বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালীকরণে ব্যাংক, সরকার ও দাতা সংস্থাগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে – ব্যাংক সুদের হারে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ২০২৩
ব্যাংক সুদ কি মুদ্রাস্ফিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? – উন্নত দেশগুলোতে এই পরিস্থিতিতে প্রায় সবাই সুদের হার বাড়িয়ে মুদ্রার সরবরাহ কমিয়ে মূল্যস্ফীতিকে বাগে আনতে সফল হলেও বিকাশমান বা উদীয়মান অর্থনীতিগুলোতে শুধু এক দাওয়াই দিয়ে পুরো ফল মিলবে না বলেই আমরা ধারণা করছি। তবে আমাদের দেশের মূল্যস্ফিতি নিয়ন্ত্রণে একটি হাতিয়ার হিসেবে সুদের হার বৃদ্ধি ব্যবহার করা যেতে পারে।
দেউলিয়া শ্রীলংকার মূল্যস্ফীতি হার এখন বাংলাদেশের কম? সেপ্টেম্বরে দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়ায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৬৯ দশমিক ৮ শতাংশে। বিপাকে পড়ে গৃহস্থালি থেকে শুরু করে শিল্পোৎপাদন পর্যন্ত অর্থনীতির সব খাত-উপখাত। বছর শেষে অর্থনীতিতে সংকোচনের হার দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। সূত্র বিবিসি
শ্রীলংকার মত বাংলাদেশও কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে? বিশ্বব্যাপী অনেক দেশে গত এক বছরে মূল্যস্ফীতি কমে আসলেও বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি উল্টো বেড়েই চলেছে। এমনকি অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া শ্রীলঙ্কাও মূল্যস্ফীতি কমাতে পেরেছে, যা বাংলাদেশ পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি প্রশমনে মোটা দাগে তিন পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা এগুলো হলো- ০১। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা, ০২। সুদহার বাড়ানো ও ০৩। ত্রুটিপূর্ণ বাজার ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে হবে।
মূল্যস্ফিতি নিয়ন্ত্রণে বাজার নিয়ন্ত্রণ সরকারের বড় একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে কাজ করে থাকে / দেশে মুদ্রাসরবরাহ কমলে মুদ্রাস্ফিতি কমবে
বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি দেশের ভেতরেও এর দাম সমন্বয় করেছে সরকার। এর অভিঘাতে পণ্যমূল্য আরও বাড়ায় সীমিত ও নির্ধারিত আয়ের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
Caption: online collected
বাংলাদেশের মূল্যস্ফিতি নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপ ২০২৩ । সরকার যে সকল পদক্ষেপের মাধ্যমে মূল্যস্ফিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে
- মুদ্রাস্ফীতি ঠিক করার জন্য ফেড যে প্রধান হাতিয়ারগুলি ব্যবহার করে তা হল সুদের হার বাড়ানো৷ এটি মুদ্রানীতির একটি উদাহরণ।
- সরকার কর বৃদ্ধি বা ব্যয় কমিয়ে মুদ্রাস্ফীতি কমাতে রাজস্ব নীতি প্রবর্তন করতে পারে।
- ফেডকে সুদের হার বাড়ানোর বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে কারণ অর্থনীতির গতি কমিয়ে দিলে অনেক লোকের অসুবিধা হতে পারে।
বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়?
দেশের মূল্যস্ফিতি দিন দিন বেড়েই চলেছে। মুদ্রাস্ফীতি একটি সংকোচনমূলক আর্থিক নীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে মুদ্রাস্ফীতি পরিচালনার একটি সাধারণ পদ্ধতি। একটি সংকোচনমূলক নীতির লক্ষ্য বন্ডের দাম কমিয়ে এবং সুদের হার বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি অর্থনীতির মধ্যে অর্থের সরবরাহ হ্রাস করা। এইভাবে, খরচ কমে যায়, দাম কমে যায় এবং মুদ্রাস্ফীতি কমে যায়।