ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ২০২২ । আপনার ফেবারিট দলটি কেমন খেলছে দেখে নিন
কোন দল করেন ভাই? এমন প্রশ্নটি উঠলেই এখন ভয় লাগে – অঘটন ঘটেই চলেছে-আর্জেন্টিনার হারের পর এবার জার্মানির হার তাই ভেবেচিন্তে জবাব দেওয়া ছাড়া কোন উপায় নাই – ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ২০২২
ব্রাজিলও কি এবার প্রথম ম্যাচে হারবে? এমন প্রশ্নের জবাব দেওয়া অনুমান করাও কঠিন। দুটি ফেবারিট দল এবং দলের সমর্থকগণ এখন তোপের মুখে। এখন পদে পদে ওষ্ঠা খাচ্ছে আর্জেন্টিনা এবং জার্মানির সমর্থকগণ। যদি আপনি সমর্থকদের ব্যাপ্তি বা আকারের কথা ভাবেন তবে দেশে আর্জেন্টিনার পর ব্রাজিল এবং ব্রাজিলের পর জার্মানির সার্পোটার বেশি। আর্জেন্টিনা এবং জার্মানির হারের পর ব্রাজিলের কি হবে তা নিয়ে ব্রাজিলের সমর্থকরাও চিন্তায় আছে।
আর্জেন্টিার অতীত ইতিহাস কি? যদিও আর্জেন্টিনাতে ফুটবল খেলা শুরু হয় ১৮৬৭ সালে, তবে ১৯০১ সালে আর্জেন্টিনার প্রথম জাতীয় ফুটবল দল গঠিত হয়। তারা উরুগুয়ের বিপক্ষে একটি প্রীতি খেলায় প্রথম মুখোমুখি হয়। খেলাটি অনুষ্ঠিত হয় ১৯০১ সালের ১৬ মে, যেখানে আর্জেন্টিনা ৩–২ ব্যবধানে জয় লাভ করে। আর্জেন্টিনার প্রথম আনুষ্ঠানিক শিরোপা ছিল কোপা লিপতন। ১৯০৬ সালে, তারা উরুগুয়েকে ২–০ ব্যবধানে হারিয়ে এই শিরোপা জয়লাভ করে। ঐ বছর আর্জেন্টিনা নিউটন কাপেও অংশগ্রহণ করে এবং উরুগুয়েকে ২–১ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জয়লাভ করে। ১৯০৭ থেকে ১৯১১ সাল পর্যন্ত টানা আরো চারবার এই শিরোপা জেতে তারা। এছাড়া তারা ১৯০৬ থেকে ১৯০৯ সাল পর্যন্ত চারবার লিপতন কাপও জয়লাভ করে। ১৯১৬ সালে, কনমেবল পরিচালিত দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপে (বর্তমানে কোপা আমেরিকা) অংশগ্রহণ করে আর্জেন্টিনা। এই প্রতিযোগিতায় শিরোপা জেতে উরুগুয়ে।
আর্জেন্টিনা তাদের প্রথম দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে ১৯২১ সালে। প্রতিযোগিতায় তারা উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে এবং ব্রাজিলের বিপক্ষে সবকয়টি খেলায় জয় লাভ করে। ১৯২৪ সালের ২রা অক্টোবর তারিখে উরুগুয়ের বিপক্ষে একটি প্রীতি খেলায় অংশগ্রহণ করে আর্জেন্টিনা। খেলার ১৬তম মিনিটে আর্জেন্টাইন উইঙ্গার সিজারিও ওঞ্জারি কর্ণার কিক থেকে একটি গোল করেন। তিনি কর্ণার কিক নেন এবং কোন খেলোয়াড় বল স্পর্শ না করলেও তা উরুগুয়ের গোলপোস্টের ভেতরে ঢুকে যায়। এই গোলটির নাম দেওয়া হয় ‘‘গোল অলিম্পিকো’’ বা ‘‘অলিম্পিক গোল’’। ১৯২৭ সালে আর্জেন্টিনা তাদের তৃতীয় দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতে। এই প্রতিযোগিতার তিন খেলার সবকয়টিতেই জয় লাভ করে তারা। আর্জেন্টিনা ১৯২৮ আমস্টারডাম অলিম্পিকে অংশগ্রহন করে। উরুগুয়ের বিপক্ষে ফাইনালে ২–১ ব্যবধানে হেরে রৌপ্যপদক জেতে তারা। ১৯২৯ সালে টানা দ্বিতীয়বারের মত দক্ষিণ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে আর্জেন্টিনা। এই প্রতিযোগিতায়ও আর্জেন্টিনা সবকয়টি খেলায় জয় লাভ করে। ১৯৩০ সালে ফিফা প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজন করে। প্রতিযোগিতায় আজেন্টিনাসহ মোট ১৩টি দেশ অংশগ্রহন করে। সবকয়টি খেলায় জয় লাভ করে ফাইনালে পৌছালেও, উরুগুয়ের বিপক্ষে ৪–২ ব্যবধানে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয় তাদের। প্রতিযোগিতায় আট গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন আর্জেন্টিনার গুইলেরমো স্তাবিল। ১৯৩৪ ইতালি বিশ্বকাপে অংশগ্রহন করলেও, প্রথম পর্বে সুইডেনের বিপক্ষে ৩–২ ব্যবধানে পরাজিত হয়ে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেয় আর্জেন্টিনা।
জার্মানির অতীত ইতিহাস কেমন? আন্তর্জাতিক ফুটবলে জার্মানির প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম জার্মানির ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯০৪ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা উয়েফার সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯০৮ সালের ৫ই এপ্রিল তারিখে, জার্মানি প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; সুইজারল্যান্ডের বাজেলের অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে জার্মানি সুইজারল্যান্ডের কাছে ৫–৩ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। জার্মানি হচ্ছে ফিফা কনফেডারেশন্স কাপের শেষ চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০১৭ সালে চিলিকে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে। ফুটবল বিশ্বকাপের সময়সূচি ২০২২ । বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ কোন কোন দেশ খেলবে
৭০,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট অ্যালিয়াঞ্জ এরিনায় ডি মানশাফট নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় জার্মানির রাজধানী ফ্রাঙ্কফুর্টে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন হান্স-ডিটার ফ্লিক এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন বায়ার্ন মিউনিখের গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার। জার্মানি ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসের অন্যতম সফল দল, যারা এপর্যন্ত ৪ বার (১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০ এবং ২০১৪) বিশ্বকাপ জয়লাভ করেছে। এছাড়া উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপেও জার্মানি অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ৩টি (১৯৭২, ১৯৮০ এবং ১৯৯৬) শিরোপা জয়লাভ করেছে। লোথার মাথেউস, মিরোস্লাভ ক্লোসা, লুকাস পোডলস্কি, গের্ড ম্যুলার এবং রুডি ফোলারের মতো খেলোয়াড়গণ জার্মানির জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
খেলার আগে যারা প্রিডিকশন করছেন তাদের সবার প্রিডিকশনই ভুল প্রমান হচ্ছে / ফেবারিট দলগুলো কি এবার ফাইনাল খেলতে পারবে না?
footballpredictions.com ওয়েবসাইটে গেলে দেখবেন এবার ফেবারিট দল নিয়ে যতগুলো প্রিডিকশন হয়েছে সবই ভুল প্রমানিত হয়েছে। Brazil VS Serbia Prediction 2-1 Goals এটিও ভুল প্রমান হবে কিনা তা আগামীকালই জানা যাবে।
Caption: Check live Score and Match details from goal.com
Goal.com Live Score or Possession and Shot Check । মোবাইলে আপনি এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লাইভ স্কোর এবং বেশ কিছু তথ্য জানতে পারবেন।
- Check Football Match Live Score
- Checkout Possession
- Check Shots on Target
- Total Match Schedule
- Check Key Event
- Check Calendar Wise Match Fixture
ব্রাজিলের অতীত ইতিহাস কি বলে?
অধিকাংশ ব্যক্তি মনে করেন যে, ব্রাজিল জাতীয় দলটি তাদের প্রথম খেলাটি ১৯১৪ সালে খেলেছে। ব্রাজিলের রিউ দি জানেইরু ও সাও পাওলো দলের মধ্য হতে নির্বাচিত একটি দল ইংল্যান্ডের এক্সিটার সিটি ফুটবল ক্লাবের সাথে একটি খেলায় অংশ নেয়। ফ্লামিনিনেস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত উক্ত খেলায় ব্রাজিল ২–০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল। ব্রাজিলের পক্ষে দুটো গোল করে ওসওয়াল্ড গোমেজ এবং ওসমান। অনেকে দাবি করেন যে, উক্ত খেলাটি ৩–৩ গোলে ড্র হয়েছিল। ভবিষ্যতের গৌরবোজ্জল সাফল্যের তুলনায় শুরুর দিকে দলটির উপস্থিতি ছিল খুবই নগণ্য। ব্রাজিলীয় ফুটবলে পেশাদারিত্বের অভাবের কারণে উক্ত সময়ে একটি শক্তিসম্পন্ন দল গঠন করতে ব্রাজিলীয় ফুটবল ফেডারেশন ব্যর্থ হয়েছিল। আর্জেন্টিনা দলের ছবি ২০২২ । আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ দল ঘোষণা । কে কে খেলাবে আর্জেন্টিনা দলে দেখে নিন
সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৫৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপে ব্রাজিল দল পূর্ণাঙ্গভাবে আত্মপ্রকাশ করে। পূর্ববর্তী আসরে মারাকানায় পরাজিত হওয়ার বেদনা ভুলে নিলতন সান্তোস, দালমা সান্তোস, দিদির ন্যায় একগুচ্ছ প্রতিভাবান ফুটবলারদের নিয়ে উক্ত আসরে অংশগ্রহণ করে ব্রাজিল। কিন্তু, দলটি খুব বেশি দূর অগ্রসর হতে পারেনি। কোয়ার্টার-ফাইনালে শক্তিশালী হাঙ্গেরির কাছে ৪–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়ে তারা উক্ত আসর হতে বিদায় নেয়। এই খেলাটি ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে কদর্যপূর্ণ খেলারূপে বিবেচিত হয় ও অমর্যাদাকরভাবে বার্নের যুদ্ধ নামে পরিচিতি লাভ করে। ২০০৯ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর তারিখে, রোজারিওতে আর্জেন্টিনার নিজেদের মাঠে, আর্জেন্টিনাকে ৩–১ গোলে পরাজিত করার মাধ্যমে ব্রাজিল ২০১০ সালের ফিফা বিশ্বকাপের মূলপর্বে উত্তীর্ণ হয়। ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ । বিশ্বকাপ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ পুরস্কার কি?
২০০৯ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্রয়ে ব্রাজিল জি গ্রুপে স্থান পায়। অনেকের মতে এটিই হচ্ছে এ বিশ্বকাপের গ্রুপ অফ ডেথ। এই গ্রুপের হয়ে ২০১০ সালের ১৫ই জুন তারিখে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে সেলেসাওরা তাদের প্রথম খেলাটি খেলে। এরপর ২০শে জুন তারিখে তারা কোত দিভোয়ারের বিরুদ্ধে খেলে এবং গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ২৫শে জুন তারিখে তারা খেলে অপর শক্তিশালী দল পর্তুগালের বিরুদ্ধে। ৫ বারের বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিলের বিস্তারিত ইতিহাস দেখুন এখানে
https://bdtimes.net/%e0%a6%ab%e0%a7%81%e0%a6%9f%e0%a6%ac%e0%a6%b2-%e0%a6%96%e0%a7%87%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%96%e0%a6%ac%e0%a6%b0-%e0%a7%a8%e0%a7%a6%e0%a7%a8%e0%a7%a8-%e0%a5%a4-%e0%a6%86%e0%a6%b0%e0%a7%8d/