কোন আইনজীবী বা কোন জানুয়া ব্যক্তির নিকট না গিয়েও এখন আপনি সরকার ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে হিসাবটি করতে পারেন। অংশ পাবে কি পাবেনা সেটিও জানতে পারেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে যে, আপনি অংশও দেখতে পারবেন এবং সে মোতাবেক বিধিও জানতে পারবেন-জমি বন্টন নিয়ম ২০২৪
মায়ের সম্পত্তি কি মেয়ে বেশি পায়? – না। স্বামী ১/৪ অংশ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকে। কন্যা অবশিষ্ট ভোগী হিসেবে পাবে যখন পুত্র থাকে । পুত্র ও কন্যা ২:১ অনুপাতে অবশিষ্ট সম্পতির উত্তরাধিকারী হয়। পিতা বা মাতা যেই হোক না কেন ২:১ পুত্র:কন্যা বন্টন হয়ে থাকে। এখানে মা বা বাবার সম্পত্তি বলে আলাদা করে দেখার কিছু নেই।
কন্যা তাহলে ৯০ শতাংশের মধ্যে কত অংশ পাবে? স্ত্রী এবং কন্যাকে অংশ বা হিস্যা প্রদানের পর পিতা ও ভাইয়েরা অংশ পাবেন। তাই এ কথা সম্পূর্ণ ভুল এবং নীতি বর্হিভূত যে, স্ত্রী ও কন্যা কোন অংশ পাবে না। চলুন বিধি জেনে নিই, স্ত্রী ১/৮ অংশ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকে। কন্যা ১/২ অংশ পাবে যখন একজন মাত্র কন্যা থাকে এবং পুত্র না থাকে। পিতা ১/৬ অংশ পাবে যখন সন্তান বা সন্তানের সন্তান থাকে। পিতা একমাত্র অবশিষ্ট ভোগী হিসেবে অবশিষ্ট সম্পতির উত্তরাধিকারী হয়। যেখানে একমাত্র কন্যা হিসেবে মোট সম্পদের অর্ধেক পাবেন সেখানে তাকে বঞ্চিত করা সম্পূর্ণ অন্যায় তাই কন্যা এবং স্ত্রী বঞ্চিত সম্পদের জন্য মামলা করতে পারবেন।
সম্পত্তি বণ্টন প্রক্রিয়া কি? ধাপঃ (১) – প্রথমে সম্পত্তি জবিউল ফুরুজ দের মধ্যে ভাগ করে দিতে হবে। ধাপঃ (২) – জবিউল ফুরুজ দের অংশ সমূহ যোগ এর পরে সম্পূর্ণ অংশটি ১ এর চেয়ে বেশী হলে, সকল অংশ আনুপাতিক হারে কমে আসবে যাতে সম্পূর্ণ অংশটি ১ হয়। ধাপঃ (৩) – যদি কোন আসাবা না থাকেন এবং সম্পূর্ণ অংশ ১ এর চেয়ে কম হলে স্বামী স্ত্রী এর অংশ ছাড়া জবিউল ফুরুজ অংশ সমূহ আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পাবে যাতে মোট অংশটি ১ হয়। স্বামী/স্ত্রী এর অংশ কঠিনভাবে সুনির্দিষ্ট করা। ধাপঃ (৪) – আসাবা থাকলে অবশিষ্ট অংশ আসাবাগন পাবেন নিম্নের ক্রম অনুযায়ী পাবেনঃ ধাপঃ (১) >ধাপঃ (২)>ধাপঃ (৩)>ধাপঃ (৪) (শ্রেণী ১ থাকলে পরের শ্রেণীর আসাবাগন সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবেন ,শ্রেণী ২ থাকলে পরের শ্রেণীর আসাবাগন সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবেন; এভাবে চলতে থাকবে)
মায়ের সম্পত্তি বলে কি বন্টন বিধি ভিন্ন? / না। পিতা বা মাতার বা মায়ের সম্পত্তি বন্টনের নিয়ম একই
না, ছেলে মেয়ের সম্পত্তির প্রাপ্য হার ২:১ পিতা মাতার উভয়ের সম্পত্তির ক্ষেত্রে (Section 1 of the mpla act)
Caption: The Best looking man in Bangladesh / Most Handsome Man in Bangladesh
ওয়ারিশ সম্পত্তি বন্টন পদ্ধতি । সম্পত্তি বা জমির কতটুকু কে পাবে চলুন জেনে নিই
- স্বামীর অংশঃ স্বামী ২ ভাবে মৃত স্ত্রীর সম্পত্তির ভাগ পেয়ে থাকে। স্বামী কখনো তাঁর মৃত স্ত্রীর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবে না। মৃত স্ত্রীর কোন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকলে স্বামী স্ত্রীর সম্পত্তির ১/৪ অংশ পাবে। মৃত স্ত্রীর কোন সন্তান বা পুত্রের সন্তান কেউই না থাকলে স্বামী স্ত্রীর সম্পত্তির ১/২ অংশ পাবে।
- স্ত্রীর অংশঃ স্ত্রীও ২ ভাবে তাঁর মৃত স্বামীর সম্পত্তি পেয়ে থাকে। বিধবা স্ত্রী কোন ভাবে তাঁর স্বামীর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবে না। মৃত স্বামীর কোন সন্তান বা তাঁদের পুত্রের সন্তান থাকলে স্ত্রী, স্বামীর সম্পত্তির ১/৮ অংশ পাবে। যদি মৃত স্বামীর কোন সন্তান বা পুত্রের সন্তান কেউই না থাকলে তবে স্ত্রী, স্বামীর সম্পত্তির ১/৪ অংশ পাবে। স্ত্রী একাধিক হলেও সবাই মিলে ১/৪ অংশ সমান ভাগেই পাবে।
- বাবার অংশঃ বাবা তাঁর মৃত সন্তানের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী ৩ ভাবে হয়ে থাকে। যদি মৃত সন্তানের পুত্র, পুত্রের পুত্র বা পুত্রের পুত্রের পুত্র এভাবে যতই নিচের হোক না কেন যদি থাকে, তবে মৃত সন্তানের পিতা পাবেন সন্তানের সম্পত্তির ১/৬ অংশ। যদি মৃত সন্তানের শুধু মাত্র কন্যা সন্তান বা তাঁর পুত্রের কন্যা সন্তান থাকলে তবে পিতা সন্তানের সম্পত্তির ১/৬ অংশ পাবেন। এই ক্ষেত্রে কন্যাদের ও অন্যান্যদের দেয়ার পর অবশিষ্ট যে সম্পত্তি থাকবে তাও পিতা পাবেন। আর যদি মৃত সন্তানের কোন পুত্র-কন্যা বা পুত্রের সন্তান কিছুই না থাকে তাবে বাকী অংশীদারদের তাঁদের অংশ অনুযায়ী দেয়ার পর অবশিষ্ট যা থাকবে তার সবটুকুই বাবা পাবেন। তবে মৃত ব্যক্তির কোন সন্তান ও বাবা কেউ না থাকলে তাঁর সম্পত্তি তাঁর জীবিত ভাই বা ভাইরা পাবে। আবার ভাই না থাকলে তাঁর ভাইয়ের সন্তানরা পাবে।
- মায়ের অংশঃ মা তাঁর মৃত সন্তানের সম্পত্তি পেয়ে ৩ ভাবে পেয়ে থাকে। – মৃত ব্যক্তির কোন সন্তান বা পুত্রের সন্তানাদি যত নিম্নেরই হোক থাকলে অথবা যদি মৃত ব্যক্তির আপন, পূর্ণ বৈমাত্রেয় বা বৈপিত্রেয় ভাইবোন থাকলে তবে মাতা ছয় ভাগের এক ভাগ (১/৬) পাবেন। মৃত ব্যক্তির কোন সন্তান বা পুত্রের সন্তানাদি যত নিম্নের হোক না থাকলে এবং মৃত ব্যক্তির যদি একজনের বেশি ভাই বা বোন না থাকে তবে মাতা তিন ভাগের এক ভাগ (১/৩) পাবেন। কোন সন্তান বা পুত্রের সন্তানাদি যত নিম্নের হোক না থাকলে অথবা কমপক্ষে দুইজন ভাইবোন না থাকলে এবং যদি মৃত ব্যক্তির স্বামী বা স্ত্রীর অংশ বাদ দেয়ার পর যা অবশিষ্ট থাকবে, তার তিন ভাগের এক ভাগ (১/৩) মাতা পাবেন। মৃত ব্যক্তির এক ভাই থাকলেও মাতা ১/৩ অংশ পাবেন।
- পুত্র সন্তানের অংশঃ মৃত ব্যক্তির ছেলে বা ছেলেরা সকল ক্ষেত্রেই সম্পত্তি পায়। যেক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির ছেলে ও মেয়ে রয়েছে সেই ক্ষেত্রে ছেলে বা ছেলেরা, মেয়ে বা মেয়েদের চেয়ে দ্বিগুন সম্পত্তি পাবে। মৃত ব্যক্তির সম্পত্তিতে মাতাপিতা ও স্বামী-স্ত্রী নির্দিষ্ট সম্পত্তি পাওয়ার পর অবশিষ্ট সম্পত্তি ছেলে মেয়ের মধ্যে বন্টন করা হবে। তবে মেয়ে না থাকলে অংশীদারদের অংশ দেয়ার পর অবশিষ্টাংশভোগী হিসেবে বাকী সম্পূর্ণ সম্পত্তি ছেলে বা ছেলেরাই পাবে।
- কন্যা সন্তানের অংশঃ উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে কন্যারা তিনভাবে মাতাপিতার সম্পত্তি পেতে পারে। একমাত্র কন্যা হলে তিনি রেখে যাওয়া সম্পত্তির দুই ভাগের এক ভাগ বা (১/২) অংশ পাবে। একাধিক মেয়ে হলে সবাই মিলে সমানভাগে তিন ভাগের দুই ভাগ বা (২/৩) অংশ পাবে। যদি পুত্র থাকে তবে পুত্র ও কন্যার সম্পত্তির অনুপাত হবে ২:১ অর্থাৎ এক মেয়ে এক ছেলের অর্ধেক অংশ পাবে। যাহোক কন্যা কখনো মাতাপিতার সম্পত্তি হতে বঞ্চিত হয় না। পিতা মারা গেলে তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় যে সম্পত্তি পেতেন তা তাঁর মৃত্যুর পরও তাঁর উত্তরাধিকারীরা পাবে। ১৯৬১ সালের আগে এই নিয়ম ছিল না। পরে একটি আইন পাস করে এই নিয়ম চালু করা হয়। কারণ এতিমরা যাতে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত না হয় সেই সম্পর্কেও ইসলামে নির্দেশ দেয়া আছে। আবার মুসলিম উত্তরাধিকার আইনে কোন সন্তানকে ত্যাজ্য বলে ধরা হয় না। ফলে সম্পত্তি থেকে তাকেও বঞ্চিত করা যায় না। তবে কোন ব্যক্তি রেজিস্ট্রিকৃতভাবে সম্পত্তি দান বা হস্তান্তর করে গেলে এবং সন্তানকে বঞ্চিত করার লক্ষ্যে সন্তানের অংশ উল্লেখ না করে গেলে ঐ সন্তান আর সম্পত্তি পাবে না। সৎ ছেলে-মেয়ে, সৎ বাবা বা সৎ মায়ের সম্পত্তি পায় না। একই ভাবে সৎ বাবা বা সৎ মা, সৎ ছেলে-মেয়ের সম্পত্তি পায় না।
মায়ের সম্পদ মেয়েরা নাকি বেশি পায়?
না। এমন কোন আইন নেই। মায়ের সম্পদ বা বাবার সম্পদ যাই হোক না কেন তাদের সন্তান মুসলিম সম্পদ বন্টন আইন অনুসারেই পাবেন। বাবার সম্পদ যেভাবে বন্টন হবে মায়ের সম্পত্তিও ঠিক সেইভাবে বন্টন করা হবে। সম্পদ বন্টনের ক্ষেত্রে ওয়ারিশদের সমান গুরুত্ব দিয়ে বন্টন করতে হবে। সম্পদ বলতে শুধু জমি বুঝায় না। মৃত ব্যক্তি সম্পদ বলতে তার রেখে যাওয়া নগদ বা ব্যাংকে জমা টাকা, স্বর্ণ, রৌপ্য ও জমি একই নিয়মে বন্টন হবে। কোন ভাবে ওয়ারিশদের ঠকানো যাবে না। তাই উত্তরাধিকার.বাংলা ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে সঠিক হিসাব বের করুন।
বাবা মায়ের সম্পত্তি বন্টনের নিয়ম । মায়ের নামে সম্পত্তি ভাই-বোনেরা কি সমান অংশ পায়?