গরুর ওজন মাপার পদ্ধতি ২০২৫ । ফিতা দিয়ে গবাদিপশুর ওজন নির্ণয় কিভাবে করে? - Technical Alamin
টিপস এন্ড ট্রিকস

গরুর ওজন মাপার পদ্ধতি ২০২৫ । ফিতা দিয়ে গবাদিপশুর ওজন নির্ণয় কিভাবে করে?

গবাদি পশুর ওজন ফিতা দিয়ে নির্ণয়ের জন্য, প্রথমে পশুর দৈর্ঘ্য ও বুকের পরিধি মাপতে হবে। এরপর একটি সূত্র ব্যবহার করে ওজন গণনা করা হয়– গরুর ওজন মাপার পদ্ধতি ২০২৫

গরু মাপার উপায় কি? দৈর্ঘ্য পরিমাপ পশুর লেজের গোড়া থেকে শুরু করে সামনের পায়ের জোড়ার গিট পর্যন্ত ফিতা দিয়ে দৈর্ঘ্য পরিমাপ করুন। বুকের পরিধি পরিমাপ পশুর বুকের (পেটের) চারপাশ পরিমাপ করুন। ওজন গণনা বিভিন্ন সূত্র ব্যবহার করা হয়, যেমন: Schaeffer’s method: BW = (CC² x BL) / 10,840, যেখানে BW = শরীরের ওজন (কেজি), CC = বুকের পরিধি (সেমি), BL = শরীরের দৈর্ঘ্য (সেমি)। অন্য একটি সূত্র: গরুটির সমগ্র শরীরের ওজন (কেজি) = (গরুর দৈর্ঘ্য (ইঞ্চিতে) × বুকের বেড় (ইঞ্চিতে) × বুকের বেড় (ইঞ্চিতে)) / ৬৬০। এই পদ্ধতিটি একটি আনুমানিক ওজন প্রদান করে, যা সঠিক ওজনের চেয়ে সামান্য কম বা বেশি হতে পারে।

গরুর খামারিদের ফিতা দিয়ে গরু মাপা জানতে হবে? হ্যাঁ। গবাদিপশুর খামার ব্যবস্থাপনায় লাভবান হতে গবাদিপশুর ওজন নির্ণয় অবশ্যই জানতে হবে। খুব সহজেই ফিতা দিয়ে গবাদিপশুর ওজন নির্ণয় করতে পারেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন যে, খামারে লাভ করতে হলে যে কয়েকটি বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে তার মধ্য অন্যতম হলো গবাদিপশুর ওজন নির্ণয়। নিয়ম মেনে এই ওজন দেয়া উচিত। প্রতিদিন বা সপ্তাহান্তে গবাদিপশুর ওজন ডায়েরিতে লিপিবদ্ধ করা উচিত। ওজনের ওপর নির্ভর করে খাদ্যসহ অন্যান্য যত্নও নিতে হবে। অনেকের ধারণা গবাদিপশুর ওজন নির্ণয় করতে হয়তো অনেক অনেক বড় উপকরণ দরকার। না, ফিতা দিয়েই গবাদিপশুর ওজন মাপা যাবে। তবে বাংলাদেশ প্রাণি সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত ফিড মাষ্টার; বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট নামের অ্যাপ ব্যবহার করে করা যাবে।

প্রিয় খামারিরা ওজন মাপার এই সহজ পদ্ধতিটি ব্যবহার করে অবশ্যই উপকার হবে আপনাদের। এছাড়া এ বিষয়ে যে কোন জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদের জানাতে পারেন। ফিতা দিয়েই গবাদিপশুর ওজন নির্ণয় পদ্ধতি সংবাদটির এর তথ্য বাংলাদেশ প্রাণি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। খামারিদের মতে, চেষ্টা করুন প্রতি মাসে অন্তত একবার আপনার খামারে ফ্যাটেনিং গরুর ওজন নিয়ে দেখতে গ্রোথ কেমন পেলেন। অর্থাৎ কত টাকার ইনপুট (খাওয়া) দিলেন আর কত টাকার আউটপুট (মাংস) আসলো। কেননা আপনি শুধু গবাদিপশুকে খাওয়ালেন কিন্তু কতটুকু আউটপুট আসলো তা না জানলে হিসাবটা ঠিকমতো করতে পারবেন না। আর হিসাবটা ঠিক মতো না করতে পারলে খামারে ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

গরুর ওজন মাপার ক্যালকুলেটর ২০২৫ । মানুষের ওজন মাপার সূত্র জানেন কি?

মনে করি, গরুটির দৈর্ঘ্য ৭০ ইঞ্চি এবং বেড় ৬০ ইঞ্চি। তাহলে গরুর আনুমানিক ওজন হবে (৭০X৬০X৬০)/৬৬০ = ৩৮১ কেজি (প্রসঙ্গত, প্রধান সূত্রে পাউন্ডে হিসেব করা হয়েছে কিন্তু এখানে সুবিধার জন্য কেজিতে দেখিয়ে ৬৬০ দ্বারা ভাগ করা হয়েছে)। এই সূত্রের সাহায্যে যে ওজন পাওয়া যাবে তা হলো গরুর নাড়িভুড়িসহ সবকিছুর ওজন।

Caption:  Cow weight Measurement

গরু মাপার প্রক্রিয়া ২০২৫ । গবাদি পশু কি পরিমাপ করা খুব কঠিন?

  1. দৈর্ঘ্য ও বুকের বেড়ে যা পাওয়া যাবে তাকে স্কয়ার করে ৬৬০ দিয়ে ভাগ করতে হবে।
  2. তাহলেই বেরিয়ে যাবে পশুটির ওজন।
  3. উদাহারণ দিয়ে তিনি বলেন, ধরুন আপনার পশুটির দৈর্ঘ্য ৫১ ইঞ্চি এবং বুকের বেড় ৫৬ ইঞ্চি।
  4. তাহলে পশুর আনুমানিক ওজন হবে (৫১X৫৬X৫৬)/৬৬০ = ২৪২.৩৩ কেজি।

গরুর ওজন দাঁড়িপাল্লা নাকি ফিতা দিয়ে মাপে?

রুর ওজন মাপার জন্য সাধারণত ফিতা এবং একটি বিশেষ সূত্র ব্যবহার করা হয়, যদিও কিছু ক্ষেত্রে দাঁড়িপাল্লাও ব্যবহার করা হয়। প্রথমে গরুর দৈর্ঘ্য পরিমাপ করতে হবে। গরুর লেজের গোড়া থেকে শুরু করে সামনের পায়ের জোড়ার গিট পর্যন্ত ফিতা ধরে দৈর্ঘ্য পরিমাপ করতে হবে। এরপর গরুর বুকের বেড় পরিমাপ করতে হবে। গরুর সামনের দুই পায়ের কাছ দিয়ে ফিতার সাহায্যে বুকের বেড় কত ইঞ্চি তা পরিমাপ করতে হবে। এই দুটি পরিমাপ (দৈর্ঘ্য এবং বুকের বেড়) একটি বিশেষ সূত্র ব্যবহার করে গরুর ওজন অনুমান করা হয়।

যেমন আগারওয়াল’স ফর্মুলা (Agarwal’s Formula) বা ল্যাম্বর্ন সূত্র (Lamborn Formula) দাঁড়িপাল্লা দিয়ে মাপার পদ্ধতি:

গরুকে একটি বিশেষ স্কেলে (দাঁড়িপাল্লা) দাঁড় করিয়ে ওজন নেওয়া যেতে পারে।এই পদ্ধতিতে গরুর ওজন সরাসরি দেখা যায়।অতএব, গরুর ওজন মাপার জন্য ফিতা এবং একটি নির্দিষ্ট সূত্র ব্যবহার করা হয়,
তবে দাঁড়িপাল্লাও একটি বিকল্প পদ্ধতি।  
   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *