নারিকেল গাছের ফল ঝরে পড়ে যায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এমওপি বা পটাশ সারের অভাবে। সে কারণে নারিকেল গাছের বয়স জেনে সুষম মাত্রার সার প্রয়োগ করতে হয়।
১। সেক্ষেত্রে ১-৪ বছর বয়সী গাছের জন্য গোবর ১০ কেজি, ইউরিয়া ২০০ গ্রাম, টিএসপি ১০০ গ্রাম, এমওপি ৪০০ গ্রাম, জিপসাম ১০০ গ্রাম, জিংক সালফেট ৪০ গ্রাম, বরিক এডিস ১০ গ্রাম গাছের গোড়া থেকে চারদিকে ৩ ফুট বাদ দিয়ে মাটি কুপিয়ে ৮-১২ ইঞ্চি মাটির গভীরে সারগুলো প্রয়োগ করতে হবে;
২। সার প্রয়োগ করতে হয় দুই কিস্তিতে। প্রথম কিস্তিতে অর্ধেক সার মধ্য বৈশাখ থেকে জ্যৈষ্ঠ (মে) এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে বাকি অর্ধেক সার মধ্য ভাদ্র থেকে মধ্য আশ্বিন (সেপ্টেম্বর) মাসে;
৩। নারিকেল গাছের বয়স ৫-৭ বছর ও ৮-১০ বছর বয়স হলে ১-৪ বছর বয়সী নারিকেল গাছের সারের মাত্রাকে ২ করে নিয়মমাফিক প্রয়োগ করলেই কাঙ্খিত ফলন পাবেন;
৪। গাছের ঝরা ফলগুলো কালো হয় মাকড় বা মাইটের কারণে । মাইট কচি ডাবের বোটার খোলের নীচ দলবদ্ধভাবে লুকিয়ে থেকে নরম অংশ খেয়ে ক্ষতি করে, এতে ফলন ৪০-৫০% কমে যায়; কচি ডাবের নরম অংশ খাওয়া ছাড়া মাইট বাঁচতে পারে না;
৫। সেজন্য ভাল হয় এবামেকটিন গ্রুপের যে কোন ভালমানের মাকড়নাশক প্রতি লিটার পানিতে ১.৫ মি.লি. হারে আক্রান্ত নারিকেল গাছে সঠিক নিয়মে প্রয়োগ করা বা প্রপারজাইট (ওমাইট/সুমাইট ) গোত্রের মাইটনাশক দিয়ে ডাবের ছড়ায় কচি অবস্থায় স্প্রে করুন;
৬। শীতের আগে (অক্টোবর / নভেম্বর) ও শীতের পরে (মার্চ/ এপ্রিল) বছরে দু’বার স্প্রে করতে হবে;
মোবাইল টাওয়ারের কারণে ডাব/ নারিকেল খসখসে বাদামি এবং খয়েরি দাগ পড়ে ফরম কমে যাচ্ছে কথাটি সত্য নয়।
সূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস , রাজশাহী।