এলপিজি গ্যাসের দাম ২০২৫। ১২ কেজি এলপিজি গ্যাসের ডিসেম্বর মাসের মূল্য তালিকা দেখুন
এলপিজি গ্যাস প্রধানত বাসা বাড়িতে ব্যবহার হয় যদিও এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে তবুও এটির উপর নির্ভর করে দৈনন্দিন জীবন যাপন বা জীবন পদ্ধতি – এলপিজি গ্যাসের দাম ২০২৫
এলপিজি গ্যাস কি? – এলপিজি বা লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস হলো এক ধরনের জ্বালানি গ্যাস যা প্রধানত প্রোপেন এবং বিউটেন নামক হাইড্রোকার্বন দিয়ে তৈরি। উচ্চ চাপে এই গ্যাসকে তরল অবস্থায় রাখা হয় এবং ধাতব সিলিন্ডারে ভরে বাজারজাত করা হয়।
এলপিজি গ্যাস কেন ব্যবহার করি? বাড়িতে রান্নার জন্য এলপিজি সবচেয়ে জনপ্রিয় জ্বালানি। এটি দ্রুত জ্বলে এবং পরিবেশ বান্ধব। গেইজার এবং অন্যান্য গরম পানির যন্ত্রে এলপিজি ব্যবহার করা হয়। শিল্প কারখানায় বিভিন্ন উদ্দেশ্যে এলপিজি ব্যবহৃত হয়। কিছু গাড়িতে এলপিজি ব্যবহার করা হয়।
এলপিজি গ্যাসের সুবিধা ও অসুবিধা কি? এলপিজি সিলিন্ডার সহজে পরিবহনযোগ্য। এলপিজি স্টোভ এবং অন্যান্য যন্ত্রে ব্যবহার করা খুবই সহজ। অন্যান্য জ্বালানির তুলনায় এলপিজি বেশি পরিবেশ বান্ধব। যদি সঠিকভাবে ব্যবহার না করা হয়, তাহলে এলপিজি বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। এলপিজি গ্যাসে একটি বিশেষ ধরনের গন্ধ যোগ করা হয় যাতে লিক হলে তা সহজে বোঝা যায়। কিন্তু এই গন্ধ অনেকের কাছে অপ্রীতিকর হতে পারে।
১২ কেজি গ্যাসের নতুন দাম কত? ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি)-এর মূল্য সামান্য কমিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৩ টাকা কমানো হয়েছে। নতুন এই মূল্য আজ মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হবে। বিইআরসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজির দামের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসের শুরুতে মূল্য নির্ধারণ করা হয়। নতুন মূল্য অনুযায়ী, এখন থেকে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম হবে ১ হাজার ২৭০ টাকা, যা আগে ছিল ১ হাজার ২৭৩ টাকা। ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজির এই সামান্য মূল্যহ্রাস সাধারণ মানুষের জন্য কিছুটা স্বস্তি নিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এই নতুন মূল্যে এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি শুরু হয়েছে।
এলপিজি গ্যাস (LPG) হল একটি বাণিজ্যিক গ্যাস যা প্রাথমিকভাবে পেট্রলিয়াম থেকে উৎপাদিত হয় / এলপিজি গ্যাসের মূল উপাদানগুলি প্রোপেন এবং বুটেন হল।
এলপিজি গ্যাস সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত জ্বালানি উপকরণ হিসেবে পরিচিত। এলপিজি গ্যাস সম্প্রসারণযোগ্য এবং পরিবেশবান একটি জ্বালানি উপকরণ। এটি প্রাকৃতিক গ্যাসের তুলনায় বেশি পরিবেশবান এবং স্বচ্ছ হওয়া এবং এটি অধিক সুরক্ষিত ও উপযোগী একটি প্রাকৃতিক গ্যাসের বিকল্প। এলপিজি গ্যাস ব্যবহার করা হয় স্টোভ, ওভেন, তন্দুর, চুলা এবং অন্যান্য জ্বালানি উপকরণে। এছাড়াও বাণিজ্যিক ব্যবসায়ে ও গাড়ির চালক তাঁত এর ব্যবহার হয়।
সৌদি আরামকোর ঘোষিত চুক্তি মূল্য (Saudi CP) অনুযায়ী, ডিসেম্বর ২০২৫ মাসের জন্য বেসরকারি খাতে ব্যবহৃত তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) এবং অটোগ্যাসের মূল্য সমন্বয় করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) । সমন্বয়কৃত এই নতুন মূল্য আজ, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যা ৬:০০ ঘটিকা থেকে কার্যকর হবে ।
💰 বেসরকারি এলপিজি বোতলজাত ও খুচরা বিক্রয়মূল্য- সৌদি আরামকো কর্তৃক প্রোপেন এবং বিউটেনের ঘোষিত Saudi CP যথাক্রমে ৪৯৫ মার্কিন ডলার ও ৪৮৫ মার্কিন ডলার প্রতি মেট্রিক টন । প্রোপেন ও বিউটেনের অনুপাত (৩৫:৬৫) অনুযায়ী গড় Saudi CP প্রতি মেট্রিক টন ৪৮৮.৫০ মার্কিন ডলার বিবেচনায় নিয়ে মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে । নতুন সমন্বয় অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজি’র খুচরা পয়েন্টে ভোক্তা পর্যায়ে মূসকসহ প্রতি কেজির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৪.৪১ টাকা ।

Caption: Source of Information
এলপিজি গ্যাসের দাম ২০২৫ । বিভিন্ন কেজির এলপিজি বোতলের মূল্য দেখে নিন
- ৫.৫ কেজি ৫৭৫ টাকা
- ১২ কেজি ১,২৫৩ টাকা
- ১২.৫ কেজি ১,৩০৫ টাকা
- ১৫ কেজি ১,৫৬৬ টাকা
- ১৬ কেজি ১,৮৮০ টাকা
- ১৮ কেজি ১,৬৭১ টাকা
- ২০ কেজি ২,০৮৮ টাকা
- ২৫ কেজি ২,৬১০ টাকা
- ৩০ কেজি ৩,১৩৩ টাকা
- ৪৫ কেজি ৪,৬৯৯ টাকা
এলপিজি গ্যাস ব্যবহারের সময় সাবধানতা গুলো কি কি?
যদি গ্যাস লিক হওয়ার সন্দেহ হয়, তাহলে অবিলম্বে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করতে হবে এবং ঘরের ভেন্টিলেশন নিশ্চিত করতে হবে। গ্যাসের কাছে আগুন জ্বালানো বা ধূমপান করা কখনোই নিরাপদ নয়। সিলিন্ডার পরিবহনের সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সিলিন্ডারের অবস্থা নিয়মিত পরীক্ষা করে নিতে হবে।
১২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডার কত দিন যাবে? নিরুপায় হয়ে অনেক দিন থেকেই সিলিন্ডারের এলপি গ্যাস ব্যবহার করছেন শহরের জনসাধারণও কারণ চাইলেই গ্যাস সংযোগ পাওয়া যায় না। প্রতিটি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বাজারে সেল হচ্ছে। একটি সিলিন্ডার ১৮ থেকে ২৬ দিন পর্যন্ত যায়। মেহমান এলে কোনো মাসে দুটিও লাগে। তাই গ্যাসের সিলিন্ডার কত দিন যাবে তা নির্ভর করে ব্যবহারের উপর। রাইসকুকার থাকাতে কিছুটা হলেও রক্ষা। কোনো পর্যায়ে (এলপিজি মজুতকরণ ও বোতলজাতকরণ, ডিস্ট্রিবিউটর এবং ভোক্তাপর্যায়ে রিটেইলার পয়েন্টে) কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে এলপিজি (বোতলজাতকৃত এবং রেটিকুলেটেড সিস্টেমের মাধ্যমে সরবরাহকৃত)/অটোগ্যাস বিক্রয় করা যাবে না।
https://bdtimes.net/%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%82%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%ac%e0%a7%83%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%a4%e0%a6%be/

