২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শহীদ সেনা দিবস ২০২৫ । এ দিনটি কেন জাতীয় শহীদ সেনা দিবস শোকের দিন? - Technical Alamin
Latest News

২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শহীদ সেনা দিবস ২০২৫ । এ দিনটি কেন জাতীয় শহীদ সেনা দিবস শোকের দিন?

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে পালন এবং দিবসটিকে ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত হিসেবে ঘোষণা-২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শহীদ সেনা দিবস ২০২৫

নতুন দিবস ঘোষনা? হ্যাঁ। সরকার প্রতিবছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং উক্ত তারিখ-কে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ (সরকারি ছুটি ব্যতীত) হিসেবে পালনের নিমিত্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখের ০৪,00,0000,816, 23.002. ১৭.৬১৪ সংখ্যক পরিপত্রের ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্তকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

বিডিআর ম্যাসার হয়েছিল এই দিনে? হ্যাঁ।” ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক দিনটিকে এবার রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের মাধ্যমে সেনাসদস্যদের আত্মত্যাগকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সরকারি বন্ধ না থাকলেও এই দিনটি শোক দিবস হিসেবে পালিত হবে।

২৫ ফেব্রুয়ারি কি সরকারি ছুটি থাকবে? না। ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। এই তারিখকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ (সরকারি ছুটি ব্যতীত) হিসেবে পালনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্রের ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্তকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। এই দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সংঘটিত বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণ করা। ঐদিন বিপথগামী বিডিআর সদস্যদের হাতে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। সেই সব শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে এই দিবসটি পালিত হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে শহীদ সেনাদিবস পালনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় সংঘটিত হয়েছিল বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ও ১৭ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন। এই ঘটনাকে পিলখানা হত্যাকাণ্ড বা পিলখানা ট্র্যাজেডি বলা হয়।

হত্যাকাণ্ডের বিষয় কি ছিল? তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তরে বিদ্রোহী জওয়ানদের হামলা হয়। বিদ্রোহীরা অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্মম হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে নারকীয় তাণ্ডব চালায়। বিদ্রোহীরা বিডিআর প্রধান জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৪১ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। বিডিআর হাসপাতালের কাছে একটি গণকবরে ৪২ জন অফিসারকে মাটিচাপা দেয় বিদ্রোহীরা।

পিলখানা হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছিল কি?

এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য বিশেষ আদালত গঠন করা হয়। বিশেষ আদালত ৫৭টি মামলায় ৫,৯২৬ জন জওয়ানকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়। বিচার চলার সময় মারা গেছেন ৫ জন। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬শে ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ১৫ জনের মৃত্যু হওয়ায় উচ্চ আদালতে মোট ৮৩৫ আসামীর শুনানি শুরু হয়। ২০১৭ সালে হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১৮৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয় ২২৮ জনের। খালাস দেয়া হয় ২৮৩ জনকে।

   
   
   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *