ব্যাংক অ্যাকাউন্টের আবগারি শুল্ক হার পরিবর্তন: জেনে নিন আপনার কত টাকা কাটতে পারে - Technical Alamin
সরকারি আদেশ ও তথ্য

ব্যাংক অ্যাকাউন্টের আবগারি শুল্ক হার পরিবর্তন: জেনে নিন আপনার কত টাকা কাটতে পারে

ব্যাংক হিসাবের স্থিতির ভিত্তিতে আবগারি শুল্ক বা এক্সাইজ ডিউটির হার পরিবর্তন করা হয়েছে। সরকার এস.আর.ও নং-১৮৯-আইন/২০২৩/২৬৭-আবগারি, তারিখ: ২৯-০৬-২০২৫ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক আবগারি কর্তনের এই হার নির্ধারণ করেছে, যা ০১ জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে কার্যকর হচ্ছে। এই শুল্ক শুধুমাত্র ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

নতুন হার অনুযায়ী, অ্যাকাউন্ট স্থিতির ভিন্নতার কারণে গ্রাহকদের বিভিন্ন অঙ্কের শুল্ক দিতে হবে। এটি বছরের যেকোনো সময় হিসেবে সর্বোচ্চ স্থিতি ধরে হিসাব করা হবে।

💸 নতুন আবগারি শুল্কের হার (০১ জুলাই ২০২৫ থেকে কার্যকর)

ব্যাংক হিসাবের সর্বোচ্চ স্থিতিআবগারি শুল্কের হার
৩,০০,০০০/- টাকা পর্যন্তশূন্য
৩,০০,০০১/- টাকা থেকে ৫,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত১৫০/- টাকা
৫,০০,০০১/- টাকা থেকে ১০,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত৫০০/- টাকা
১০,০০,০০১/- টাকা থেকে ৫০,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত৩,০০০/- টাকা
৫০,০০,০০১/- টাকা থেকে ১,০০,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত৫,০০০/- টাকা
১,০০,০০,০০১/- টাকা থেকে ২,০০,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত১০,০০০/- টাকা
২,০০,০০,০০১/- টাকা থেকে ৫,০০,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত২০,০০০/- টাকা
৫,০০,০০,০০১/- টাকা হতে তদূর্ধ্ব৫০,০০০/- টাকা

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: গ্রাহকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বছরের যেকোনো সময় যদি ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্থিতি থাকে, তাহলে কোনো আবগারি শুল্ক দিতে হবে না। তবে, স্থিতি ৩ লাখ ১ টাকা হলেই ১৫০ টাকা শুল্ক কাটা হবে।

এই পরিবর্তন গ্রাহকদের মধ্যে তাদের ব্যাংক লেনদেন এবং সঞ্চয়ের ওপর কী প্রভাব ফেলে, সেদিকে এখন সবার নজর থাকবে।

আবগাড়ি শুল্ক কি?

আবগারি শুল্ক (Excise Duty) হলো এক ধরনের পরোক্ষ কর যা সরকার দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত পণ্য, প্রদত্ত সেবা বা নির্দিষ্ট আর্থিক কার্যক্রমের ওপর ধার্য করে। এটি সাধারণত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আয় বা মুনাফার ওপর আরোপিত হয় না, বরং সেই পণ্য বা সেবার উৎপাদন, বিক্রয়, ব্যবহার বা ভোগ-এর ওপর আরোপিত হয়।

🔑 মূল বিষয়সমূহ:

  • পরোক্ষ কর: এটি সরাসরি ভোক্তার কাছ থেকে আদায় করা হয় না। বরং পণ্য বা সেবা প্রদানকারী (যেমন ব্যাংক বা উৎপাদক) এটি সংগ্রহ করে সরকারের কোষাগারে জমা দেয় এবং শেষ পর্যন্ত এর বোঝা ভোক্তার ওপরই বর্তায়।

  • দেশীয় পণ্য/সেবা: মূলত দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত বা প্রস্তুতকৃত পণ্য ও সেবার ওপর আবগারি শুল্ক আরোপ করা হয়।

  • সরকারের রাজস্ব উৎস: এটি সরকারের রাজস্ব সংগ্রহের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।

🏦 ব্যাংক হিসাবের ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক:

আপনি যে ছবিটি দিয়েছেন, সেখানে ব্যাংক হিসাবের ওপর আবগারি শুল্কের কথা বলা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে:

  1. কার্যের ধরন: ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত সেবার বিপরীতে এই শুল্ক আরোপ করা হয়।

  2. কখন কাটা হয়: এটি সাধারণত বছরে একবার ব্যাংক হিসেবে সর্বোচ্চ স্থিতির (বছরের যেকোনো সময়ে অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ যে পরিমাণ টাকা ছিল) ভিত্তিতে কেটে নেওয়া হয়।

  3. উদ্দেশ্য: এটি মূলত সরকারের রাজস্ব সংগ্রহের অংশ।

💡 উদাহরণ:

  • ব্যাংক হিসাবে টাকা রাখা: আপনার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী স্থিতির ভিত্তিতে শুল্ক কাটা হয়।

  • তামাক বা মদ জাতীয় পণ্য: এই ধরনের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়, যার একটি উদ্দেশ্য হলো এই জাতীয় দ্রব্যের ভোগকে নিরুৎসাহিত করা।

  • বিমান টিকেট, মোবাইল ফোন পরিষেবা (পূর্বে প্রযোজ্য ছিল): নির্দিষ্ট কিছু সেবার ওপরও আবগারি শুল্ক ধার্য করা হয়ে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *