ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০২২ । ৪৬টি ইউপি সাধারণ নির্বাচন ও ০৬টি ইউপি চেয়ারম্যান এর শূন্য পদের উপনির্বাচন - Technical Alamin
Latest News

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০২২ । ৪৬টি ইউপি সাধারণ নির্বাচন ও ০৬টি ইউপি চেয়ারম্যান এর শূন্য পদের উপনির্বাচন

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ৫ বছর অন্তর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়-তবে ইউপি সদস্যের মৃত্যুর কারণে বা কোন কারণ বহি:স্কার বা সদস্যপদ স্থগিত হলে পুন: নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় – ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০২২

ইউপি নির্বাচন – ইউনিয়ন পরিষদের প্রত্যক্ষ ভোটে ৯ জন সদস্য, একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতেন। পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশ ১৯৭৬ অনুযায়ী ভাইস চেয়ারম্যানের পদটি বিলুপ্ত করা হয়। এছাড়া দুজন মনোনীত মহিলা সদস্য এবং ইউনিয়ন পরিষদকে দুজন প্রতিনিধি সদস্য (কৃষকের মধ্য থেকে) পরিষদে অর্ন্তভূক্ত করা হয়।

Allocation of Business Among The Different Ministries and Divisions (Schedule I of The Rules of Business, 1996 ) ( Revised up to April 2017 ) এর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অংশে ৩৭ নম্বর ক্রমিকে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক ৪৬টি ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ও ০৬ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর শূন্য পদের উপনির্বাচন (সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী) উপলক্ষে ভোটগ্রহণের দিন।

অর্থাৎ আগামী ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার সাধারণ ছুটি ব্যতীত নির্বাচনী এলাকাধীন যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার বা নির্বাচনী কার্যক্রমের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে, সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হলো। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকাধীন স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল অফিস/সংস্থা/প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।

২৯ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের তালিকা ২০২২

সর্বোপরি ১৯৮৩ ও ১৯৯৩ সালে স্থানীয় সরকার(ইউনিয়ন পরিষদ) অধ্যাদেশ অনুয়ায়ী প্রত্যক্ষ ভোটে একজন চেয়ারম্যান ও ০৯ জন সাধারণ সদস্য এবং সংরক্ষিত আসনে ০৩ জন মহিলা সদস্য নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদকাল- ৫ বছর।

৪৬টি ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন ও ০৬টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর শূন্য পদের উপনির্বাচন সংক্রান্ত PDF Download

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আইন । যে সকল আইনের অনুকরণে ইউপি পরিচালিত হয়।

  1. (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ পিডিএফ
  2. ইউনিয়ন পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ পিডিএফ
  3. ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) বিধিমালা, ২০১৫ পিডিএফ
  4. স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধিত) আইন, ২০১০ পিডিএফ
  5. স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ পিডিএফ
  6. স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ সংশোধন পিডিএফ
  7. স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ পিডিএফ
  8. স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ সংশোধন(১৬-২-২০১৫) পিডিএফ
  9. স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১০ (প্রতীক) সংশোধন(২৭-২-২০১৯) পিডিএফ
  10. ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) বিধিমালা (১৯-৯-২০১৯) পিডিএফ
  11. ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বিধিমালা সংশোধন (প্রতীক) সংক্রান্ত গেজেট (১৬-০৩-২০২১) পিডিএফ

বৃটিশ আমলে ইউপি সদস্য কতজন ছিল?

বৃটিশ শাসনামলে অর্থনৈতিক প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক কারণে এবং পল্লী অঞ্চলে বৃটিশদের ভিত্তি আরও সুদৃঢ় করার জন্য লর্ড মেয়ো ১৮৭০ সালে চৌকিদারী আইন পাশ করেন। এর ফলে প্রথমবারের মত পল্লী অঞ্চলে আইনগত ভিত্তির মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের উদ্ভব হয় এবং পঞ্চায়েত প্রথারপুনরাবৃত্তি ঘটে। চৌকিদারী পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যা ছিল পাঁচ জন এবং জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট পঞ্চায়েতের সকল সদস্যকে তিন বৎসরের জন্য নিয়োগ করতেন। চৌকিদারী পঞ্চায়েত ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে ১৮৮৫ সালে বঙ্গীয় স্থানীয় স্বায়ত্ব শাসন আইন প্রবর্তনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়েইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়। ইউনিয়ন কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল ৫-৯ জন এবং গ্রামবাসী কর্তৃক নির্বাচিত হতেন এবং ইউনিয়ন কমিটির পাশাপাশি চৌকিদারী পঞ্চায়েত কাজ করতো। এর ফলে পল্লী অঞ্চলে দ্বৈত শাসনের অসুবিধা সমূহ প্রকটভাবে দেখা দেয়। অতঃপর ১৯১৯সালে বঙ্গীয় পল্লী স্বায়ত্ব শাসন আইন এর অধীনে চৌকিদারী পঞ্চায়েত ও ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত করে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন বোর্ড গঠন করা হয়। ইউনিয়ন বোর্ডের সদস্য ১/৩ অংশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক মনোনয়ন দান করতেন অবশিষ্ট সদস্যগণ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হতেন। সদস্যগণ তাদের মধ্য থেকে প্রেসিডেন্ট ও একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতেন। কার্যকাল ছিল ৩(তিন) বৎসর। তবে ১৯৩৬ সাল হতে ৪(চার) বৎসর করা হয় এবং মনোনয়ন প্রথা ১৯৪৬ সালে রহিত করা হয়।

মৌলিক গণতন্ত্র আদেশ,১৯৫৯ এর অধীনে ইউনিয়ন কাউন্সিল গঠন করা হয় এবং সদস্য সংখ্যা ছিল ১০-১৫ জন। মোট সদস্যের ২/৩ অংশ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে এবং অবশিষ্ট ১/৩ অংশ মহুকুমা প্রশাসক সরকারের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দান করতেন। ১৯৬২ সালে শাসনতন্ত্র প্রবর্তনের ফলে মনোনয়ন প্রথা রহিত করা হয়। সদস্যগণ তাদের মধ্য থেকে একজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন করতেন। পরবর্তীতে ভাইস চেয়ারম্যানের পদটি বিলুপ্ত করা হয়। ইউনিয়ন কাউন্সিলের মেয়াদ ছিল ৫ বছর। বিস্তারিত জানুন এখান থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *