Learn to say No । যে বই পড়লে “না” বলা শিখতে পারবেন
কেউ কোন কাজ দিলে বা সাহায্য চাইলে না বলতে শিখুন- বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে আপনাকে না বলতে হবে – যে বই পড়লে ” না বলা শিখতে পারবেন
কেন সবাই না বলতে পারে না? – ‘না’ শব্দটি খুবই ছোট ও সহজ হওয়া সত্বেও অধিকাংশ মানুষ না বলাকে অত্যন্ত কঠিন বলে মনে করে। কিন্তু আমরা সবাই জানি যে, যদি ‘না’ বলতে পারি তাহলে জীবনের অনেক জটিলতা থেকেই মুক্তি পেতে পারি। এই বইয়ে বেশ কিছু সফল উপায় বলে দেয়া হয়েছে, যেগুলো নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করে যেকোনো ব্যাক্তি ‘না’ বলার শিল্পে পারদর্শী হয়ে নিজেদের জীবনকে হতাশামুক্ত করে আনন্দময় জীবন উপভোগ করতে পারেন।
বই পড়ে কি না বলা শেখা যায়? যদি আপনাকে কেউ কোনো কাজ করার অনুরোধ করে, তবে তা নিয়ে বিচার-বিবেচনা করার জন্য সময় চাওয়া জরুরি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জোর দিয়ে ‘না’ বলার সময় শরীরের ভাষার ব্যবহার করুন। এ কথাটা মাথায় রাখবেন যে আপনার আওয়াজ যেন শক্তিশালী ও স্পষ্ট হয়। সুন্দর করে ‘না’ বলা অসম্মানজনক কিছু নয়। যদি আপনার মনে হয় যেকোনো কাজের জন্য ‘না’ বলা উচিত, তবে নিষ্ঠার সাথে ‘না’ বলে দিন। একটা কথা মনে রাখবেন, আপনি যখন ‘না’ বলতে গিয়ে ‘হ্যাঁ’ বলে দিচ্ছেন, তখন সমস্যা আপনার নিজেরই হবে। তাই সমস্যার কথা মাথায় রেখে হলেও ‘না’ বলুন। যদি এমন সুযোগ থাকে, যাকে আপনি না করে দিচ্ছেন, তাকে অন্য কোনো কাজে বা পরিস্থিতিতে আপনি সাহায্য করতে পারবেন, তাহলে সেটাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিন। এতে করে সে মনঃক্ষুণ্ণ হবে না, আপনিও আপনার ইমেজ বজায় রাখতে পারবেন। এরকম বাস্তবধর্মী আরও শিক্ষা পেতে বইটি আজই সংগ্রহ করুন।
চলুন একটি ছোট্ট গল্প পড়ে নিই- একজন লোক একটি দোকান দিয়ে নতুন ব্যবসা শুরু করেছিল এবং তার সমস্ত পরিচিতজন বন্ধু প্রতিবেশী এবং পরিবার সেখানে কেনকাটা করতো এবং মাঝে মাঝে বাকী ও চাইতো কয়েক বছর পরে, এই সব বাকী মিলে বড় আকার ধারন করে কখনও কখনও আমরা হ্যাঁ বলি যখন আমাদের না বলা উচিত ছিল। আপনি হ্যাঁ বলবেন ভাবছেন আপনি মানুষকে সাহায্য করছেন কিন্তু আসলে আপনি হেরে যাচ্ছেন এবং আপনার কঠোর পরিশ্রম এবং ত্যাগ স্বীকার করছেন। আপনার সময় খারাপ যাবে এবং বাকী টাকা চাইবেন তখন সবাই আপনার দিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। সবসময় হ্যাঁ বলবেন না কারণ আপনার ব্যবসায় বিনিয়োগ করুন এবং সঞ্চয় করুন, স্মার্ট হন, সবকিছু হারিয়ে যেতে দেবেন না। সফল হতে হলে না বলতে ও শিখতে হবে।
সুন্দর করে না কথা বলার কোর্স । গুছিয়ে কথা বলার চেষ্টার সাথে না বলতে হবে। গুছিয়ে কাউকে না বলে দেওয়াও একটি আর্ট
বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মর্যাদাবোধে হেয় হলে, আত্মসম্মানে আঘাত লাগলে, কিংবা কেউ আপনার অনুভুতিতে আঘাত করলে ও আবেগ নিয়ে খেললে তখন আপনার “না” বলার প্রয়োজন হতে পারে।
Caption: Say No if You are benefited
NO or না বলার ৫টি টিপস ২০২৩ । যেভাবে আপনি কাউকে না বলতে পারেন
- আপনার পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব নয়– এটা মাথায় রাখুনvআপনি যদি সব সময়ে হ্যাঁ বলতে থাকেন, তবে নিজের সব কাজ করার জন্য যথেষ্ঠ সময় পাবেন না। এর ফলে আপনি সব সময়ে একটি চাপের মাঝে থাকবেন। কারণ, সব সময়েই কাজের তুলনায় আপনার হাতে সময় কম থাকবে। একটি কাজের জন্য হয়তো ৩ ঘন্টা সময় রেখেছিলেন, এক বন্ধু ফোন দিয়ে বলল তার জন্য একটা সিভি বানিয়ে দিতে। কারণ, তার নিজের ‘অন্য একটা কাজ’ আছে। আপনার হাতে জরুরী কাজ থাকার পরও আপনি তাকে ‘না’ বলতে পারলেন না। সিভি বানাতে গিয়ে আপনার ১ ঘন্টা সময় লাগলো। এবং এরপর ৩ ঘন্টার কাজটি আপনাকে ২ ঘন্টায় করতে হলো। বন্ধুর সময় বাঁচাতে গিয়ে আপনি নিজের সময় নষ্ট করলেন। তাই হ্যাঁ বলার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে কাজটি করার জন্য আপনার হাতে যথেষ্ঠ সময় আছে কি না। আর তারচেয়েও বড় কথা, আপনি সেই কাজটি করতে চান কি না।
- বিকল্প সমাধান অফার করুন- বিকল্প সমাধান অফার করাটা ‘না’ বলার একটি দারুন উপায় হতে পারে। এতে করে ‘না’ বলার পাশাপাশি, সামনের মানুষটিকেও কষ্ট দেয়া হবে না। এতে করে আপনার ওপর চাপ কমবে। আপনার কাছে যদি কেউ কোনও সাহায্য চায়, যা এই মূহুর্তে করতে গেলে আপনার নিজের কাজ নষ্ট হবে, তাহলে একটি বিকল্প বুদ্ধি দিলে তারও উপকার হবে, সাথে আপনারও উপকার হবে। যখন আপনি কার্যকর কোনও বিকল্প সমাধান দেবেন, তখন আপনি নিজের কাজ ঠিক রেখেও মানুষটিকে সাহায্য করছেন। এই উপায়টি না বলাকে আপনার জন্য অনেক সহজ করে দেবে। আপনি ‘হ্যাঁ’ বলা ছাড়াই সমস্যার সমাধানে অবদান রাখছেন, যা অন্য মানুষটিকেও খুশি করবে। এরফলে আপনার মাঝে কোনও ধরনের অপরাধবোধ জাগারও সুযোগ থাকলো না।
- না- বলার পরে ক্ষমা চাইবেন না- না বলার পর ক্ষমা না চাওয়াটা আপনার কাছে প্রথম প্রথম অস্বস্তিকর লাগতে পারে। কিন্তু কিছুদিন অভ্যাস করলেই ব্যাপারটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। আপনাকে বুঝতে হবে যে, যদি আপনি কাউকে কোনও ব্যাপারে সাহায্য করতে অপারগ হন, তবে আপনার ক্ষমা চাওয়ার কিছু নেই। আপনি তো মিথ্যা বলেননি। ক্ষমা চাওয়ার মানে হলো, আপনি অপরাধ করেছেন, এবং সঠিক কারণে কাউকে ‘না’ বলাটা কোনও অপরাধ না। আপনি ক্ষমা চাইলে একে তো আপনার নিজের মাঝে অপরাধবোধ জাগবে, সেইসাথে যাকে না বলছেন – সে-ও ভাববে যে, আপনি চাইলে কাজটি করে দিতে পারতেন।
- কেন ‘না’ বলতে পারছেন না, তা খুব ভালভাবে বোঝার চেষ্টা করুন – আপনি যদি ভালভাবে বুঝতে পারেন যে কেন আপনার না বলতে এত সমস্যা হচ্ছে, তবে ব্যাপারটা সামলানো আপনার জন্য আরও সহজ হয়ে যাবে। ঠিক কোন কারণে আপনি ‘না’ বলতে পারেন না, তা খুব মন দিয়ে ভাবুন। হতে পারে, অন্যের চোখে আপনি নিচে নেমে যাবেন, অথবা আপনাকে মানুষ খারাপ ভাবতে পারে – এই ভয়ে আপনি ‘না’ বলতে পারেন না। নাকি অন্য কোনও কারণ? খুব ভালভাবে ভেবে কারণটি খুঁজে বের করুন।
- নিজের মূল্য বুঝুন- আপনার নিজের মূল্য কতটা, তা আপনার খুব ভাল করে বুঝতে হবে। ‘না’ বলতে না পারার একটি বড় কারণ অনেকেই নিজেকে অন্যের চোখ দিয়ে মাপে। অন্যের কাছে ভালো মানে নিজে ভালো, অন্যের চোখে খারাপ মানেই নিজে খারাপ। এই ধরনের মনোভাব আসলে আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়। অনেকেই চান না অন্যরা তার ওপরে বিরক্ত হোক, বা অপছন্দ করুক, বা তার ওপরে কোনও কারণে হতাশ হোক। কিছু মানুষের জীবনের একমাত্র চাওয়াই অন্যদের কাছে পছন্দের পাত্র হওয়া। কিন্তু বাস্তবতা হলো একজন মানুষের পক্ষে এটা অসম্ভব। যাই হোক, আপনি যদি অন্যদের চোখে নিজের অবস্থানকে আদর্শ ধরে আপনার নিজেকে পরিমাপ করেন, তাহলে বলতে হয় আপনি নিজের মতামতের থেকে অন্যদের মতামত ও মনোভাবকে বেশি গুরুত্ব দেন।
- কি বলবেন আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন- আপনার যদি আগে থেকেই জানা থাকে যে আপনাকে কেউ এমন কিছু করতে বলতে পারে, যা করা আপনার জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে – তবে কি উত্তর দেবেন, তা আগেই ঠিক করে রাখুন। হঠাৎ করে কিছু বলতে গেলে অনেক সময়ে আমরা ঠিকমত বুঝিয়ে বলতে পারি না। আর সেই অবস্থায় কাউকে ‘না’ করতে সবচেয়ে বেশি ঝামেলা হয়। তাই আপনারও যদি এমন কোনও সমস্যা থাকে, তবে আপনার উচিৎ কথাগুলো আগে থেকে গুছিয়ে রাখা। এতেকরে না করাটা অনেক সহজ হয়ে যায়। প্রয়োজনে আয়নার সামনে প্রাকটিস করুন, যাতে কথাটা শোনা মাত্র জবাব দিতে পারেন। তবে, এটা যে আপনি প্রাকটিস করেছেন, সেটা যেন সামনের মানুষটি বুঝতে না পারে।
বেশি বই পড়লেই কি গুছিয়ে কথা বলা যায়?
জ্বী, বেশি বেশি পড়লে আপনার কথা বলার দক্ষতা বাড়বে। ভাষা সম্পর্কে আপনার জ্ঞান বাড়বে। তাছাড়া না বলতে হলে আপনাকে বুঝিয়ে বলতে হবে। বুঝিয়ে না বলার কৌশল আয়ত্ব করতে আপনি বই পড়তে পারেন। বিভিন্ন ব্লগেও এ ব্যাপারে তথ্য পাবেন। প্রথমত আপনাকে দেখতে হবে না বলতে পারলে আপনার লাভ হয় কিনা বা অন্যের বড় ধরনের ক্ষতি যেন না হয় সেটিকে নজর রাখতে হবে।