কমনওয়েলথ স্কলারশিপ ২০২৩ । কমনওয়েলথ স্কলারশীপের প্রার্থী মনোনয়ন তালিকা ২০২৩
কমনওলেথ স্কলারশিপে আবেদনের জন্য আপনার বেশ কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে প্রথমত কমনওলেথ দেশের নাগরিক অথবা শরণার্থী হতে হবে। দ্বিতীয়ত UK-এ কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের আবেদন করতে হবে আর আবেদনের জন্য প্রয়োজইনীয় সকল যোগ্যতা থাকতে হবে।
তৃতীয়ত মাস্টার্স করতে চাইলে, কেন দ্বিতীয় মাস্টার্স করতে চাচ্ছেন তার কারণ দর্শাতে হবে। আবেদনকারীর কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির (২:১) স্নাতক বা স্নাতকোত্তর থাকতে হবে, যা সিজিপিএ ৩.০–এর সমতুল্য। তবে সিজিপিএ যত বেশি হবে, বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। যাঁরা আগে বিদেশে থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন, তাঁরা স্নাতকোত্তরের জন্য বিবেচিত হবেন না। তবে অন্য কোনো বৃত্তির অধীনে স্নাতকোত্তর করে থাকলে পিএইচডিতে আবেদন করতে পারবেন। দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠানে পিএইচডির জন্য নিবন্ধন করলে বৃত্তির জন্য বিবেচিত হবেন না। কমনওয়েলথভুক্ত বা নিজ দেশের বাইরে অবস্থানকালে কেউ আবেদন করলে গ্রহণযোগ্য হবেন না।যুক্তরাজ্যে কেউ শিক্ষারত অবস্থায় এই স্কলারশিপের জন্য বিবেচিত হবেন না।
কোন অধ্যয়ন করা যাবে? বিবেচিত বিষয় সমুহ সম্পর্কে জানতে নিম্মোক্ত ওয়েবসাইট স মুহের সাহায্য নিতে পারেন – www.cscuk.dfid.gov.uk (কমনওয়েলথ বৃত্তি–সংক্রান্ত বেশির ভাগ তথ্য পাওয়া যাবে এই অফিশিয়াল ওয়েবপেজে) অথবা www.ugc.gov.bd । www.britishcouncil.org.bd একজন আবেদনকারীকে মাস্টার্স অথবা পিএইচডি যেকোনো একটি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কমনওয়েলথ কমিশন সচিবালয়, লন্ডনের মাধ্যমে আর্থিক অনুদান দেয় যুক্তরাজ্য সরকারের ‘আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ বা ডিএফআইডি’
কমনওয়েলথ স্কলারশিপ টেনেবল ইন দ্য ইউনাইটেড কিংডম ফর ২০২৩ বৃত্তির জন্য বাংলাদেশের ৫১ জন প্রার্থী মনোনয়ন পেয়েছেন। এই বৃত্তির আওতায় যুক্তরাজ্যে ফুল ফ্রি স্কলারশিপ নিয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি করতে পারবেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। যুক্তরাজ্য সরকারের কমনওয়েলথ বৃত্তি বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক বৃত্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম যা প্রথম শুরু হয় ১৯৮৩ সালে।
এ প্রোগ্রামের অর্থায়ন করে ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি)। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী কমনওয়েলথ বৃত্তি ও ফেলোশিপ পেয়েছেন। প্রতিবছর প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থীকে এ বৃত্তি দেওয়া হয়। কমনওয়েলথ বৃত্তির জন্য মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা এই লিংকে দেখা যাবে।
যুক্তরাজ্যের যেসকল বিশ্ববিদ্যালয় কমনওয়েলথের এই স্কলারশিপের সাথে চুক্তিবদ্ধ, সেসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে সিএসসি অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম ব্যবহার করে আবেদন করতে হবে। সকল ফাইল স্ক্যান করে PDF ফরম্যাটে সাবমিট করতে হবে আর ডকুমেন্ট সাইজ ৫ মেগাবাইটের বেশী হতে পারবে না।
আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ২০২২ – পাসপোর্ট/ নাগরিকত্ব সনদ, একাডেমিক সকল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট, রেফারেন্স লেটার- পরবর্তীতে যিনি রেফারেন্স দিয়েছেন, তাকে মেইল করা হবে।
২০২৩ সালের কমনওয়েলথ স্কলারশীপের প্রার্থী মনোনয়ন সংক্রান্ত তালিকা দেখে নিন
কমনওয়েলথ স্কলারশীপ ২০২২ । বৃত্তির সুযোগ সুবিধাসমূহ । কমনওয়েলথ বৃত্তির আর্থিক সুবিধা
- স্নাতকোত্তর বা পিএইচডির সম্পূর্ণ টিউশন ফি বহন করবে কমনওয়লেথ কমিশন
- যুক্তরাজ্যে যাওয়া–আসার বিমানের টিকিট।
- লন্ডন অথবা লন্ডনের বাইরে বসবাসের মাসিক ভাতা
- মাসিক ভাতার বাইরেও এককালীন টাকা পাওয়া যায়
- ‘স্টাডি ট্রাভেল গ্র্যান্ট’
- ‘থিসিস গ্র্যান্ট’
- এ ছাড়া কমনওয়েলথ কমিশন কর্তৃক আয়োজিত যেকোনো প্রশিক্ষণ, স্বল্পমেয়াদি কোর্স, ওয়েলকাম ইভেন্ট ও আঞ্চলিক সম্মেলন যোগদানের জন্য ট্রেনের টিকিট, থাকা ও খাওয়ার সুব্যবস্থা করা হয়।
- আর এ খরচ বহন করা হয় পুরো কোর্স সময়কালে।
কাদের জন্য এ স্কলারশীপ?
বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক স্কলারশীপগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য সরকার প্রদত্ত কমনওয়েলথ স্কলারশীপ অন্যতম। কমনওলেথ স্কলারশিপ দেওয়া হয় কমনওলেথ ভিত্তিক অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের। এই স্কলারশিপের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৩ সাল থেকে আর এই প্রোগ্রামের অর্থায়ন করে Department of International Development। প্রায় ৩৫০০০ জন এখন পর্যন্ত কমনওয়েলথ স্কলারশিপ ও ফেলোশিপ পেয়েছেন। প্রতি বছর প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। বাংলাদশ কমনওলেথের আওতায় হওয়ায় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারে। এই বৃত্তি উদ্যোমী ও প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে।
২০২৩ সালের কমনওয়েলথ স্কলারশীপের প্রার্থী মনোনয়ন সংক্রান্ত। (সংশোধিত) PDF Download