মহরম কবে ২০২৩ । মহরমের রোজা কত তারিখে রাখতে হয়?
বাংলাদেশ আশুরা বা মহররম পালিত হবে চলতি মাসের ২৯ তারিখ শনিবার-সাপ্তাহিক ছুটির দিন সরকারি ছুটি পালিত হবে – মহরম কবে ২০২৩
চাঁদ দেখা গেছে কি? –দেশের আকাশে আজ কোথাও ১৪৪৫ হিজরি সনের মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এ কারণে আগামী ২৯ জুলাই দেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মহরম কি? মহরম হলো ইসলামিক বা মুসলিম ধর্মের একটি প্রধান মাস। এটি হিজরি ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস হয়ে থাকে এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মহরমের মাসে মুসলিম সামাজিক সংস্কার এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনেক প্রকারে পরিচালিত হয়। মহরমের দ্বিতীয় দিন, যা “আশুরা” নামে পরিচিত, বিশেষ গুরুত্বের দিন হয়। এই দিনে মুসলিম সামাজিক আচারণার সাথে ধর্মীয় উৎসব ও অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়। এই দিনে মুসলিম সমাজে মুহাররাম উৎসবের অংশ হিসেবে একসাথে এসে দরিদ্র ও সুবিধাহীন লোকদের মাঝে দান করা হয়। এই দিনে ধর্মীয় উপাস্য খুদার মুহাম্মাদ (সাঃ) এবং তার পরিবারের উপর সাইদীনা হোসেন (রাঃ) এবং সাইদীনা হুসায়েন (রাঃ) উপর বিশেষ শ্রদ্ধা ও সম্মানের প্রতীক্ষা করা হয়।
মহরমে বিশেষভাবে মুসলিম শিয়া সমাজে মহান গোত্রঘাতক ঘটনা করবালা বাহকরগঞ্জ ম্যাসাকারে এবং কর্বালা ম্যাসকারের স্মরণ অনুষ্ঠানের অনেক গুরুত্ব রয়েছে, যা তাদের ইতিহাসের অন্যতম মৌলিক ভাগ হিসেবে মনে করা হয়। এই অনুষ্ঠানে মুসলিম শিয়া সমাজ শ্রদ্ধা ও ভক্তি সারাহ করে এবং দু: খের প্রস্তুতি করে। মহরমের উপলক্ষে অনেক সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং উৎসব প্রতিবারের মতো ভিন্ন ধরনের সম্পাদন করা হয় বিভিন্ন মুসলিম দেশের ভিন্ন ভিন্ন সংস্কারে।
হরমের ১০ তারিখ কবে ২০২৩ । মহরম কত তারিখে ২০২৩ । আশুরার রোজা কয়টি?
আশুরা একটি পবিত্র দিন যা মুসলিম সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই দিনে মুসলিম সামাজিক আচারণার সাথে ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনেক প্রকারে পরিচালিত হয়, যেমন দান, কর্বালা ম্যাসকার ও বাহকরগঞ্জ ম্যাসকারে স্মরণ অনুষ্ঠান। এই দিনে মুহাম্মাদ (সাঃ) ও তার পরিবারের উপর সাইদীনা হোসেন (রাঃ) এবং সাইদীনা হুসায়েন (রাঃ) উপর বিশেষ শ্রদ্ধা ও সম্মানের প্রতীক্ষা করা হয়।
Caption: Ashura or Moharram Leave by Govt Announcement
আশুরা বা মহররম পালনের সহি হাদিস । মহররমের ৯ তারিখ রোজা রাখার কারণ কি?
- মহররম মাসে আশুরা উপলক্ষ্যে দুদিন রোজা রাখার ব্যাপারে হাদিসের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। কেননা এক দিন রোজা রাখলে তা ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানদের সঙ্গে সামঞ্জজ্য হয়ে যায়।
- হাদিসে এসেছে- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি যদি পরের বছর বেঁচে থাকি তবে আমি (মহররমের) নবম দিনও রোজা রাখব।’ (মুসনাদে আহমাদ)।
- হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আশুরার রোজা রাখেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে রোজা রাখতে বলেন। তখন তারা (সাহাবায়ে কেরাম) বলল- হে আল্লাহর রাসুল! সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দিনটিতে ইয়াহুদি ও খ্রিস্টানরাও রোজা পালন করে।
- তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ চাইলে আমরা পরের বছর নবমীর দিন (মহররমের ৯ তারিখও) রোজা পালন করব।’ কিন্তু পরের বছর বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইন্তেকাল করেন।’ (মুসলিম)
মহরমের রোজা কত তারিখে রাখতে হয়?
হাদিসে প্রমাণিত হয় যে আশুরার রোজা হবে দুটি—মহররমের ১০ তারিখ একটি, আর ৯ তারিখ অথবা ১১ তারিখ আরো একটি। আশুরার রোজা রাখার ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধান হলো- মহররমের ৯ তারিখ ও ১০ তারিখ অথবা ১০ ও ১১ তারিখ দুটি রোজা রাখা। কেননা ইহুদিরা একটি রোজা রাখে। তাদের বৈসাদৃশ্যের জন্য দুটি রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে। (মুসনাদে আহমদ: ২১৫৪) । আশুরা কারবালার যুদ্ধে হোসাইন ইবনে আলী ও তার পরিবারের সদস্যদের শাহাদাতকে চিহ্নিত করে। শিয়া মুসলিমরা এই দিনে নবি মুহাম্মাদের নাতি এবং তার পরিবারের সাথে ঘটে যাওয়া বিয়োগান্তক ঘটনাকে স্মরণ করে। নবীর নাতির শাহাদাতের স্মরণে আশুরা পালিত হয়ে থাকে।