প্রাধিকার বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহার ২০২৪ । সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে লাগানোর জন্য বারণ করা হয়েছে কি? - Technical Alamin
সরকারি ভাতা ২০২৪

প্রাধিকার বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহার ২০২৪ । সরকারি গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে লাগানোর জন্য বারণ করা হয়েছে কি?

সরকারি টাকায় গাড়ি কিনে নিজের গাড়ি ব্যবহার না করে সরকারি গাড়ি ও জ্বালানি ব্যবহার আইনবিরুদ্ধ এই কর্মকর্তাদের মনে করিয়ে দেয়া হয়েছে-প্রাধিকার বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহার ২০২৪

নিজের গাড়ি থাকতেও সরকারি গাড়ি? প্রজাতন্ত্রের বেশ কিছু কর্মচারি প্রচলিত বিধি ও প্রাধিকার বহির্ভূতভাবে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন। এমনকি, কোন কোন মন্ত্রণালয়/ বিভাগ কর্তৃক যৌক্তিক কোন কারণ ছাড়াই বিভিন্ন দপ্তর/ অধিদপ্তর/ সংস্থা/ ব্যাংক-বীমা/ কোম্পানী ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান হতে অধিযাচন করে গাড়ি আনা হচ্ছে। এছাড়াও, ‘প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণ এবং গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা-২০২০‘ এর আওতায় গাড়ির ঋণ সুবিধাপ্রাপ্ত কোন কোন কর্মকর্তা গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাবদ সমুদয় অর্থ (পঞ্চাশ হাজার টাকা) গ্রহণ করার পরও অনৈতিক ও বিধি বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ব্যবহার করছেন। অথচ, উক্ত নীতিমালার ১৭ অনুচ্ছেদে এরূপ অনিয়মের বিষয়টি বারিত করার পাশাপাশি সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।

কর্মকর্তা নাকি কর্মচারীদের বোঝানো হয়েছে? কর্মচারী বলতে কর্মকর্তাদের বুঝানো হয়েছে। ঝিঁ-কে মেরে বউকে বুঝানোর মতো বুঝাতে চেয়েছে সরকার। প্রজাতন্ত্রের কিছু কর্মচারির প্রাধিকার বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহারের এরূপ প্রবণতার ফলে একদিকে যেমন জনপ্রশাসনে বিশৃংখলা ও আর্থিক অপচয়ের কারণ ঘটছে, অন্যদিকে তেমনি নৈতিকতার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে সমাজে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিদের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে সরকারের দায়িত্ব সচেতনতা সম্পর্কেও জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ ধারণা তৈরি হচ্ছে। সরকার এ ধরণের বিষয়ে অনমনীয় নীতি গ্রহণ করেছে।মন্ত্রণালয়/ বিভাগ এবং আওতাধীন দপ্তর/ সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাগণের প্রাধিকার বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহার কঠোরভাবে বারিত/বারণ করা হয়েছে।

সরকারি গাড়ি তারাও কি রিকুইজিশন দিয়ে ব্যবহার করতে পারবে? সুদমুক্ত ঋণ সুবিধা গ্রহণকারী কোন কর্মকর্তা সাধারণভাবে তাঁর দপ্তর হতে রিকুইজিশনের ভিত্তিতে কোন গাড়ি সরকারি বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে শর্ত থাকে যে, জরুরি পরিস্থিতি (দাপ্তরিক বা ব্যক্তিগত) উদ্ভবের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষেত্ৰ বিশেষ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পরিচালনা ব্যয়বহন সাপেক্ষে গাড়ি রিকুইজিশন করতে পারবেন।

গাড়ির প্রাধিকার কর্মচারী নয় বরং কর্মকর্তা পান / বারিত অর্থ বারণ করা হয়েছে এমন বা আইনবিরুদ্ধ

১৭ অনুচ্ছেদে কি আছে? কর্মকর্তার এ নীতিমালার অধীন ক্রয়কৃত গাড়িটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অচল থাকলে উক্ত মর্মে প্রত্যয়নসহ রিকুইজিশনের ভিত্তিতে গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে প্রতিদিনের রিকুইজিশনের জন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত আনুপাতিক হারে গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় কর্তনযোগ্য হবে। নীতি ১৭ (১) এ যা কিছুই থাকুক না কেন মন্ত্রণালয়/বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিব ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্তৃক পরিদর্শনের জন্য নির্ধারিত টিওএন্ডইভুক্ত জীপগাড়িটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এ শর্ত প্রযোজ্য হবে না ।

Caption: PMO

সরকারি গাড়ি ব্যবহার ২০২৪ । ৮(আট) কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে সরকারি কাজে ভ্রমণের জন্য ব্যবহারকারী কর্মকর্তা কোন টি.এ/ডি.এ দাবী করতে পারবেন না

  1. কর্ম অধিক্ষেত্র অর্থাৎ কোন কর্মকর্তার দাপ্তরিক কার্যালয় যে স্হানে অবস্হিত, তার ৮(আট) কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে সরকারি কাজে ভ্রমণের জন্য ব্যবহারকারী কর্মকর্তা কোন টি.এ/ডি.এ দাবী করতে পারবেন না;
  2. তবে শর্ত থাকে যে, ৮(আট) কিলোমিটার ব্যাসার্ধের বাইরে কোন সরকারি কাজে ভ্রমণের জন্য (বাসায় যাতায়াতের ক্ষেত্র ব্যতীত) গাড়িটি ব্যবহৃত হলে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হারে টি.এ/ডি.এ প্রাপ্য হবেন। ব্যাখ্যা: কোন কর্মকর্তার একাধিক দাপ্তরিক কার্যালয় থাকলে এ ক্ষেত্র তিনি প্রধানতঃ যে দপ্তরে পদায়িত বা অধিক সময় অবস্হান করেন তা বিবেচনা করতে হবে।
  3. কোন কর্মকর্তা চাকরিতে থাকা অবস্হায় দাপ্তরিক প্রয়োজন মিটানোর পরে গাড়িটি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে পরিবারের সদস্য সমন্বয়ে ব্যবহার করতে পারবেন, এ ক্ষেত্রে প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার গাড়ি ব্যবহার বিষয়ে দূরত্ব সংক্রান্ত সরকারি নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
  4. গাড়ি ভাড়া, লীজ বা অন্যকোন ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য হস্তান্তর করলে তা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী “অসদাচরণ” বলে গণ্য হবে।

প্রাধিকারভূক্ত কর্মকর্তা বলতে কি বুঝায়?

“গাড়ি সেবা নগদায়ন” অর্থ প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দ কর্তৃক সরকার হতে গাড়ি সুবিধা গ্রহণের পরিবর্তে “সুদমুক্ত ঋণ” এর মাধ্যমে ক্রয়কৃত গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত আর্থিক সুবিধাদি। “প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা” অর্থ সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) এর সুপারিশক্রমে সরকারের উপসচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে অন্যূন ০৩ (তিন) বছর অতিক্রম করেছেন এমন কর্মকর্তা, সরকারের যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব, সচিব/সিনিয়র সচিব। অধুনালুপ্ত বি.সি.এস. (ইকনমিক) ক্যাডারের যুগ্মপ্রধান বা তদূর্ধ্ব কর্মকর্তা, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্মসচিব (ড্রাফটিং) থেকে তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তা যারা সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর হতে সার্বক্ষণিক ব্যবহারের জন্য গাড়ির সুবিধা প্রাপ্ত।

উল্লিখিত (অ) ও (আ) এর পদসমূহে চুক্তিতে বা রাষ্ট্রপতির ১০% কোটায় নিয়োজিত কর্মকর্তাবৃন্দ এর অন্তর্ভুক্ত হবেন না। তবে রাষ্ট্রপতির ১০% কোটায় নিয়োজিত কর্মকর্তা ইতঃপূর্বে সার্বক্ষণিক সরকারি গাড়ি ব্যবহারের প্রাধিকারপ্রাপ্ত হলে এ শর্ত প্রযোজ্য হবে না । “গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়” অর্থ এ নীতিমালার আওতায় সুদমুক্ত ঋণের অর্থে ক্রয়কৃত গাড়ির মেরামত/সংরক্ষণ, জ্বালানি, ড্রাইভারের বেতন, বীমা, ফিটনেস নবায়ন, কর, অন্যান্য ফি ইত্যাদি বাবদ প্রদেয় মাসিক রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়কে বুঝাবে

https://bdservicerules.info/govt-car-uses-on-payment/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *