চীনের মুদ্রায় টাকার মান ২০২২ । চীনা মুদ্রা ইউয়ানে বানিজ্য লেনদেন কতটা সহজ হবে?
Bangladesh has instructed local bank to open account in China to Transact by Yuan – Bangladesh may partial avoid dollar to import product– কতটা রিজার্ভ থাকলে ইউয়ানে লেনদেন সম্ভব?
চীনের মুদ্রায় টাকা মান ২০২২ – 1 CNY = 14.9598 BDT – The Yuan to Bangladesh Taka exchange rate (CNY BDT) as of 17 Sep 2022 at 4:38 AM according to https://www.exchangerates.org.uk. ডলারের দাম যেখানে ১০৬ টাকা সেখানে চীনা ১ মুদ্রায় ১৪.৯৫ টাকা। বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মানও ডলারের বিপরীতেই নির্ধারিত হয়। দু’দেশ যৌথভাবে যদি মুদ্রার মান নির্ধারণ করে তবেই ইউয়ানে লেনদেন সম্ভব। ছাড়া কিসের উপর ভিত্তি করে দুটি দেশের মুদ্রার মান নির্ধারণ হবে সেটিও ভেবে দেখার বিষয়।
চীন হচ্ছে বাংলাদেশের শীর্ষ আমদানিকারক দেশ। বাংলাদেশ প্রতিবছর চীন থেকে আমদানি করে ১৪ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলারের মতো। কিন্তু এর বিপরীতে বাংলাদেশে এখনও চীনে এক বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারেনি। আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সবসময় ডলার ব্যবহার করে আসছে। সাবেক ব্যাংকার এবং পর্যবেক্ষক নুরুল আমিন বিবিসি বাংলাকে বলেন, ইউয়ান হচ্ছে এমন এটি মুদ্রা যেটি বাংলাদেশ এবং চীন পরস্পরের সাথে বাণিজ্যের জন্য ব্যবহার করতে পারে। সূত্র: বিবিসি
মুদ্রার মান কিভাবে নির্ধারিত হয়? কোনো একটি নির্দিষ্ট বৈদেশিক মুদ্রার অতিরিক্ত রিজার্ভের কারণে ঐ মুদ্রার বিক্রয়মূল্য কমে যেতে পারে। কারণ আমরা জানি, চাহিদা অপেক্ষা যোগানের পরিমাণ বেশি হলে জিনিসের দাম কমে যায়। ক্রয় ক্ষমতার সমতা তত্ত্ব বা ‘পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি (পিপিপি)’ তত্ত্ব নামে ‘ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট’ তত্ত্বের পাশাপাশি আরেকটি বিষয় রয়েছে, যা মুদ্রার মান নির্ধারণে ভূমিকা রাখে। এটি দু’টি দেশের দ্রব্যমূল্যের সাথে জড়িত।
অন্য তত্ত্বটি হল ‘পার ভ্যালু’ তত্ত্ব। এ তত্ত্বেরও বর্তমানে আর কোনো প্রয়োগ নেই। এটি অনুযায়ী, আইএমএফ ডলারের সাহায্যে মুদ্রার মান নির্ধারণ করত। এক্ষত্রে প্রথমে আইএমএফ প্রত্যেক দেশকে প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য তাদের দেশী টাকায় কত দেবে, তা জানাতে বলত এবং সে অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে মুদ্রার মান নির্ধারিত হতো। তবে এই পদ্ধতিটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। তাছাড়া একটি দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও মুদ্রার মান নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
১০০ চীনের মুদ্রা বাংলাদেশের ১৪৯৫ টাকার সমান । চীনা মুদ্রা ইউয়ানে বানিজ্য লেনদেন খুব একটা সহজ হবে না।
তবে পুরোপুরি বানিজ্য চীনা মুদ্রায় করা সম্ভব না হলেও যেহেতু বেশিরভাগ বানিজ্য চীনের সাথে তাই চীনা মুদ্রায় বানিজ্য সুফল বয়ে আনতে পারে। এছাড়া চীনও নিজস্ব মুদ্রায় বিনিময় করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।
Caption: Dealers are permitted to open foreign currency Clearing account in CNY
টাকার মান নির্ধারণ পদ্ধতি ২০২২ । টাকার মান নির্ধারণ হয় কিভাবে?
- প্রতিটি মুদ্রা (টাকা) কতগুলি বা কত কম বৈদেশিক মুদ্রা কিনতে পারে। এবং বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবসায়ীরা সেই বিনিময় হার নির্ধারণ করে। তারা টাকার সরবরাহ এবং চাহিদা বিবেচনা করে এবং তারওপরে নির্ভর করে ভবিষ্যতে টাকার জন্য তাদের প্রত্যাশা পরিমাপ করে। এই সরবরাহ এবং চাহিদা বাড়া কোমর জন্যই আন্তর্জাতিক মুদ্রার বাজার যতক্ষণ খোলা থাকবে ততক্ষন সারাদিন টাকার দর ওঠা নামা করতে থাকে।
- ট্রেজারি নোটের মান। ট্রেজারির জন্য সেগুলকে বাজারে মাধ্যমে সহজেই টাকা রূপান্তর করা যাবে। ট্রেসুরির চাহিদা বেশি হলে, ভারতীয় টাকার মূল্য বেড়ে যায়।
- বিদেশী মুদ্রার সঞ্চিত পুঁজির মাধ্যমে হয়। অর্থাৎ বিদেশী সরকার দ্বারা টাকা ধরে রাখার পরিমাণের ওপরে নির্ভর করে। অন্য রাষ্ট্র যত বেশি টাকা মজুত করবে, বাজারে টাকার যোগান তাতো কমবে এবং টাকার মূল্য ততই বৃদ্ধি পাবে। যদি বিদেশি রাষ্ট্রগুলো সমস্ত টাকা বাজারে বিক্রি করে দিতে থাকে তাহলেই টাকার দাম পড়ে যেতে থাকেব।
বাংলাদেশের টাকা কিভাবে পাচার হচ্ছে?
অর্থ পাচার – টাকা আন্তর্জাতিক বাজারে লেনদেন এর জন্য সরকারি অনুমতির প্রয়োজন হয়। ট্যাক্স দিতে হয় আয়ের উপর। ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার জন্য সরকারি অনুমতি ছাড়া অর্থ এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাঠানোকে বলে অর্থ পাচার। অবৈধ অর্থ দেশে রাখলে সরকার যে কোন সময় সেটা ট্যাক্স না দেয়ার কারণে কিংবা অবৈধ অর্থ হওয়ার কারণে বাজেয়াপ্ত করে ফেলতে পারে। এর জন্যই মূলত সরকার এর চোখ ফাঁকি দিয়ে টাকা দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে বিদেশের কোন ব্যাংক এ রাখে জাতে সরকার সেটাকে বাজেয়াপ্ত করতে না পারে। হুন্ডির মাধ্যমে এক বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার: সিআইডি। এছাড়াও স্বর্ণ চোরাচালান ও বৈদেশিক মুদ্রা চোরাচালানের মাধ্যমে মাধ্যমে অর্থ পাচার হয়ে থাকে।