেদনকারীকে বর্তমান ভোটার এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
- ফর্ম: স্থানান্তরের জন্য ফরম-১৩ (বিধি ২৬(৭) দ্রষ্টব্য) ব্যবহার করতে হবে।
- সংযুক্তি: আবেদনপত্রের সাথে স্থানান্তরের সমর্থনে প্রয়োজনীয় দলিলাদি সংযুক্ত করতে হবে।
📜 প্রয়োজনীয় দলিলাদি (ফরম-১৩ অনুযায়ী):
নতুন ঠিকানায় অবস্থানের প্রমাণস্বরূপ নিম্নলিখিত দলিলাদির অনুলিপি (ফটোকপি) সংযুক্ত করতে হবে:
- জাতীয় পরিচয়পত্রের (NID) ছায়ালিপি (ফটোকপি)।
- ইউটিলিটি বিলের অনুলিপি (যেমন- বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল, যদি থাকে)।
- বাড়ী ভাড়া রশিদ / চৌকিদারী কর রশিদ / পৌরকর রশিদ / অন্যান্য গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র।
- প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা / সিটি কর্পোরেশন / পৌরসভার মেয়র / ওয়ার্ড কাউন্সিলর / ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যায়ন পত্র (যেখানে আপনার বর্তমান অবস্থানকালীন বিবরণ সঠিক বলে প্রত্যায়ন করা হয়েছে)।
গুরুত্বপূর্ণ: আবেদনপত্রে স্থানান্তরের কারণ উল্লেখ করতে হবে এবং নতুন ঠিকানায় কখন থেকে অবস্থান করছেন, সেই তারিখ উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। দলিলাদি প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত করা লাগতে পারে।
⏳ সময়সীমা:
সাধারণত, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি চলাকালীন এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের পূর্ব পর্যন্ত স্থানান্তরের সুযোগ থাকে। নির্বাচন কমিশন সময়ে সময়ে এর সময়সীমা নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। স্থানান্তরের বিষয়ে সঠিক এবং সাম্প্রতিক সময়সীমার জন্য ভোটারদের নিজ নিজ উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক নাগরিকদের সঠিক তথ্য ও দলিলাদি সহ যথাসময়ে আবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন অনুরোধ জানিয়েছে।


