জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড । মোবাইলেই NID অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম ২০২৪
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন বা যারা ভোটার হয়েছেন কিন্তু এখনও পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্র পান নি তারা খুব সহজেই অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে এনআইডি ডাউনলোড করতে পারেন।
যদি আপনি ইতোমধ্যে আপনার এনআইডি পেয়ে থাকেন তবে আপনি অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করে ডাউনলোড করতে পারবেন না তবে আপনি যদি এনআইডিতে কোন অনলাইন সংশোধন আবেদন করেন তবে আপনি অনলাইন কপি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।
ডাউনলোড এনআইডি অনলাইন কপি ২০২৪
জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইন হতে তারাই ডাউনলোড করতে পারেন যারা মূলত নতুন ভোটার হয়েছে কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র পান নি অথবা অনলাইনে জাতীয়পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আবেদন করেছে এবং আবেদন অনুমোদন হয়েছে তবে আপনি এনআইডি অনলাইনে ডাউনলোড করতে পারবেন। তবে অনলাইনে সংশোধন আবেদন করতে আপনাকে ৩৪৫ টাকা ফি গুণতে হবে।
নতুন ভোটার হয়েছেন যারা তারা যদি অনলাইনে এনআইডি ডাউনলোডের জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন তবে বিনামূল্যে এনআইডি ডাউনলোড করতে পারবেন। নতুনদের জন্য ভোটার স্লিপ বা এনআইডি নম্বর দিয়ে খুব সহজেই অনলাইন হতে NID ডাউনলোড করা যায়।
মোবাইল দিয়েই কি এনআইডি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়?
জি, জাতীয় পরিচয়পত্র সার্ভিস মোবাইল ফ্রেন্ডলি তাই আপনি মোবাইল দিয়েই এ কাজটি সম্পন্ন করে ফেলতে পারেন। তবে ডেক্সটপ কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়েও আপনি অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন প্রক্রিয়া সহজ করতে বিষয়টি অনলাইনে আনা হয়েছে। তবে কিছুটি বিষয় আপনি ডকুমেন্ট সাবমিট করে স্বশরীরে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় অফিসে না গিয়েও সেরে ফেলতে পারেন। অনলাইনে রেজিস্ট্রে প্রক্রিয়া শেষ করে প্রফাইলে গিয়ে এডিট করতে পারেন। এনআইডি’র বিপরীতে মোবাইল ব্যাংকিং এ ফি পরিশোধ করে।
নির্বাচন কমিশন অফিসে যাওয়া ছাড়া কি কি তথ্য পরিবর্তন করা যায়?
জি, এটি একটি ভাল বিষয় আপনার যদি এনআইডিতে কোন ভুল থেকে থাকে তবে আপনি খুব সহজেই তা অনলাইনেই আবেদন করে পরিবর্তন করতে পারেন। যদি আপনার নামে কোন ভুল থাকে সেটি অক্ষর বা নামের অংশ তা আপনি জন্ম সনদ বা কোন বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট (যেমন এস.এস.সি পরীক্ষার সনদ স্ক্যান কপি) দাখিল করেই ১-২ মাসের মধ্যে অনলাইন অনুমোদন পেয়ে তা সংশোধন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে ফিজিক্যালি নির্বাচন কমিশন অফিসে যেতে হবে না। অনলাইনে সুবিধা হচ্ছে আপনি সরাসরি প্রধান নির্বাচন অফিসে আবেদনটি দাখিল করতে পারছেন। আর কি পরিবর্তন করা যায়?
রক্তের গ্রুপ পরিবর্তনে ব্লাড গ্রুপ সনাক্তের মেডিকেল প্যাথলজিক্যাল রিপোর্টের স্ক্যান কপি, জন্ম তারিখ সংশোধণে জন্ম সনদ, বাবা-মাকে মৃত দেখাতে মৃত্যু সনদ, বৈবাহিক অবস্থা বিবাহিত দেখাতে কাবিন নামার স্ক্যান কপি, টিআইএন নম্বর যুক্ত করতে টিআইন সার্টিফিকেট, উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা যোগ করতে সার্টিফিকেটের কপি, পেশা পরিবর্তন করতে কর্তৃপক্ষের যোগদানপত্র-যেমন সরকারি চাকরিজীবী দেখাতে চাকরিতে প্রথম যোগদানের কপি, অক্ষম দেখাতে প্রতিবন্ধী সনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর ও পাসপোর্ট নম্বর যোগ করতে এগুলোর কপি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে, ধর্ম পরিবর্তন করতে ধর্ম পবিরর্তনের এফিডেভিট কপি, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করতে চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট বা সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রত্যয়ন পত্র। উ
সংক্ষেপে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার নির্দেশনাবলী ২০২৪
ক্যাপশন: রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করে অ্যাপের মাধ্যমে Face Verification করতেই হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করা নিয়ম ২০২৪
প্যানিক হবেন না, আপনি নিজেই অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। এটি কোন জটিল প্রক্রিয়া না। যদি লেখা পড়ে করতে সমস্যা হয় তবে নিচের ভিডিও দেখে নিবেন। আসুন প্রথমে কি করতে হবে প্রতিটি স্টেপ ভাল করে জেনে বুঝে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলি। আপনি যদি ভোটার হয়ে থাকেন তবে নিচের ঘরটি ফিলাপ করবেন। যদি এনআইডি নম্বর না থাকে তবে ফর্ম নম্বরই দিন।
এনআইডি রেজিস্ট্রেশন প্রথম ধাপ-১
জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর অথবা ফর্ম নম্বর যে কোন একটি দিন। জন্ম তারিখ দিন এবং ক্যাপচা এন্ট্রি করুন (ঝাপসা লেখা গুলো পড়ে ছবিতে প্রদর্শিত কোডটি প্রবেশ করান এখানে লিখতে হবে)। সাবমিট ক্লিক করুন।
এনআইডি রেজিস্ট্রেশন ধাপ-২
বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা অবশ্যই আপনি যেভাবে ভোটার হওয়ার সময় সরবরাহ করেছেন ঠিক সেভাবেই ইনপুট দিবেন। ঠিক একইভাবে আপনি যদি এনআইডি পেয়ে থাকেন সেভাবেই বিভাগ, জেলা ও উপজেলার তথ্য দিবেন। পরবর্তী ক্লিক করুন। মনে রাখবেন বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা নির্বাচন করতে হবে। কারণ প্রদত্ত তথ্যটি যাচাই করা হবে
ভোটার হওয়া নাগরিকের নিবন্ধন ধাপ-৩
এ ধাপে এসে আপনি অবশ্যই আপনার নিজ নামে রেজিস্ট্রিকৃত মোবাইল নম্বরটি ইনপুট দিন। পরবর্তীতে পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে আপনি এই মোবাইল নম্বরটিই ব্যবহার করবেন। তাই বিভ্রান্তি এড়াতে আপনার বর্তমান মোবাইল নম্বরটি সরবরাহ করুন। এই নম্বরটি পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য দরকার হতে পারে। আপনার বিশ্বস্ত কারো মোবাইল নম্বরও এখানে ব্যবহার করতে পারেন। বার্তা পাঠান এ ক্লিক করুন।
এনআইডি রেজিস্ট্রেশন মোবাইল ভেরিফিকেশন ধাপ-৪
আপনার মোবাইলে একটি ম্যাসেজ যাবে যেখানে ৬ সংখ্যার একটি ওয়ান টাইম পাসকোড যাবে সেটি ইনপুট দিতে হবে। ছয় সংখ্যার যাচাইকরণ কোডটি পাঠানো হয়। কোডটি ১ মিনিটের মধ্যেই ইনপুট করতে হয় এবং যদি উল্লিখিত সময়ে কোড ইনপুট দিতে না পারেন তবে পুনরায় পাঠান ক্লিক করলে আবার পাসকোড বা ভেরিফিকেশন কোড পাবেন।
মোবাইলে যে রকম কোড আসবে
আপনার মোবাইলে আসা কোডটি উপরের চিত্রের মত হবে। লেখা থাকবে Your Verification Code is 183535 for NID 192345566. Please insert your verification code-EC, Bangladesh.
NID Wallet এপ্লিকেশন ইনস্টল ধাপ-৫
অনলাইন প্রক্রিয়ার ৫ম ধাপ ফেস ভেরিফিকেশন। আপনি আপনার মোবাইলে গুগল প্লে স্টোর হতে NID Wallet ডাউনলোড করুন। অ্যাপটি ওপেন করলে স্ক্যান করার অপশন আসবে। আপনি বারকোডটি স্ক্যান করে নিন এবং ফেস ভেরিফিকেশন করান। মোবাইল সেলফিতে স্ট্রেইট, ডানে এবং বামে মুভ করে ফেস স্ক্যান করুন।
মোবাইলে যদি রেজিস্ট্রেন করতে যান নিচের চিত্র দেখাবে
উপরের TAP TO OPEN NID WALLET লাল বক্সে ক্লিক করলে NID Wallet অ্যাপে নিয়ে যাবে। যদি আপনার এনআইডি ওয়ালেট ইনস্টল করা থাকে। যদি ইনস্টল করা না থাকে প্লে স্টোরে নিয়ে যাবে। আপনি সেখান থেকে এনআইডি ওয়ালেট ডাউনলোড করে নিবেন।
NID Wallet এপ্লিকেশনে ফেস ভেরিফিকেশন ধাপ-৬
ফেস ভেরিফিকেশন একটু কঠিন বিষয়। আপনি গাফরিয়ে যাবেন না। আপনার হাতে সেলফি ভঙ্গিতে মোবাইল ধরুন। প্রথমে ডাইরেক্ট ফেস দেখান। চিত্র তিনটির মতন, তবে ডানে বামে এমন এভাবে ধরবেন যাবে সাইড ফেইস দেখা যায়। আপনি অবশ্যই প্রতিক্ষেত্রে ক্যামেরার দিকে তাকাবেন। পলক ফেলবেন। ইনটিলিজেন্স আর্টিফিসিয়াল সফটওয়্যার আপনার ফেস ডিটেক্ট করবে তাই আপনি জীবন্ত থাকার চেষ্টা করুন। পলক ফেলুন নড়াচড়া করুন। একাধিক বার ট্রাই করুন ফেইল হলেও। তিনটি টিক আসলেই কাজ শেষ। ম্যাসেজ আসবে Please Press OK to close App to go back to browser. পিসি হলে পিসিতে যান দেখবেন অটো ফরওয়ার্ড হয়েছে।
রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন ম্যাসেজ আসবে স্বাগতম জানিয়ে ধাপ-৭
ফেস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলেই আপনাকে স্বাগতম জানিয়ে এনআইডি’র পূর্বে দেওয়া ছবি দেখাবে এবং আপনাকে ম্যাসেজ দেখাবে যে, “ আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার অ্যাকাউন্টটি সুরক্ষিত করার পরামর্শ দিচ্ছি। আপনি যদি পাসওয়ার্ড ভুলে যান তবে পুনরায় সেট করার জন্য আপনার মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে। আপনি যদি কোনও পাসওয়ার্ড সেট না করেন তবে আপনার অ্যাকাউন্টে পুনরায় প্রবেশ করতে আপনার এই প্রক্রিয়াটির পুনরাবৃত্তি করতে হবে” সারকথা হচ্ছে আপনি পাসওয়ার্ড সেট করুন না হলে প্রত্যেক বার মোবাইল ভেরিফিকেশন করে ঢুকতে হবে। যাক আপনি এড়িয়ে যান এ গিয়ে পাসওয়ার্ড সেট করার মত ঝামেলা থেকে সরে যেতে পারেন। তবে আপনিও আপনাকে পরামশ দিচ্ছি সেট পাসওয়ার্ড ক্লিক করে পাসওয়ার্ড সেট করুন।
পাসওয়ার্ড সেটিং ধাপ-৮
পাসওয়ার্ড সেট এ ক্লিক করলে উপরের চিত্রের মত স্ক্রিন আসবে। আপনি ইউজার নেইম মনে রাখার জন্য নামের যে কোন অংশ দিন এবং শেষে আপনার জন্ম সাল যোগ করে দিন। এতে আপনার ইউজারনেম ইউনিক হবে। যেমন Rashelahmed1981 এবং পাসওয়ার্ড এ আপনি প্রথমে ক্যাপিটাল লেটার, একটি চিহ্ন এবং সংখ্যা ব্যবহার করুন। যেমন Gazipur@1981 দিন।
উপরের মত করে আপনি খুব সহজেই রেজিস্ট্রেশন ৮টি ধাপ অনুসরণ করে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম সেরে নিতে পারেন। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড ইত্যাদির জন্য আরও টিউটোরিয়াল রয়েছে সেগুলো দেখুন।
ভিডিও আসছে………………