bdris.gov.bd login । জন্ম নিবন্ধন কি কি কাজে লাগে?
বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রমানক যা দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। তাই শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে ফি’তে জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করে ফেলুন। অতীতে বয়স কমানোর সুযোগ থাকলেও বর্তমানে সকল বিষয় অনলাইন হওয়ার কারণে ইচ্ছা করলেই বয়স কমানো যাবে না। তাই দেরী না করে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করুন।
জন্ম নিবন্ধন কি কাজে লাগে?
সরকারি চাকরি বা স্বায়ত্তশাসিত চাকরির ক্ষেত্রেও বর্তমানে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করতে হয়। বিয়ের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয়। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বিয়ের সময় বয়স প্রমাণের জন্য এটি ভূমিকা পালন করে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন সকলের জন্য ব্যধ্যতামূলক (ধারা ৫(১), ৬ক এবং ৮(১)) । আইনের এ নির্দেশনা কেউ না মানলে তিনি আইন লঙ্ঘনকারী হিসাবে গণ্য হবেন এবং অনধিক ৫০০০ টাকা অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। তাছাড়া, এখন বিদ্যালয়ে ভর্তি, চাকরিতে নিয়োগ, পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয় পত্রসহ ১৯ টি ক্ষেত্রে জন্ম সনদ আবশ্যক। আবার জন্ম নিবন্ধন ব্যতীত কোন ব্যক্তির মৃত্যু নিবন্ধন করা যাবে না। মৃত্যু নিবন্ধন না হলে উত্তরাধিকার নিশ্চিত করা যাবে না।
বিষয়টি এভাবে বুঝিয়ে বললে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি জন্ম নিবন্ধনে আগ্রহী হবেন। সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের সঙ্গে পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন অপেক্ষাকৃত সহজ। কারণ সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের জন্য যে তথ্যাদি/রেকর্ডপত্র প্রয়োজন তার সঙ্গে পিতামাতার শুধু বয়স প্রমাণের রেকর্ড (শিক্ষা সনদ বা আইনের ৭(১) ধারা অনুযায়ী তদন্তসহ এনআইডি) যোগ করলেই অতি সহজে তাদের জন্ম নিবন্ধন করা সম্ভব। বিষয়টিকে সমস্যা হিসাবে না দেখে ‘সুযোগ’ হিসাবে দেখা যেতে পারে।
তাছাড়া, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের শুদ্ধ ডাটাব্যাজের জন্য ‘ফ্যামিলি ট্রি’ আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত একটি উত্তম চর্চা। বাংলাদেশ এটি গ্রহণ করেছে। এই পদ্ধতিতে সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের সঙ্গে পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর যুক্ত করে একটি পারিবারিক কাঠামো তৈরি করা হয়, যাতে পিতা-মাতার সন্তানের সংখ্যা এবং তাদের ক্রমিক নম্বর জানা যায়। এর মাধমে উত্তরাধিকার নিশ্চিত হয় এবং অনৈতিকভাবে বয়স বা অন্যান্য তথ্য পরিবর্তনের প্রবণতা রোধ করা সম্ভব হয়। এই পদ্ধতি বাংলাদেশে ভবিষ্যতে ‘পপুলেশন রেজিস্টার’ প্রণয়নে সহায়ক হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে নাগরিককে বিষয়টি ভালভাবে বুঝিয়ে এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করে নিবন্ধন করিয়ে নিতে হবে।
পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম
পূর্বে জন্ম নিবন্ধন হাতে লিখলেও বর্তমানে হাতে লেখার কোন সুযোগ নেই। ম্যানুয়াল জন্ম নিবন্ধনসমূহ অনলাইনে অন্তর্ভুক্তির জন্য অনেকবার সময় দেওয়া হয়েছে। অনলাইন বহির্ভূত এই সকল জন্ম নিবন্ধন এখন হুবহু একই জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে অনলাইনে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ নাই। যে এলাকায় হাতে লিখা জন্ম নিবন্ধনটি করা ছিল, সেই কার্যালয়ে রক্ষিত বইতে সনদের তথ্যটি পাওয়া গেলে নিবন্ধক সরাসরি হাতে লিখা সনদের তথ্য দিয়েই অনলাইন নিবন্ধন করে দিবেনযদি না ইতঃপূর্বে অন্য কোথাও জন্ম নিবন্ধন করা হয়ে থাকে।। তবে জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি পরিবর্তিত হবে। এতে অবশ্য সংশ্লিষ্ট নাগরিকের কোন ক্ষতি বা অসুবিধা হবে না।
পূর্বের হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধন যদি ১৭ ডিজিটের না হয়ে থাকে তবে জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি পরিবর্তন হবে। যখনই আপনি অনলাইন করবেন ঠিক তখনই এটি ১৭ সংখ্যা হয়ে যাবে এবং পূর্বের জন্ম নিবন্ধন নম্বরের সাথে কোন মিল থাকবে না।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন ডাটাবেজে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না
হঠাৎ কি কারণে আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন ডাটাবেজে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আপনি যদি যাচাই-বাছাই করার পরে দেখতে পান যে সত্যিই আপনার জন্ম নিবন্ধনটি অনলাইন ডাটাবেজে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে আপনাকে অবশ্যই আরেকটি নতুন জন্ম নিবন্ধন করার জন্য আবেদন করতে হবে। এছাড়া দ্বিতীয় আর কোন পদ্ধতি কিংবা উপায় নেই। ইতঃপূর্বে সংশোধিত কোন তথ্য BDRIS সফটওয়্যারে পাওয়া না গেলে এই সকল সংশোধনের একটি বিস্তারিত তালিকা নির্বাহী অফিসার/ডিডিএলজির মাধ্যমে রেজিস্ট্রার জেনারেল-এর কার্যালয়ে প্রেরণ করা হলে তা হালনাগাদ করে দেওয়া হবে।
নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমতি ছাড়া কোন ক্রমেই জন্ম নিবন্ধন পুন: অনলাইন বা নতুন করে জন্ম নিবন্ধন করা যাবে না। তাছাড়া ডুপ্লিকেট জন্ম সনদ ফাইন্ডিং শুরু হয়েছে তাই ডুপ্লিকেট বা একাধিক রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে তা বাতিল করে দেওয়া হইবে।
Birth Certificate is required for Passport Registration
জন্ম নিবন্ধন বাংলা থেকে ইংরেজী করার নিয়ম
জন্ম নিবন্ধন বাংলা থেকে ইংরেজি করার জন্য আপনার নিবন্ধন নম্বরটি অবশ্যই ১৭ ডিজিটের হতে হবে। জন্ম নিবন্ধন ইংরেজি আবেদন করার সময় উপরের ডকুমেন্টস গুলোর স্ক্যান বা ছবি আপলোড করতে হবে। এক্ষেত্রে ছবির সাইজ ০১ এমবির কম হতে হবে। চলুন এখন কিভাবে জন্ম নিবন্ধন ইংরেজি করার আবেদন করবেন সেই প্রক্রিয়া দেখে নেই। সফটওয়্যারে কোন তথ্য সংযোজন বা বিয়োজন সংশোধন হিসাবে গণ্য হবে। নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রথমেই তা উভয় ভাষায় করা প্রয়োজন ছিল। ইংরেজিতে না থাকায় তা এখন সংযোজন করতে গেলে তাও সংশোধন হিসাবে গণ্য হবে এবং তা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা ২০১৮-এর ১৫ বিধি অনুযায়ী সংশোধন করতে হবে। আপনি ১৭ ডিজিটের বাংলা জন্ম সনদ নিয়ে ইউপি বা পৌরসভায় যোগাযোগ করলেই ইংরেজী জন্ম সনদ পেয়ে যাবেন ৩-৫ দিনের মধ্যেই।
জমজ সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম
একই সাথে একাধিক সন্তানের জন্ম হলে আপনি কোন সন্তানের জন্ম নিবন্ধন আগে করাবেন এটি খুবই বিবেচ্য বিষয়। জমজ সন্তানের জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে প্রথমে একের পর এক আবেদন করে অনলাইনে সাবমিট করতে হবে তারপর যথাযথ নিয়মে নিবন্ধন করতে হবে । (একটি নিবন্ধন সমাপ্ত করে ফেললে অপর আবেদনটি অনলাইনে সাবমিট করতে সমস্যা হবে।) একই সাথে জন্ম নিবন্ধনগুলোর আবেদন দাখিল করতে হবে এবং জন্ম নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ তা যাচাই বাছাই করে একই সাথে অনুমোদন দিবে। তাই একটি সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সম্পূর্ণ শেষ করে অপর সন্তানের জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করতে গেলে ঝামেলা পোহাতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন ১৭ ডিজিট করার নিয়ম
জন্ম নিবন্ধন নম্বর ১৭ ডিজিট করার জন্য আপনার ১৬ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বরের শেষ ৫ ডিজিটের পূর্বে একটি শুন্য (০) যোগ করতে হবে। তাহলে সেটি ১৭ ডিজিটে পরিণত হবে। অথবা জন্ম নিবন্ধন নম্বরের প্রথম ১১ ডিজিটের পর একটি শুন্য (০) যোগ করতে হবে। ১৭ ডিজিটের কম জন্ম নিবন্ধন নম্বর হলে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধকের কার্যালয়ে পুরাতন সনদটি জমা প্রদান করে ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর সম্বলিত সনদ নেওয়া যাবে। নিবন্ধনের সকল স্তরের মত এক্ষেত্রেও নাগরিকের নিজস্ব মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।
জন্ম নিবন্ধনে স্বামীর ঠিকানা ও নাম লিখা যাবে কি?
জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে পিতা ও মাতার নাম লিখতে হবে, স্বামীর নাম লেখার কোন সুযোগ নাই। পূর্বে নিবন্ধন না হয়ে থাকলে আইনের ৪ ধারা অনুযায়ী বিবাহিত নারীর বিলম্বিত জন্ম নিবন্ধন স্বামীর স্থায়ী ঠিকানায় করা যাবে। তিনি চাইলে তার জন্ম স্থানের ঠিকানায়ও নিবন্ধন করতে পারবেন। জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে পিতা ও মাতার নাম লিখতে হবে, স্বামীর নাম লেখার কোন সুযোগ নাই।
এখন কি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় সনদ প্রদান বাধ্যতামূলক?
নিবন্ধনাধীন ব্যক্তিকে কি বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় সনদ দিতে হবে? হ্যাঁ! বাধ্যতামূলকভাবে উভয় ভাষায় সনদ দিতে হবে। হ্যাঁ! বাধ্যতামূলকভাবে উভয় ভাষায় সনদ দিতে হবে। আবেদনপত্রটি গ্রহণের সময় জন্ম তথ্যসমুহ বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় আছে কি-না তা ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। জন্ম সনদ পূর্বে শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় প্রদান করা হলেও বর্তমানে উভয় ভাষায় জন্ম সনদ প্রদানের আবশ্যকতা রয়েছে।
জন্ম সনদ অনলাইন আবেদনে অন্যের মোবাইল নম্বর ব্যবহার
জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন বা তথ্য সংশোধন সংক্রান্ত আবেদনের সময় নিবন্ধনাধীন ব্যক্তি বা তার পিতা-মাতা-অভিভাবক ছাড়া অন্য কারও মোবাইল ফোন নম্বর ব্যবহার করা যাবে কি? যেহেতু বিষয়টি ব্যক্তিগত তথ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট, সেহেতু এ ক্ষেত্রে নিবন্ধনাধীন ব্যক্তি বা তার পিতা-মাতা-অভিভাবকের মোবাইল ফোন নম্বরই দিতে হবে। যেহেতু বিষয়টি ব্যক্তিগত তথ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট, সেহেতু এ ক্ষেত্রে নিবন্ধনাধীন ব্যক্তি বা তার পিতা-মাতা-অভিভাবকের মোবাইল ফোন নম্বরই দিতে হবে। এর সঙ্গে এদের কারও ইমেইল নম্বব (যদি থাকে) দিলে তা আরও সুবিধাজনক হবে।পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন হতে পারে এমন ধারণা থেকে সফ্টওয়্যারে একটি মোবাইল ফোন নম্বর পরিবারের সর্বোচ্চ ৫ জন সদস্যের ব্যবহারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কোন ফোন নম্বর ৫-এর অধিক সংখ্যক নিবন্ধনে ব্যবহার করলে পরবর্তী সময়ে সেসকল নিবন্ধনের কোন সন্ধান পাওয়া যাবে না।
পরিবারের কোন মোবাইল ফোন না থাকলে বা সদস্য সংখ্যা মোবাইল ফোনের ধারণ ক্ষমতার বেশী হলে সে ক্ষেত্রে নিবন্ধনাধীন ব্যক্তি বা তার পিতা-মাতা-অভিভাবকের সম্মতিতে তার কোন নিকট-জনের ফোন নম্বর ব্যবহার করা যাবে। এইরূপ ক্ষেত্রে কোন অবস্থায়ই নিবন্ধন কার্যালয়ের কোন দাপ্তরিক বা কোন কর্মচারীর ব্যক্তিগত ফোন নম্বর ব্যবহার করা যাবে না।
পিতা/মাতা বিচ্ছেদ বা নিখোজ হলে তার জন্ম নিবন্ধন কিভাবে হবে?
বিবাহ বিচ্ছেদ বা পিতা-মাতার একজন অপ্রাপ্য/নিখোঁজ হলে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন কীভাবে হবে? এইরূপ ক্ষেত্রে পিতা-মাতার একজনের তথ্য দিয়ে, অপরজনের শুধু নাম উল্লেখক্রমে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করা যাবে।এইরূপ ক্ষেত্রে পিতা-মাতার একজনের তথ্য দিয়ে, অপরজনের শুধু নাম উল্লেখক্রমে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করা যাবে।
বি:দ্র: এখন জন্ম নিবন্ধন পিতা মাতার এনআইডি এবং জন্ম সনদ নম্বর ছাড়াই করা যায়।
e verify bdris gov bd । ১ ক্লিকে জন্ম নিবন্ধন ভেরিফাই করা যায়?