Double Benefit Scheme Bank List 2025 । এককালীন এফডিআর ৫ বছর ৬ মাস মেয়াদ শেষে ডাবল হবে? - Technical Alamin
ব্যাংকিং নিউজ বাংলাদেশ

Double Benefit Scheme Bank List 2025 । এককালীন এফডিআর ৫ বছর ৬ মাস মেয়াদ শেষে ডাবল হবে?

বাংলাদেশে মূল্যস্ফিতি বৃদ্ধি পাওয়ায় টাকার মান কমে গেছে এবং ক্রমাগত কমছে তাই মানুষ ডাবল বেনিফিট স্কিমগুলো খুঁজে বেড়ায়-আমরা আজ নিরাপদ ডাবল স্কিম ব্যাংকের তালিকা দিবো– Double Benefit Scheme Bank List 2025

টাকা দ্বিগুন হবে? হ্যাঁ। ২০২৫ সালে “ডাবল বেনিফিট স্কিম” বা “নতুন প্রজন্ম দ্বিগুণ মুনাফা স্কিম” (New Generation Double Benefit Scheme – NGDBS) নামে একটি প্রকল্প জনতা ব্যাংক লিমিটেড চালু করেছে, যেখানে ৫ বছর ৬ মাস মেয়াদে এককালীন জমার বিপরীতে দ্বিগুণ লাভ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই স্কিমে, সর্বনিম্ন ১,০০,০০০ টাকা বা এর গুণিতক এককালীন জমা রাখা যায়। এই স্কিমের বিস্তারিত তথ্যের জন্য জনতা ব্যাংক লিমিটেডের ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করতে পারেন। ডাবল বেনিফিট স্কিম (Double Benefit Scheme) বা নতুন প্রজন্ম দ্বিগুণ মুনাফা স্কিম (New Generation Double Benefit Scheme – NGDBS) একটি বিশেষ প্রকল্প যা জনতা ব্যাংক লিমিটেড (Janata Bank PLC) চালু করেছে।

জনতা ব্যাংক কয় বছরে ডাবল বেনিফিট দেয়? স্বাস্থ্য ভাল এমন ব্যাংকগুলো ৯ বছর সময় নেয়। স্কিমের মেয়াদ ৬ বছর ৬ মাস (৬.৫ বছর)। এককালীন সর্বনিম্ন ১,০০,০০০ টাকা বা এর গুণিতক জমা রাখা যায়। এই স্কিমের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময় পর (যেমন ৬ বছর ৬ মাস) আপনার জমার পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে ফেরত পাবেন। এই স্কিমের সুদের হার ১১.২৩%। এই স্কিমে মাসিক কিস্তি প্রদানের কোনো ব্যাপার নেই, এটি এককালীন জমার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। যদি আপনি এই স্কিমের বিস্তারিত তথ্য জানতে চান, তাহলে জনতা ব্যাংক লিমিটেডের ওয়েবসাইটে (https://www.jb.com.bd/products/ngdbs) দেখতে পারেন অথবা তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।

গত ৫ বছরে বাংলাদেশে টাকা মান কত শতাংশ কমেছে? গত ৫ বছরে (জুলাই ২০২০ থেকে জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত) বাংলাদেশের টাকার মার্কিন ডলার (USD)–এর বিপরীতে মূল্যায়নের ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়: সময়সীমা এবং রেট: জুলাই ২০২০‑এ $1 ≃ ৮৪.৮ BDT জুলাই ২০২৫‑এ $1 ≃ ১২১.৩ BDT (hat ১৬–১৭ জুলাই তারিখে) গত পাঁচ বছরে টাকার দক্ষিণ তার মার্কিন ডলারের বিপরীতে প্রায় ৪৩ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে। সরল ভাষায় ২০২০‑র জুলাইতে ১ ডলার কিনতে লাগতো ≈ ৮৫ টাকা। ২০২৫‑এ একই পরিমাণ টাকার মাধ্যমে কিনতে হচ্ছে ≈ ১২১ টাকা। এর ফলে একটা ডলারের জন্য প্রয়োজনীয় টাকার পরিমাণ ≈ ৪৩ ٪ বেড়েছে – যা টাকার অবমূল্যায়ন নির্দেশ করে। এই হিসাব “মিড-মার্কেট” বা “সরকারি রেফারেন্স” রেট ভিত্তিক — ব্যাংক বা মুদ্রা বাজারে ভিন্নতা থাকতে পারে। মুদ্রার মান অবমূল্যায়নের পেছনে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ–চাহিদা, বৈদেশিক বাণিজ্য, মুদ্রানীতি ও বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থান। গত ৫ বছরে বাংলাদেশি টাকার ডলারপ্রতি অবমূল্যায়ন ≈ ৪৩ %, যা বলছে যে একই পরিমাণ ডলার কিনতে আজ প্রায় ৪৩% বেশি টাকা প্রয়োজন পড়ছে।

ডাবল বেনিফিট স্কিম ২০২৫ । যাদের কাছে টাকা আইডল পড়ে থাকে তারাই মূলত এমন স্কিম গ্রহন করে থাকে

ডাবল বেনিফিট স্কিম (Double Benefit Scheme) সাধারণত ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে এক ধরনের সঞ্চয় প্রকল্প যা নির্দিষ্ট সময় পর জমাকৃত অর্থ দ্বিগুণ করে ফেরত দেয়। এই স্কিমটি গ্রহণ করতে পারেন যে কেউ, যাদের অল্প বা বেশি সঞ্চয়ের ইচ্ছা আছে এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর তাদের অর্থ দ্বিগুণ দেখতে চান। বিশেষ করে যারা স্বল্প ও মধ্য-মেয়াদী বিনিয়োগে আগ্রহী, তাদের জন্য এই স্কিমটি উপযোগী।

Caption: Double Benefit Bank List

ডাবল স্কিম বেনিফিন ব্যাংক  ২০২৫ । যেসব ব্যাংকে আপনি নিরাপদে টাকা রাখতে পারেন  মেয়াদ শেষে উক্ত সুদ/মুনাফা হতে ট্যাক্স কেটে টাকা হবে

  1. প্রিমিয়ার ব্যাংক ৫ বছর ৬ মাস-১০,০০০
  2. এবি ব্যাংক ৫ বছর ৬ মাস- ১0,000
  3. মধুমতি ব্যাংক ৫ বছর ৬ মাস- ৫0,000
  4. কমিউনিটি ব্যাংক ৫ বছর ৬ মাস- ১০,০০০
  5. যমুনা ব্যাংক ৬ বছর ১০ মাস-১০,০০০
  6. এনআরবিসি ব্যাংক ৬ বছর ৩ মাস ১০,০০০
  7. মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ৭ বছর ৩ মাস ৫0,000
  8. ব্যাংক এশিয়া ৭ বছর-১00,000
  9. প্রাইম ব্যাংক ৭ বছর ১১ মাস- ১০,০০০
  10. ঢাকা ব্যাংক ৭ বছর ১১ মাস- ৫0,000
  11. উত্তরা ব্যাংক ১২ বছর প্রায় -১০০,০০০
  12. রুপালী ব্যাংক ৯ বছর- ১,00,000
  13. পূবালী ব্যাংক ৯ বছর -১,০০,০০০

ব্যাংক গুলোর ডাবল বেনিফিট স্কিম গ্রহণ কি ঠিক হবে?

ডাবল বেনিফিট স্কিম, যেখানে আমানত নির্দিষ্ট সময় পর দ্বিগুণ হয়ে যায়, তা গ্রহণ করা ঠিক হবে কিনা, তা নির্ভর করে আপনার ব্যক্তিগত আর্থিক পরিস্থিতি এবং লক্ষ্যের উপর। এই স্কিমগুলি সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য টাকা জমা রাখার মাধ্যমে দ্বিগুণ লাভের সুযোগ দেয়, তবে কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিত। যদি আপনি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য টাকা জমা রাখতে ইচ্ছুক হন এবং মেয়াদ শেষে দ্বিগুণ লাভের আশা করেন, তাহলে এই স্কিমটি আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে। অন্যদিকে, যদি আপনার জরুরি প্রয়োজনে টাকা তোলার প্রয়োজন হতে পারে, তবে এই স্কিমটি নাও কার্যকরী হতে পারে, কারণ মেয়াদপূর্তির আগে টাকা তুললে লাভ নাও পেতে পারেন বা কম লাভ হতে পারে। বিভিন্ন ব্যাংকের ডাবল বেনিফিট স্কিমগুলোতে সুদের হার এবং অন্যান্য শর্তাবলী ভিন্ন হতে পারে, তাই বিভিন্ন ব্যাংকের স্কিমগুলো তুলনা করে আপনার জন্য সুবিধাজনক স্কিমটি বেছে নেয়া উচিত। এছাড়াও, ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা এবং নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করাও গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, কিছু ব্যাংক ডাবল বেনিফিট স্কিমের জন্য ৫-৬ বছর সময় নেয়, যেখানে কিছু ব্যাংক ৬-৭ বছর সময় নিতে পারে। তাই, এই স্কিমগুলোতে বিনিয়োগ করার আগে, একজন আর্থিক উপদেষ্টার সাথে পরামর্শ করাও একটি ভাল উপায় হতে পারে। উপসংহারে, ডাবল বেনিফিট স্কিম একটি আকর্ষণীয় বিকল্প হতে পারে, কিন্তু এর ভালো-মন্দ দিকগুলো বিবেচনা করে এবং আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

ডাবল বেনিফিট স্কিম ২০২৫ইসলামী ব্যাংক ডাবল বেনিফিট স্কিমকৃষি ব্যাংক ডাবল ডিপোজিট স্কিম ২০২৫
ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম ইন বাংলাদেশডাবল বেনিফিট স্কিম ২০২৪ সোনালী ব্যাংকডাবল বেনিফিট স্কিম ২০২৫
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ডাবল বেনিফিট স্কিমজনতা ব্যাংক ডাবল বেনিফিট স্কিম ২০২৫

ব্যাংক ডাবল বেনিফিট স্কিম ২০২৫ । ফিক্সড আমানতের উপর ১৩.৪০% সুদ পাওয়া যাবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *