হিট স্ট্রোক এর প্রতিকার ও প্রতিরোধ ২০২৫ । হিট স্ট্রোক কখন ও কেন হয়? - Technical Alamin
Latest News

হিট স্ট্রোক এর প্রতিকার ও প্রতিরোধ ২০২৫ । হিট স্ট্রোক কখন ও কেন হয়?

হিট স্ট্রোক একটি মারাত্মক অবস্থা, যা অতিরিক্ত গরমের কারণে শরীরের তাপমাত্রা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেলে ঘটে। এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে শরীরের তাপমাত্রা 40°C বা তার বেশি হওয়া, ঘাম না হওয়া, পরিবর্তিত মানসিক অবস্থা (যেমন – বিভ্রান্তি, প্রলাপ), এবং শ্বাসকষ্ট–হিট স্ট্রোক এর প্রতিকার ও প্রতিরোধ ২০২৫

হিট স্ট্রোকের কারণ কি? অতিরিক্ত গরমের মধ্যে বেশি সময় কাটানো, শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বিকল হওয়া, অ্যালকোহল বা কিছু ঔষধের ব্যবহার, জরাগ্রস্ততা। শরীরের তাপমাত্রা 40°C বা তার বেশি। ঘাম না হওয়া। মন ও আচরণে পরিবর্তন (যেমন – বিভ্রান্তি, প্রলাপ)। শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি,হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

হিট স্ট্রোকের চিকিৎসা কি? রোগীকে ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে যান। শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য ঠান্ডা জল দিয়ে শরীর ভিজিয়ে দিন। রোগীকে প্রচুর পরিমাণে তরল পানীয় দিন। যদি অবস্থা গুরুতর হয়, তাহলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। তীব্র গরমের সময় বাইরে বেশি সময় কাটানো এড়িয়ে চলুন। মাঝে মাঝে শীতল স্থানে বিশ্রাম নিন। প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। খাবার ও পানীয়তে বেশি পরিমাণে চিনি বা লবণ এড়িয়ে চলুন। খাবার ভালোভাবে রান্না করে খান। শীতল পোশাক পরুন। যদি আপনি হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলি অনুভব করেন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসা নিন।

হিট স্ট্রোক কখন ও কেন হয়? হিট স্ট্রোক (heatstroke) একটি গুরুতর শারীরিক অবস্থা যা শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় ঘটে। এটি সাধারণত উচ্চ তাপমাত্রার পরিবেশে দীর্ঘ সময় ধরে থাকার বা কঠোর পরিশ্রমের ফলে হয়। শরীরের তাপমাত্রা 40.6°C (105°F) বা তার বেশি হলে হিট স্ট্রোক হতে পারে। যদি আপনি গরম পরিবেশে দীর্ঘ সময় ধরে থাকেন, যেমন – রোদ বা এয়ার কন্ডিশনিং ছাড়া কোনো গরম স্থানে, তাহলে আপনার শরীর গরম হতে পারে এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হতে পারে। শারীরিক পরিশ্রমের ফলে শরীরে তাপ উৎপন্ন হয়। যদি আপনি খুব বেশি পরিশ্রম করেন, বিশেষ করে গরম পরিবেশে, তবে আপনার শরীর অতিরিক্ত গরম হতে পারে এবং হিট স্ট্রোক হতে পারে।

হিট স্ট্রোকের লক্ষণ ও প্রতিকার ২০২৫ ।  হিট স্ট্রোক এর প্রাথমিক চিকিৎসা কি?

পানি বা তরল পান না করতে হবে। শরীরে পর্যাপ্ত পানি বা তরল না থাকলে শরীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, ফলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যা, যেমন হৃদরোগ বা ডায়াবেটিস, হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। কিছু ওষুধ, যেমন – অ্যান্টিকোলিনার্জিক, হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

Caption: Hit Stroke

হিট স্ট্রোকের লক্ষণ ২০২৫ । গরমে হিট স্ট্রোক করলে কেমন আচরণ করবে?

  1. শরীরের তাপমাত্রা 40.6°C (105°F) বা তার বেশি
  2. ত্বক গরম এবং শুষ্ক
  3. মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, বমি
  4. দ্রুত হৃদস্পন্দন ও শ্বাসপ্রশ্বাস
  5. বিভ্রান্তি, কথা জড়িয়ে যাওয়া, অসংলগ্ন আচরণ
  6. মস্তিস্কের কার্যকারিতা হ্রাস
  7. যদি হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসা করা জরুরি।

হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় কি?

হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে হলে দিনের বেলায় বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন, ছাতা বা টুপি ব্যবহার করুন, হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরুন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। দিনের সবচেয়ে গরম সময়গুলোতে বাইরে যাওয়া পরিহার করুন। বাইরে বের হলে ছাতা, টুপি বা কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। হালকা রঙের এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। প্রচুর পরিমাণে পানি বা অন্যান্য তরল পান করুন। অ্যালকোহল পান করা পরিহার করুন, কারণ এটি ডিহাইড্রেশন ঘটাতে পারে। ঘাড় এবং বগলের নিচে বরফের প্যাকেট রাখুন বা ঠান্ডা জল দিয়ে শরীর মুছে নিন। গরমকালে অতিরিক্ত শারীরিক কার্যকলাপ বা ব্যায়াম করা পরিহার করুন।দিনের বেলা যতটা সম্ভব ঘরের ভেতরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকার চেষ্টা করুন। গরমে শিশুদের এবং বয়স্কদের শরীর দ্রুত গরম হয়ে যায়, তাই তাদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। যদি হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা যায়, যেমন – মাথা ঘোরা, বমি ভাব, দুর্বলতা, দ্রুত হৃদস্পন্দন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসা নিন।

   
   
   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *