Password Hacking Avoid technique । একাউন্ট হ্যাকিং প্রতারণা এড়াতে করণীয় কি?

Password Hacking Avoid technique । একাউন্ট হ্যাকিং প্রতারণা এড়াতে করণীয় কি?

কখনো হয়তো আপনার কোন বন্ধু বা নিকট আত্মীয়ের ইয়াহু, জিমেইল, ফেইসবুক, মেসেঞ্জার, হোটসঅ্যাপ, ভাইবার, ইমো বা অন্য যে কোন একাউন্ট হ্যাক হতে পারে। এমন ক্ষেত্রে হ্যাকার ব্যক্তিটি হ্যাক হওয়া একাউন্ট থেকে আপনার বন্ধু বা আত্মীয় সেজে আপনাকে মেসেজ দিয়ে জানাবে যে সে কোন মারাত্মক বিপদে /সমস্যায় আছে।

জিমেইল হ্যাকিং রোধে করণীয় কি? জিমেইল একাউন্টের জন্য দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা যাতে কেহ সহজে অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারে। একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন যাতে অক্ষম হয়ে যাওয়া হয়। জিমেইল একাউন্টে দ্বিতীয় পরিচ্ছন্নতা সক্রিয় করুন, যেটি একটি পরিচালক কোড বা মোবাইল ফোনে পাঠায় যাতে লগইন প্রক্রিয়ায় আপনার অনুমোদন প্রয়োজন হয়। এটি আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে।জিমেইল একাউন্টে কোনও সন্দিগ্ধ প্রবেশপথ থেকে অপরিচিত ইমেল প্রাপ্ত হলে পরিচালক যাচাই করুন। ফিশিং ইমেল সন্দেশগুলি বর্জন করুন।

হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকিং কিভাবে বন্ধ করবো? নিশ্চিত হওয়ার জন্য যেকোনো হোয়াটসঅ্যাপ নিরাপত্তা সংস্করণ ব্যবহার করুন এবং নতুনতম আপডেট ইনস্টল করুন।হোয়াটসঅ্যাপে সক্রিয় করুন দ্বিতীয় পরিচ্ছন্নতা মাধ্যম, যেখানে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করার জন্য একটি পরিচালক কোড প্রয়োজন হবে। যদি আপনি অজানা সংখ্যার থেকে অপ্রত্যাশিত মেসেজ পেয়ে থাকেন, তাহলে সতর্ক থাকুন এবং সন্দেহভাজন মেসেজগুলি বর্জন করুন। যদি আপনার কাছে সন্দেহভাজন অ্যাপ সরিয়ে ফেলুন।

ফেসবুক পাসওয়ার্ড শক্তিশালীকরণ পদ্ধতি কি? সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা যেমন “123456” বা “password” এরকম প্রকারের পাসওয়ার্ড দিয়ে অত্যন্ত সহজে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা যাতে পারে। একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড নির্ধারণ করুন যেখানে অক্ষম হয়ে যাওয়া হয়। পাসওয়ার্ডে অল্পতম ৮ টি অক্ষর, সংখ্যা, বৃহত্তম ১টি বর্ণ এবং বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করুন। সেটা দুইবার ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। ফেসবুক একাউন্টের জন্য অন্যান্য ওয়েবসাইট বা প্রোগ্রামের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না।

তার জরুরি কিছু টাকা প্রয়োজন। আপনাকে অনুরোধ করবে বিকাশে কিছু টাকা পাঠাতে। আপনি হয়তো আপনার ঐ বন্ধু বা আত্মীয়ের বিপদে/সমস্যার কথা ভেবে কোন প্রকার যাচাই বাছাই থাকে টাকা পাঠিয়ে দিলেন। পরে জানতে পারলেন যে, আসলে আপনার সেই বন্ধু বা আত্মীয় আপনার নিকট কোন টাকা চাননি। তার একাউন্ট হ্যাক করে অন্য কেউ এই কাজ করেছে।

পরামর্শ: এ ধরনের মেসেজ আসলে আপনার যদি বিষয়টি অস্বাভাবিক মনে হয়, তাহলে প্রথমে আপনার ঐ বন্ধু বা আত্মীয়কে কল করুন। সে কল রিসিভ না করলে বা তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেলে এমন কাউকে কল করুন যিনি হয়তো তার বর্তমান অবস্থান এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনাকে তথ্য দিতে পারবেন। এ ধরনের পরিস্থিতিতে পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে আর্থিক লেনদেনে না জড়ানোই ভালো।

বি:দ্র: প্রতারণার শিকার হলে বিলম্ব না করে পুলিশকে অবগত করুন। নিজে সচেতন হই অন্যকে সচেতন করি নিরাপদ জীবন গড়ি।

সূত্র: মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স, বাংলাদেশ পুলিশ, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *