Cryptocurrency Prohibited in Bangladesh । দেশে বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন নিষিদ্ধ?
যে কোন ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রায় (যেমন বিটকয়েন, ইথারিয়াম, রিপল ইত্যাদি) লেনদেন অথবা এরূপ লেনদেন অথাব এরূপ কার্যে সহায়তা প্রদান ও এতদসংক্রান্ত প্রচারণা হতে বিরত থাকার জন্য সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় অনুরোধ করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রেস বিজ্ঞপ্তি
প্রধান কার্যালয়
ঢাকা।
প্রধান বার্তা সম্পাদক
ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া
ঢাকা
বিটকয়েন বা ভার্চুয়াল মুদ্রা কোনো দেশের বৈধ মুদ্রা নয়, সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুকিঁ এড়ানোর পক্ষে এ বিট কয়েনে কোনো প্রকার লেনদেন থেকে বিরত থাকার জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ করা যাচ্ছে-বাংলাদেশ ব্যাংক
ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে স্পষ্টীকরণ বিজ্ঞপ্তি
সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রা/ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ে প্রকাশিত রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে এসেছে। একটি নির্দিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার গোপনীয় ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হতে পত্রের মাধ্যমে প্রেরিত মতামতের অংশ বিশেষ কোন কোন পত্রিকায় খন্ডিতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে যা কোনক্রমেই সাধারণভাবে প্রচারযোগ্য নয়। উল্লেখ্য, সকলের সচেতনতার লক্ষ্যে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেন থেকে বিরত থাকার বিষয়ে ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক গণমাধ্যমে ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে নিম্নরূপ একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়:
সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং ইন্টারনেট হতে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায় যে, অনলাইন ভিত্তিক ভার্চুয়াল মুদ্রা বা Crypto Currency যথা Bitcoin, Ethenreum, Ripple, Litecoin ইত্যাদি বিধিম বিনিময় প্লাটফর্মে (Exchange Platform) লেনদেন হচ্ছে। এসব ভার্চুয়াল মুদ্রা কোন দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ মুদ্রা (Legal Tender) নয় বিধায় এর বিপরীতে কোন আর্থিক দাবীর (Financial Claim) স্বীকৃতও থাকেনা। এসব মুদ্রায় লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্য কোন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত নয় বিধায় এসব ভার্চুয়াল মুদ্রার ব্যবহার বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭; সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর দ্বারা সমর্থিত হয় না। অনলাইনে নামবিহীন/ছদ্মনামিক প্রতিসঙ্গীর সাথে ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেনের দ্বারা অনিচ্ছাকৃতভাবে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত আইনের লঙ্গন হতে পারে। মূলত: অনলাইন ভিত্তিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রায় অর্থ মূল্য পরিশোধ ও নিষ্পত্তি সংঘটিত হয় এবং এটি কোন কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ /পেমেন্ট সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বীকৃত না হওয়ায় গ্রাহক গণ ভার্চুয়াল মুদ্রার সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুকিঁসহ বিভিন্ন ঝুকিঁর সম্মুখীন হতে পারেন। এমতাবস্থায় সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুকিঁ এড়ানোর লক্ষ্যে বিটকয়েনের ন্যায় ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেন বা এসব লেনদেনের সহায়তা প্রদান ও এর প্রচার হতে বিরত থাকার জন্য সর্বসাধারণকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।”
উক্ত বিজ্ঞপ্তি এখনও বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হচ্ছে এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। এ প্রসঙ্গে সর্বসাধারণের জ্ঞার্থে পুনরায় জানানো যাচ্ছে যে, কোন ভার্চুয়াল মুদ্রা/ ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত নয়। সম্ভাব্য আর্থিক ও আইনগত ঝুকিঁ এড়ানোর লক্ষ্যে যে কোন ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রায় (যেমন বিটকয়েন, ইথারিয়াম, রিপল ইত্যাদি) লেনদেন অথবা এরূপ লেনদেন অথাব এরূপ কার্যে সহায়তা প্রদান ও এতদসংক্রান্ত প্রচারণা হতে বিরত থাকার জন্য সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় অনুরোধ করা যাচ্ছে।
জনস্বার্থে এ সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারী করা হ’ল।
ধন্যবাদান্তে
(জী. এম আবুল কালাম আজাদ)
মহাব্যবস্থাপন (সহকারী মুখপাত্র, বাংলাদেশ ব্যাংক
বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা: ডাউনলোড