E passport Fees 2024 ।ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ কত জেনে নিন
দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করার নিয়ম – ই পাসপোর্ট পেতে অনলাইনে আবেদন করুন– ই পাসপোর্ট আবেদন পদ্ধতি ২০২৪
ই-পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন করার নিয়ম – প্রথমে মাত্র ৫টি ধাপে আবেদন সম্পন্ন করুন। আবেদন শেষে ফি জমা দিন। পরবর্তীতে ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্য পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করুন। অনুমোদন শেষে পাসপোর্ট সংগ্রহ করুন।
অতি জরুরী পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে (নতুন ইস্যু) নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ পূর্বক আবশ্যিকভাবে আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে। (ক) দেশের অভ্যন্তরে অতি জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ২ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে। (খ) দেশের অভ্যন্তরে জরুরী পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে। (গ) দেশের অভ্যন্তরে রেগুলার পাসপোর্ট প্রাপ্তির লক্ষ্যে আবেদনের সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দাখিল করা হলে অন্যান্য সকল তথ্য সঠিক থাকা সাপেক্ষে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
শুধু জন্ম নিবন্ধন দিয়ে কি ই পাসপোর্ট করা যাবে?- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) নিম্নোক্ত বয়স অনুসারে দাখিল করতে হবে- (ক) ১৮ বছরের নিম্নে হলে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version). (খ) ১৮-২০ বছর হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) (গ) ২০ বছরের উর্ধে হলে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) আবশ্যক । তবে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) গ্রহণযোগ্য হবে।
ই পাসপোর্ট ফি কত ২০২৪ / ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম
ই-পাসপাের্ট আবেদনের পূর্বে পাসপাের্ট ফি পরিশােধ করতে হবে। সারাদেশে সােনালী ব্যাংক লিমিটেড এবং রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের সকল শাখায় (এ-চালান) এর মাধ্যমে E-পাসপাের্ট ফি। জমা দেওয়া যাবে।
MRP পাসপাের্ট আবেদনের জন্য সােনালী ব্যাংক লিমিটেড এর যে কোন শাখায় ই-চালান এর মাধ্যমে MRP পাসপাের্ট ফি জমা। দেওয়া যাবে।
ই-পাসপোর্ট ফরম পূরণের নির্দেশাবলী ২০২৪
- ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ করা যাবে।
- ই-পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে কোন কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়োজন হবে না।
- ই-পাসপোর্ট ফরমে কোন ছবি সংযোজন এবং তা সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না।
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) অনুযায়ী আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে।
- অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী যার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নাই, তার পিতা অথবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
- তারকা চিহ্নিত ক্রমিক নম্বরগুলো অবশ্যই পূরণীয়।
- দত্তক/অভিভাবকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনের সাথে সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত আদেশ দাখিল করতে হবে।
- আবেদন বর্তমান ঠিকানা সংশ্লিষ্ঠ বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস/আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস/বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনে দাখিল করতে হবে।
- ১৮ বছরের নিম্নের এবং ৬৫ বছরের উর্ধ্বে সকল আবেদনে ই-পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ০৫ বছর এবং ৪৮ পৃষ্ঠার।
- প্রাসঙ্গিক টেকনিক্যাল সনদসমূহ (যেমন: ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ড্রাইভার ইত্যাদি) আপলোড/সংযোজন করতে হবে।
- প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক জিও (GO)/এনওসি (NOC)/ প্রত্যয়নপত্র/ অবসরোত্তর ছুটির আদেশ (PRL Order)/ পেনশন বই আপলোড/সংযোজন করতে হবে যা ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নিজ নিজ Website এ আপলোড থাকতে হবে।
- প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ সনদ/নিকাহনামা এবং বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাকনামা দাখিল করতে হবে।
- দেশের অভ্যন্তরে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ফি এর উপর নির্ধারিত হারে ভ্যাট (VAT) সহ অন্যান্য চার্জ (যদি থাকে) অতিরিক্ত হিসাবে প্রদেয় হবে। বিদেশে আবেদনের ক্ষেত্রেও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রদেয় হবে।
- কূটনৈতিক পাসপোর্টের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও ওয়েলফেয়ার উইং (Consular and Welfare Wing) অথবা ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় বরাবর আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।
- বৈদেশিক মিশন হতে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হলে স্থায়ী ঠিকানার কলামে বাংলাদেশের যোগাযোগের ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
- আবেদনের সময় মূল জাতীয় পরিচয়পত্র (NID), অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ (BRC English Version) এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সনদ, সরকারি আদেশ (GO)/অনাপত্তি (NOC) প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।
- পাসপোর্ট রি-ইস্যুর ক্ষেত্রে মূল পাসপোর্ট প্রদর্শন করতে হবে।
- হারানো পাসপোর্টের ক্ষেত্রে মূল জিডির কপি প্রদর্শন/দাখিল করতে হবে।
- ০৬ বছর বয়সের নিম্নের আবেদনের ক্ষেত্রে ৩ আর (3R Size) সাইজের ( ল্যাব প্রিন্ট গ্রে ব্যাকগ্রউন্ড ) ছবি দাখিল করতে হবে।
- পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে অথবা চুরি হলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় জিডি করতে হবে। পুনরায় পাসপোর্টের জন্য আবেদনের সময় পুরাতন পাসপোর্টের ফটোকপি এবং জিডি কপিসহ আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে।
ই পাসপোর্টের আবেদন কিভাবে করতে হবে?
ফি জমা দিবেন মোবাইলে – আবেদন অনলাইনেই করতে হবে। উপরোক্ত সকল বিধি মেনে অনলাইনে আবেদন করতে ক্লিক করুন। মাত্র ৫টি স্টেপে ই পাসপোর্ট এর আবেদন সম্পন্ন করুন। অতীব জরুরী পাসপোর্ট ডেলিভারি কত দিনে পাওয়া যাবে? অতীব জরুরী পাসপোর্ট ২ (দুই) কর্মদিবসের মধ্যে প্রদান করা হবে।
ই পাসপোর্ট নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব
প্রশ্ন: অতীব জরুরী পাসপোর্ট সেবা কি?
উত্তর: কিছু ক্ষেত্রে নাগরিকদের অতীব জরুরী (খুব কম সময়ের মধ্যে) পাসপোর্ট প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট শর্ত ও ফি পরিশোধ সাপেক্ষে অতীব জরুরী পাসপোর্ট সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
প্রশ্ন: অতীব জরুরী পাসপোর্ট ডেলিভারি কত দিনে পাওয়া যাবে?
উত্তর: অতীব জরুরী পাসপোর্ট ২ (দুই) কর্মদিবসের মধ্যে প্রদান করা হবে।
প্রশ্ন: অতীব জরুরী পাসপোর্ট এর জন্য কারা আবেদন করতে পারবেন?
উত্তর: বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিক আবেদন করতে পারবেন। তবে শুধুমাত্র পূর্বে পাসপোর্ট ব্যবহারকারীগণ স্থায়ী ঠিকানার তথ্য অপরিবর্তিত রেখে অতীব জরুরী সেবার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
প্রশ্ন: অতীব জরুরী পাসপোর্ট সেবাটির জন্য কোথায় আবেদন করতে হবে?
উত্তর: বাংলাদেশের যেকোনো বিভাগীয়/আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করা যাবে। এই সেবাটি বাংলাদেশ দূতাবাসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
প্রশ্ন: অতীব জরুরী পাসপোর্ট প্রদান/ডেলিভারি প্রক্রিয়া কি?
উত্তর: শুধুমাত্র আগারগাঁও বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস থেকে অতীব জরুরী পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে।
প্রশ্ন: যোগাযোগের ঠিকানা কি?
উত্তর: ঠিকানা : বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, ভবন নং – ২ই-৭, শের-ই-বাংলা নগর, আগারগাওঁ, ঢাকা-১২০৭।যোগাযোগঃ +৮৮০২-৮১২৩৭৮৮ ।
https://bdtimes.net/%e0%a6%87-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%aa%e0%a7%8b%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%9f-%e0%a6%ab%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a6%a4-%e0%a7%a8%e0%a7%a6%e0%a7%a8%e0%a7%a8/
Pingback: ই পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়ার নিয়ম ২০২৩ । ই পাসপোর্ট ফি কত? - Technical Alamin