জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সাত কর্মকর্তার নতুন পদায়ন ২০২৫ । সিনিয়র সহকারী সচিব হতে উপসচিব (ক্যাডার বর্হিভূত) পদে পদোন্নতির বিধান কি? - Technical Alamin
সরকারি আদেশ ও তথ্য

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সাত কর্মকর্তার নতুন পদায়ন ২০২৫ । সিনিয়র সহকারী সচিব হতে উপসচিব (ক্যাডার বর্হিভূত) পদে পদোন্নতির বিধান কি?

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতি এবং বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন সাতজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক আজ (২৬ নভেম্বর ২০২৪) প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এই নিয়োগ ও পদায়নের কথা জানানো হয়েছে।

🌟 পদায়নকৃত কর্মকর্তারা হলেন:

নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তালিকা এবং তাঁদের বর্তমান কর্মস্থল নিম্নরূপ:

  • জনাব মো: আবুল খালেক (১১১১৪):

    • পদ: সিনিয়র সহকারী সচিব

    • বিভাগ: স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ।

  • জনাব মো: মওজুল ইসলাম (১১৯৭৫):

    • পদ: সিনিয়র সহকারী সচিব

    • বিভাগ: বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (সিনিয়র সহকারী সচিব, ভূমি সংস্কার হিসেবে পদোন্নতির অপেক্ষায়)।

  • নিজ সিডিউল সৃজন (১১৩০০):

    • পদ: সিনিয়র সহকারী সচিব

    • বিভাগ: সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

  • জনাব এস. এম. মনিরুজ্জামান (১১০৫০):

    • পদ: সহকারী ওয়াক্ফ প্রশাসক (সিনিয়র সহকারী সচিব)

    • বিভাগ: বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসকের কার্যালয়।

  • জনাব মো: ফরহাদ মিঞা (১১০১৮):

    • পদ: সিনিয়র সহকারী সচিব

    • বিভাগ: রেলপথ মন্ত্রণালয়।

  • জনাব এস.এম মাহ্তাবুল হক (১১৯১৪):

    • পদ: সিনিয়র সহকারী সচিব

    • বিভাগ: প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

  • জনাব মুহ গোলাম মোস্তফা (১১৯৯৬):

    • পদ: সিনিয়র সহকারী সচিব

    • বিভাগ: যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

🔹 অতিরিক্ত তথ্য:

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে যে, সরকারের উপসচিব (ক্যাডার বহির্ভূত) পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাঁদের যোগদানপত্র সরাসরি সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বরাবর অথবা ইমেইলের (sale@mopa.gov.bd) মাধ্যমে পাঠাতে পারবেন।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনটি জারি করেন উপসচিব মোঃ সামসুল হক।

সিনিয়র সহকারী সচিব হতে উপসচিব (ক্যাডার বর্হিভূত) পদে পদোন্নতির বিধান কি?

সিনিয়র সহকারী সচিব পদ থেকে উপসচিব (ক্যাডার বহির্ভূত) পদে পদোন্নতি হলো নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক চাকুরির কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এই পদোন্নতির প্রক্রিয়াটি মূলত ‘সরকারি কর্মচারী (পদোন্নতি) বিধিমালা’ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক সময়ে সময়ে জারি করা নীতিমালা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এখানে সিনিয়র সহকারী সচিব হতে উপসচিব (ক্যাডার বহির্ভূত) পদে পদোন্নতির প্রধান বিধান ও শর্তসমূহ তুলে ধরা হলো:


১. 📝 পদোন্নতির জন্য প্রাথমিক শর্তাবলী

এই পদে পদোন্নতির জন্য একজন সিনিয়র সহকারী সচিবকে (নন-ক্যাডার) নিম্নলিখিত মূল শর্তগুলো পূরণ করতে হয়:

  • ১. গ্রেড ও পদের জ্যেষ্ঠতা: প্রার্থীকে অবশ্যই সিনিয়র সহকারী সচিব বা সমমানের পদে (সাধারণত গ্রেড-৮/৯) কর্মরত থাকতে হবে এবং পদোন্নতি বিবেচনার জন্য নির্ধারিত জ্যেষ্ঠতা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।

  • ২. শিক্ষাগত যোগ্যতা: সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।

  • ৩. চাকরির নির্ধারিত মেয়াদ: সিনিয়র সহকারী সচিব বা সমমানের পদে এবং চাকুরির মোট মেয়াদের একটি নির্দিষ্ট অংশ সন্তোষজনকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। পদোন্নতি বিধিতে এই মেয়াদ সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া থাকে (যেমন, উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য সিনিয়র সহকারী সচিব পদে ৩-৫ বছরের সন্তোষজনক চাকুরি বা মোট চাকুরির একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকতে পারে)।

  • ৪. বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (ACR/APR): বিগত বছরের (সাধারণত ৩ থেকে ৫ বছর) বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনে (এসিআর/এপিআর) সন্তোষজনক বা তার ঊর্ধ্বে মূল্যায়ন থাকতে হবে।

  • ৫. বিভাগীয় মামলা ও শাস্তি: প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো গুরুতর বিভাগীয় মামলা বা শাস্তি (গুরুদণ্ড) থাকলে পদোন্নতির জন্য অযোগ্য বিবেচিত হতে পারেন।


২. 🧑‍🎓 প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা

অনেক সময় এই পদোন্নতির জন্য নির্দিষ্ট কিছু প্রশিক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক হতে পারে:

  • বিসিএস প্রশাসন অ্যাকাডেমির প্রশিক্ষণ: উপসচিব পদে পদোন্নতির জন্য নির্ধারিত ‘আইন ও প্রশাসন কোর্স’ বা অন্যান্য বাধ্যতামূলক প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণ ও উত্তীর্ণ হওয়া প্রয়োজন হতে পারে।


৩. 🏛️ পদোন্নতি প্রক্রিয়া ও কমিটি

পদোন্নতির পুরো প্রক্রিয়াটি একটি নির্দিষ্ট কমিটির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়:

  • সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (SSB): উপসচিব (ক্যাডার বহির্ভূত) পদে পদোন্নতির জন্য সাধারণত সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) অথবা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কোনো পদোন্নতি কমিটি (Promotion Committee) দায়িত্ব পালন করে।

  • বিবেচনার মানদণ্ড: এসএসবি/কমিটি নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করে পদোন্নতির জন্য উপযুক্ততা যাচাই করে:

    • জ্যেষ্ঠতা।

    • এসিআর/এপিআর মূল্যায়ন।

    • চাকুরির রেকর্ড ও সুনাম।

    • প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা।

  • চূড়ান্ত অনুমোদন: এসএসবি-এর সুপারিশের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়/প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।


৪. 📜 আইনি ভিত্তি

এই পদোন্নতির মূল ভিত্তি হলো:

  • সরকারি কর্মচারী (পদোন্নতি) বিধিমালা, ২০০২ (সংশোধিত): এই বিধিতে সকল স্তরের সরকারি কর্মকর্তাদের পদোন্নতির সাধারণ নীতিমালা ও শর্তাবলী উল্লেখ করা হয়েছে।

  • জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন: সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন নন-ক্যাডার পদের কর্মকর্তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার শর্তাবলী সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়।

সংক্ষেপে, সিনিয়র সহকারী সচিব হতে উপসচিব (ক্যাডার বহির্ভূত) পদে পদোন্নতি পেতে হলে জ্যেষ্ঠতা, সন্তোষজনক চাকুরি, নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণে সফল সমাপ্তি এবং উচ্চ পর্যায়ের সিলেকশন বোর্ডের সুপারিশ অত্যাবশ্যক।

https://bdservicerules.info/govt-seniority-list-bangladesh/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *