BRTA Smart Driving Licence Card । ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির পর বিদেশী ভিসা প্রসেস শুরু করবেন

BRTA Smart Driving Licence Card । ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির পর বিদেশী ভিসা প্রসেস শুরু করবেন

দেশের ড্রাইভিং স্মার্ট কার্ডে কিউআর কোড যুক্ত থাকায় এটি আন্তর্জাতিক ভাবেও গ্রহণযোগ্য তাই স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পরই ভিসা কার্যক্রম শুরু নির্দেশনা জারি করা হয়েছে – BRTA Smart Driving Licence Card

বাংলাদেশের লাইসেন্স কি বিদেশে গ্রহণযোগ্য হবে? – হ্যাঁ। বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণযোগ্যতা পাবে। আপনি বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড অনলাইনে চেক করতে পারবেন। তাই বিদেশী কর্তৃপক্ষও এটি চেক করতে পারবেন পৃথিবীর যে কোন স্থান হতেই। তাছাড়া আন্তর্জাতিক লাইসেন্সও করা যায়।

ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ড্রাইভিং ভিসায় বিদেশ (সৌদিআরব বা অন্য কোনো দেশ) যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও ড্রাইভিং ভিসা প্রসেস কার্যক্রম শুরু করেন। এতে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার কারণে ড্রাইভিং ভিসা না পেয়ে, কখনও কখনও তারা প্রতারিত হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

মোটরযান ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশীদের জানানো যাচ্ছে যে, যারা ড্রাইভিং ভিসায় বিদেশ যেতে ইচ্ছুক, তাদেরকে বিআরটিএ থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির পর বিদেশে ড্রাইভিং ভিসা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম শুরু করতে হবে। অর্থাৎ স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত ড্রাইভিং ভিসায় বিদেশ যাওয়ার নিমিত্ত আর্থিক লেনদেনের কার্যক্রম গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার প্রক্রিয়া এখন কিছু হলেও স্বচ্ছ হয়েছে এবং সহজেই লাইসেন্স হাতে পাওয়া যায়। তাই নিজে নিজেই চেষ্টা করুন।

এ ক্ষেত্রে লাইসেন্স প্রত্যাশীকে বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টালে তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে লগইন করে নির্ধারিত ফর্মে তথ্য প্রদান ও সুনির্দিষ্ট কিছু প্রমাণক (যেমন: জাতীয় পরিচয় পত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতা, নির্ধারিত ফরমে মেডিকেল সনদ এর কপি ইত্যাদি) আপলোড করতে হয়

বিআরটিএ নোটিশ ২০২৩ । একই দিনে লার্নার লাইসেন্সের ফ্রন্ট সাইডে এনডোর্স করতে হবে

অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করার নিয়ম ২০২৩। সত্যিই কি অনলাইনে আবেদন করে পরীক্ষা দিলেই ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্ট কার্ড পাওয়া যায়?

  1. প্রথমে “bsp brta” লিখে গুগল করুন।
  2. Welcome to BRTA Service Portal তে ক্লিক করুন।
  3. Register মেন্যুতে ক্লিক করুন।
  4. জন্ম তারিখ ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করুন।
  5. অনুসন্ধান ক্লিক করলেই সমস্ত তথ্য এনআইডি থেকে চলে আসবে। মোবাইল নম্বর এবং ইমেইল আইডি এবং পাসওয়ার্ড দুবার দিয়ে নিবন্ধন করুন ক্লিক করুন।
  6. ইমেইলে লিংক দিয়ে ভেরিফিকেশন করে নিতে হবে। ইমেইলে ঢুকে Click  এ ক্লিক করে ভেরিফাই করে নিন।
  7. ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়েছে ম্যাসেজ দেখতে পাবেন।
  8. ইমেইল বা ফোন নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে Login এ ক্লিক করলে মোবাইলে ওটিপি আসবে এবং ওটিপি দিয়ে ভেরিফাই করে প্রফাইলে প্রবেশ করুন। পুনরায় লগিন করবেন এবং উপরের চিত্রের মত তথ্য দেখাবে।
  9. বামপাশ মেন্যু হতে ড্রাইভিং লাইসেন্স এ ক্লিক করে ট্যাবগুলো থেকে প্রথম শিক্ষানবিশ লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করুন এ ক্লিক করলে ইনস্ট্রাকশন দেখাবে সেখানে থেকে ডাক্তারী সার্টিফিকেটের ফরম সংগ্রহ করুন। মোট কথা ইনফরমেশনগুলো ভাল করে পড়ে ফাইলগুলো ঠিক ঠাকমত স্ক্যান করুন।
  10. যদি সব ডকুমেন্ট থাকে আমি সম্মত ক্লিক করলেই আবেদন পেইজ আসবে। ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে অপেশাদার সিলেক্ট করে ছবি আপলোড করবেন ফরম্যাট ঠিক রাখবেন।
  11. সেকশন এ তে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিবেন, জন্ম তারিখ দিবেন এবং অনুসন্ধান এ ক্লিক করলে সকল তথ্য এনআইডি’র বিপরীতে অটো চলে আসবে।
  12. ইংরেজীতে পিতা মাতার নাম, লিঙ্গ সিলেক্ট করবেন, স্বামী বা স্ত্রীর নাম (যদি থাকে), পেশা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, বৈবাহিক অবস্থা, স্বামী স্ত্রীর নাম বাংলায়, রক্তের গ্রুপ, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা ইত্যাদি দিয়ে দিবেন।
  13. আবেদনকারীর যোগাযোগের বিবরণে মোবাইল নম্বর এবং জরুরী যোগাযোগের জন্য কারও নাম, মোবাইল নম্বর দিবেন এবং
  14. সেকশন বি-তে মোটর সাইকেল ধরণ, লাইট বা হেবী ইত্যাদি প্রয়োজন অনুসারে সিলেক্ট করবেন।
  15. সংযুক্তিতে সকল ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। যা আপনি স্ক্যান করে রেখেছেন। তারপর সংরক্ষণে ক্লিক করলে সংরক্ষণ হবে এবং নিচে অনলাইন ফি জমা’তে
  16. অনলাইন ফি জমাতে ক্লিক করলে আবেদন রিভিউ দেখতে পাবেন নিচে মোট ফি দেখাবে। ফি জমা দিলে ফি জমাতে ক্লিক করুন।
  17. তাদের সাথে যে কয়েকটি ব্যাংক রয়েছে তা দেখাবে। মোবাইল নম্বর নিশ্চিত করুনে টিক দিন এবং বিকাশ, ডাচ বাংলা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ইত্যাদি মাধ্যমে অর্থ পরিবর্তন করতে পারবেন। ধরি বিকাশে দিবেন।
  18. বিকাশ সিলেক্ট করে নিচের টার্মস এন্ড কন্ডিশন নিশ্চিত করুন এবং বিকাশ গেইটওয়ে থেকে পেমেন্ট করুন এবং ওটিপি এবং পিন দিয়ে কনফার্ম করলে বিকাশ পেমেন্ট শেষ।
  19. পেমেন্ট হয়েছে এবং আবেদনটি সম্পন্ন হয়েছে এবং মানি রিসিপ্ট এবং লার্নারটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে পারবেন। লার্নার কার্ডে পরীক্ষার তারিখ এবং ইত্যাদি তথ্য থাকবে। এভাবেই ঘরে বসেই ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারেন।

কিউআর কোড ব্যবহার করে কি লার্নার চেক করা যাবে?

মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশী আবেদনকারীকে জানানো যাচ্ছে যে, মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স সহজীকরণ প্রক্রিয়া হিসেবে গ্রাহককে বিআরটিএ’র সার্কেল অফিসে স্ব-শরীরে না এসে ঘরে বসে অনলাইনে বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল (বিএসপি) (bsp.brta.gov.bd) এর মাধ্যমে (QR code) কিউআর কোড সম্বলিত মোটর ড্রাইভিং লার্নার লাইসেন্স প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হয়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তি সহজীকরণ ২০২৩ । লার্নার এবং স্মার্ট কার্ডের জন্য কম্বাইন্ড আবেদন ফরম চালু করা হয়েছে

BRTA Driving Competency Exam । বিআরটিএ ড্রাইভিং লিখিত পরীক্ষার মানবন্টন ও প্রশ্নপত্র নমুনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *