২০২৪ সালের রোজার ক্যালেন্ডার । রোজা কত তারিখে শুরু হবে?
দীর্ঘ ১ মাস রোজা থাকার পর শরীর ও মন পবিত্র হয়ে উঠে – রোজা ঈদের মাধ্যমে মুমিনদের নতুন জীবন শুরু হয়– রোজার ক্যালেন্ডার ২০২৪
রোজা কি? –রোযা বা রোজা (ফার্সি روزہ রুজ়ে), সাউম বা সাওম (আরবি صوم স্বাউম্, অর্থঃ সংযম), বা সিয়াম ইসলাম ধর্মের পাঁচটি মূল ভিত্তির তৃতীয়। সুবহে সাদেক বা ভোরের সূক্ষ আলো থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার,পাপাচার, কামাচার এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোযা। ইসলামী বিধান অনুসারে, প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য রমযান মাসের প্রতি দিন রোজা রাখা ফরজ, (فرض ফার্দ্ব্) যার অর্থ অবশ্য পালনীয়।
রোজা সম্পর্কে পবিত্র কি আছে? কুরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, “হে যারা ঈমান এনেছ তোমাদের ওপর রোযা ফরজ করা হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল। যাতে করে তোমরা তাক্ওয়া অবলম্বন করতে পার”। (সূরা বাকারা: ১৮৩)। হযরত আদম যখন নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার পর তাওবাহ করেছিলেন তখন ৩০ দিন পর্যন্ত তার তাওবাহ কবুল হয়নি। ৩০ দিন পর তার তাওবাহ কবুল হয়। তারপর তার সন্তানদের উপরে ৩০টি রোযা ফরয করে দেয়া হয়। নূহ (আ.)-এর যুগেও রোজা ছিল। কারণ, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন: হযরত নূহ (আ.) ১ লা শাওয়াল ও ১০ জিলহজ ছাড়া সারা বছর রোযা রাখতেন। ইবনে মাজাহ ১৭১৪ (সনদ দুর্বল) হযরত ইবরাহীমের যুগে ৩০টি রোজা ছিল বলে কেউ কেউ লিখেছেন।
রোজার সময় স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক কেমন হবে? রমজানে সহবাস সম্পর্কে সূরা আল-বাকারা’র ১৮৭ নং আয়াতে বলা হয়, রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। আর পবিত্র কোরআনের এই আয়াত থেকে এটা প্রমাণিত হয়, রোজাদারের জন্য দিনের বেলা সহবাস হালাল করা হয়নি।
রোজা কবে? / মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৩ দিবাগত রাতে সেহেরি খেতে হবে
মুমিনদের জন্য রোজা একটি আনন্দের সময়। রোজা থাকায় শরীর ও মন দুটি ক্ষেত্রেই সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। আগামীকাল সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় হিজরি ১৪৪৫ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে পরদিন মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে। আর সোমবার রাতে তারাবি নামাজ পড়া শুরু হবে এবং রোজা রাখতে শেষ রাতে সাহরি খেতে হবে। অন্যদিকে সোমবার চাঁদ দেখা না গেলে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং বুধবার (১৩ মার্চ) থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে মঙ্গলবার থেকে তারাবি নামাজ শুরু হবে ও শেষ রাতে খেতে হবে সাহরি।
রোজা হলো সম্পূর্ণ শরীরের জন্য স্বাস্থ্যের জন্য প্রস্তুত হওয়া একটি ধরণের আহার এবং আল্লাহ তা’য়ালার হুকুম। রোজাকালীন সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হয় কারণ কয়েক ঘণ্টা খাবার বিরত থাকা হয় তাই সেহেরি ও ইফতারে পুষ্টিকর খাবার খান।
রোজা কি ভাঙ্গা বা ভঙ্গ করা যায়? যেসব কারণে রমজান মাসে রোজা ভঙ্গ করা যাবে কিন্তু পরে কাজা করতে হয়
- মুসাফির অবস্থায়।
- রোগ-ব্যাধি বৃদ্ধির বেশি আশঙ্কা থাকলে
- মাতৃগর্ভে সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে
- এমন ক্ষুধা বা তৃষ্ণা হয়, যাতে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকতে পারে
- শক্তিহীন বৃদ্ধ হলে
- কোনো রোজাদারকে সাপে দংশন করলে।
- মহিলাদের মাসিক হায়েজ-নেফাসকালীন রোজা ভঙ্গ করা যায়
রোজা রাখার শারিরিক উপকারিতা কি?
রোজা রাখার অনেক উপকারিতা রয়েছে। রমজানে নিয়মিত রোজা রাখার ফলে স্বাস্থ্যসম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা যেমন: উচ্চ কোলেস্টেরল, হৃদ্রোগ ও স্থূলতা প্রতিরোধ করা সম্ভব। রোজায় পেট খালি থাকার কারণে খাবার হজমের অ্যাসিড এই সময় ধীরগতিতে নিঃসরিত হয়, যা হজম শক্তিজনিত নানা সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রোজার কোনো বিকল্প নেই। তবে আপনি যদি রোজা রেখে দিন শেষে ভাজাপোড়া অর্থাৎ পেয়াজু, বেগুনী, চিনির সরবত, বেশি পরিমানে ভাত খান এবং পেট ফুলিয়ে আহার করেন তবে কোনভাবেই শারিরিক কোন উপকার পাবেন না।
https://reportbd.net/%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7%e0%a7%80-%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%9c%e0%a6%be-%e0%a5%a4-%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a6%93%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%be%e0%a6%b2-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b8/