বিদেশে স্কলারশিপ ২০২৫ । কোন দেশে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে কত টাকা খরচ হয়?
স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে পড়াশোনার খরচ বিভিন্ন দেশের উপর নির্ভর করে। কিছু দেশ যেমন জার্মানি, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, ডেনমার্ক এবং সুইডেনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টিউশন ফি নেই বা খুবই কম, কিন্তু ব্যক্তিগত খরচ যেমন বাসস্থান, খাবার, যাতায়াত ইত্যাদি বহন করতে হয়। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোতে টিউশন ফি এবং অন্যান্য খরচ বেশ বেশি হতে পারে–বিদেশে স্কলারশিপ ২০২৫
কোন ক্লাস থেকে স্কলারশিপ পাওয়া যায়? স্কলারশিপ সাধারণত উচ্চ শিক্ষার জন্য পাওয়া যায়, যেমন – ডিগ্রি, মাস্টার্স, পিএইচডি প্রোগ্রাম বা অন্য কোনো বিশেষ কোর্স। সাধারণত, এসএসসি ও এইচএসসি-তে ভালো ফল (যেমন: জিপিএ ৪.৫ বা তার বেশি) থাকলে স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। এছাড়াও, ইংরেজি ভাষার দক্ষতা (IELTS বা TOEFL স্কোর) এবং বিশেষ কোনো ক্ষেত্রে দক্ষতাও স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। স্কলারশিপ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন – টিউশন ফি, বাসস্থান ভাতা, বই ও অন্যান্য শিক্ষা সামগ্রী, অথবা গবেষণা এবং অন্যান্য খরচ।
স্কলারশীপ পাওয়ার যোগ্যতা কি? স্কলারশিপের জন্য সাধারণত ভালো অ্যাকাডেমিক রেকর্ড, ইংরেজি ভাষার দক্ষতা (IELTS/TOEFL স্কোর), এবং কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো বিষয়ে দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হতে পারে। বিভিন্ন দেশের সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন স্কলারশিপ প্রোগ্রাম অফার করে। সাধারণত, স্কলারশিপের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হয়, অথবা নির্দিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে আবেদন প্রক্রিয়া দেওয়া থাকে। বিভিন্ন দেশ, যেমন – ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান, এবং অন্যান্য দেশে স্কলারশিপের সুযোগ আছে।
স্কলারশিপ পেতে ব্যাংকে নাকি অনেক টাকা জমা থাকতে হয়? স্কলারশিপ পেতে সাধারণত ব্যাংকে অনেক টাকা জমা রাখার প্রয়োজন হয় না। তবে কিছু ক্ষেত্রে ভিসার জন্য অথবা স্পন্সর বা গ্যারান্টার হিসাবে ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হতে পারে, যেখানে পর্যাপ্ত টাকা থাকার প্রমাণ দেখাতে হয়. স্কলারশিপের পরিমাণ এবং শর্তাবলী অনুযায়ী এই প্রয়োজন পরিবর্তিত হতে পারে।
বিদেশে স্কলারশিপ নিয়ে পড়া সাধারণত একটি সাশ্রয়ী উপায় হতে পারে। স্কলারশিপের মাধ্যমে টিউশন ফি এবং অন্যান্য খরচ কভার করা যায়, ফলে সামগ্রিক খরচ কমে যায়।
স্কলারশিপের জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্টের প্রয়োজন কি? তা নির্ভর করে বেশ কিছু বিষয়ের উপর স্কলারশিপের শর্ত কিছু স্কলারশিপের শর্ত থাকে যে, ব্যাংক ব্যালেন্সের প্রমাণ দিতে হবে, যা স্পন্সর বা গ্যারান্টার হিসাবে আপনার আর্থিক সক্ষমতা প্রমাণ করে। ভিসা আবেদন কিছু দেশে ভিসার জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা ব্যাংক ব্যালেন্সের প্রমাণ লাগে। স্পন্সর বা গ্যারান্টার যদি আপনি কোনো স্পন্সর বা গ্যারান্টরের মাধ্যমে স্কলারশিপ আবেদন করেন, তাহলে তাদের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হতে পারে। যদি স্কলারশিপ সম্পূর্ণভাবে আপনার পড়াশোনার খরচ বহন করে (যেমন টিউশন ফি, থাকার খরচ, ইত্যাদি), তাহলে ব্যাংক স্টেটমেন্টের প্রয়োজন নাও হতে পারে কিন্তু, যদি আপনার অন্য কোনো খরচ থাকে বা ভিসার জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনাকে তা দেখাতে হতে পারে। সুতরাং, স্কলারশিপের জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্টের প্রয়োজন কিনা, তা নির্ভর করে নির্দিষ্ট স্কলারশিপের শর্তাবলী এবং আপনার ব্যক্তিগত পরিস্থিতির উপর। আবেদন করার আগে, স্কলারশিপ প্রদানকারী সংস্থার ওয়েবসাইট বা তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া ভালো।
Caption: Check Here to Get update about scholarship
বিভিন্ন দেশের গড় খরচ ২০২৫ । জার্মানিতে পড়াশুনা করতে গেলে নাকি কোন খরচ হয় না?
- জার্মানি: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টিউশন ফি নেই, তবে সেমিস্টার ফি হিসেবে ১০০-৩০০ ইউরো পরিশোধ করতে হয়।
- যুক্তরাজ্য: প্রতি বছর £9,000 থেকে £30,000 খরচ হতে পারে।
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: প্রতি বছর US$20,000 থেকে US$60,000 খরচ হতে পারে।
- কানাডা: প্রতি বছর CA$10,000 থেকে CA$30,000 খরচ হতে পারে।
- অস্ট্রেলিয়া: প্রতি বছর AUD$20,000 থেকে AUD$50,000 খরচ হতে পারে।
- অন্যান্য খরচ: বাসস্থান ও খাবার: প্রতি মাসে বিভিন্ন দেশের উপর নির্ভর করে প্রায় ৫০০ থেকে ১০০০ ইউরো বা ডলার খরচ হতে পারে।
- যাতায়াত: দেশে আসা-যাওয়ার বিমান ভাড়া, ভিসার খরচ ইত্যাদি.
- স্বাস্থ্য বীমা:প্রতি বছর প্রায় ৩০০ থেকে ৫০০ ইউরো বা ডলার খরচ হতে পারে।
- অন্যান্য ব্যক্তিগত খরচ: পোশাক, বই, সরঞ্জাম ইত্যাদি.
বিদেশে স্কলারশিপের সুবিধা কি কি?
স্কলারশিপের মাধ্যমে টিউশন ফি এবং অন্যান্য খরচ কভার করা যেতে পারে, যেমন – চেভেনিং স্কলারশিপ (যুক্তরাজ্য): টিউশন ফি, নির্দিষ্ট হারে আবাসিক ভাতা, যুক্তরাজ্যে একটি ইকোনমি ক্লাসের রিটার্ন বিমানের ভাড়া এবং ওয়ার্কশপের জন্য অন্যান্য ভ্রমণ খরচ কভার করে। ফুলব্রাইট স্কলারশিপ (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র): যাতায়াত ভাতা, টিউশন ফি, আবাসন, খাবার, ভ্রমণ ভাতা ও প্রথম বছরে দুই হাজার ডলারসহ স্বাস্থ্যবিমার সুযোগ দেওয়া হয়।এন্ডেভার স্নাতকোত্তর পুরষ্কার (অস্ট্রেলিয়া): বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে। কম খরচে পড়াশোনার সুযোগ। জার্মানি: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টিউশন ফি নেই। ফ্রান্স: বিভিন্ন স্কলারশিপ এবং কম খরচে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। তাইওয়ান: কম খরচে ভালো মানের শিক্ষা। ইতালি: কিছু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কম খরচে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। বিদেশে পড়াশোনা করার আগে নির্দিষ্ট দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং স্কলারশিপের শর্তাবলী ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত।