দলিল যার জমি তার আইন ২০২৩ । ৬০ বিঘার বেশি জমি থাকলে সরকার নিয়ে নিবে?
দখল ভিত্তিতে মালিক বা দলিল ছাড়া মালিক এমন ভূমি আইনটি কার্যকর হলে আর ধরে রাখা যাবে না- দলিল দস্তাবেজ ছাড়া ভূমি বা জমি নিজের বলে দাবি করা যাবে না – দলিল যার জমি তার আইন ২০২৩
এক বিঘা সমান কত শতাংশ? কাঠা, বিঘা, একর অনুযায়ী পরিমান সম্পকে চলুন জেনে নিই। ১ কাঠা = ১৬ ছটাক, ১ কাঠা = ১.৬৫ শতাংশ, ১ কাঠা = ১৬৫ অযুতাংশ, ১ বিঘা = ৩৩ শতাংশ, ১ বিঘা = ২০ কাঠা, ১ একর = ১০০ শতাংশ, ১ একর = ৬০.৬ কাঠা, ১ একর = ৩.০৩ বিঘা। মোট কথা নতুন আইন অনুসারে ২০ একরের বেশি জমি থাকা যাবে না। ৬০ বিঘার বেশি জমির মালিক হলে অতিরিক্ত অংশ সরকারি খতিয়ানে চলে যাবে।
জমির দলিল বলতে কি বোঝায়? –দলিল অর্থে ভূমির মালিকানা হস্তান্তর বা বণ্টনের উদ্দেশ্যে সম্পাদিত বা কৃত যে কোনো দলিল, বায়না দলিল, রসিদ, আম মোক্তারনামা, নকশা, স্কেচ, ম্যাপ, হাত, নকশা, খতিয়ান, ডুপ্লিকেট কার্বন রসিদ, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের দাখিলা, বরাদ্দপত্র, ছাড়পত্র, অনাপত্তিপত্র, এফিডেভিট এবং এতদ্সংক্রান্ত অন্য কোনো দলিলও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে।
নতুন ভূমি আইনটি কি কার্যকর হয়েছে? না। গেজেট আকারে প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত কার্যকর হবে না। এটি বর্তমানে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে রয়েছে। ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩’ বিলটি আজ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে, অর্থাৎ পাস হয়েছে। *এখন, সংসদ কর্তৃক গৃহীত ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩’ বিলটিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সম্মতি দান করলে তা আইনে পরিণত হবে এবং আইন হিসেবে গেজেটের মাধ্যমে সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করা হবে।
ভূমি আইন ২০২৩ । ভূমি আইন ও বিধিমালা pdf । নতুন ভূমি আইন ২০২৩ দলিল যার জমি তার
নতুন ভূমি আইন ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ কমাবে।
ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ । ভূমি আইন পাস হওয়ার প্রক্রিয়া বা ধাপগুলো কি কি?
- আইনের খসড়া প্রণয়ন এবং নীতি উন্নয়নের বিভিন্ন ধাপ শেষ করে উদ্যোগী মন্ত্রণালয় আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করে। আইনের খসড়া মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে উদ্যোগী মন্ত্রণালয় তা জাতীয় সংসদে প্রেরণ করে। উল্লিখিত ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩’ এই প্রাথমিক পর্যায় অতিক্রম করেছে।এই প্রাথমিক পর্যায়ের বিভিন্ন ধাপের বিস্তারিত বর্ণনা: https://cabinet.portal.gov.bd/…/Law-2%20Branch0001.pdf
- জাতীয় সংসদে প্রেরিত আইনের খসড়া প্রস্তাব সংসদে বিল আকারে উত্থাপিত হয়। এভাবে শুরু হয় আইন প্রণয়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে। এই পর্যায়েও বিভিন্ন ধাপ আছে। এই ব্যাপারে সংবিধানের ‘আইন প্রনয়ন ও অর্থসংক্রান্ত পদ্ধতি’ সংশ্লিষ্ট পরিচ্ছেদে অনুচ্ছেদ ৮০-এর ধারা ২-এ বলা আছে : “(২) সংসদ কর্তৃক কোন বিল গৃহীত হইলে সম্মতির জন্য তাহা রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করিতে হইবে।
- রাষ্ট্রপতির নিকট কোন বিল পেশ করিবার পর পনর দিনের মধ্যে তিনি তাহাতে সম্মতিদান করিবেন কিংবা অর্থবিল ব্যতীত অন্য কোন বিলের ক্ষেত্রে বিলটি বা তাহার কোন বিশেষ বিধান পুনর্বিবেচনার কিংবা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নির্দেশিত কোন সংশোধনী বিবেচনার অনুরোধ জ্ঞাপন করিয়া একটি বার্তাসহ তিনি বিলটি সংসদে ফেরত দিতে পারিবেন; এবং রাষ্ট্রপতি তাহা করিতে অসমর্থ হইলে উক্ত মেয়াদের অবসানে তিনি বিলটিতে সম্মতিদান করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।
- রাষ্ট্রপতি যদি বিলটি অনুরূপভাবে সংসদে ফেরত পাঠান, তাহা হইলে সংসদ রাষ্ট্রপতির বার্তাসহ তাহা পুনর্বিবেচনা করিবেন; এবং সংশোধনীসহ বা সংশোধনী ব্যতিরেকে সংসদ পুনরায় বিলটি গ্রহণ করিলে সম্মতির জন্য তাহা রাষ্ট্রপতির নিকট উপস্থাপিত হইবে এবং অনুরূপ উপস্থাপনের সাত দিনের মধ্যে তিনি বিলটিতে সম্মতিদান করিবেন; এবং রাষ্ট্রপতি তাহা করিতে অসমর্থ হইলে উক্ত মেয়াদের অবসানে তিনি বিলটিতে সম্মতিদান করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।
- সংসদ কর্তৃক গৃহীত বিলটিতে রাষ্ট্রপতি সম্মতিদান করিলে বা তিনি সম্মতিদান করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইলে তাহা আইনে পরিণত হইবে এবং সংসদের আইন বলিয়া অভিহিত হইবে।”এই চূড়ান্ত পর্যায়ের বিভিন্ন ধাপের বিস্তারিত বর্ণনা: https://bn.banglapedia.org/index.php/আইন_প্রণয়ন
ভূমি জরিপ কি বন্ধ হয়ে যাবে?
সনাতন পদ্ধতির ভূমি জরিপ বাতিল হবে। সনাতন পদ্ধতির চলমান ভূমি জরিপ বাতিল হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশে ডিজিটাল জরিপ ছাড়া যেসব জরিপ হচ্ছে (পুরোনো পদ্ধতিতে) সব জরিপ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য আজকে নির্দেশনা দিয়েছি। ইতোমধ্যে যে জরিপ হয়েছে এগুলো বাতিল হিসাবে গণ্য হবে।১২/০৯/২০২৩ তারিখ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল-২০২৩-এর ওপর সংশোধনী আলোচনায় অংশ নিয়ে ভূমিমন্ত্রী এ কথা বলেন।