শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ নীতিমালা ২০২৫ । কোন কোম্পানি ৩০% এর অধিক লভ্যাংশ দিতে পারবে না? - Technical Alamin
Latest News

শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ নীতিমালা ২০২৫ । কোন কোম্পানি ৩০% এর অধিক লভ্যাংশ দিতে পারবে না?

সূচীপত্র

বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটায় সামগ্রিকভাবে ব্যাংকিং খাতে সৃষ্ট চাপ মোকাবেলা করে ব্যাংকগুলো যাতে দেশের অর্থনীতিতে যথার্থ অবদান রাখতে পারে সে উদ্দেশ্যে ব্যাংকগুলোর মুনাফা যথাসম্ভব অবন্টিত রেখে মূলধন কাঠামো অধিকতর শক্তিশালী ও সুসংহত করার মাধ্যমে পর্যাপ্ত তারল্য বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হওয়ায় ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখের ডিওএস সার্কুলার নং-০১ এবং ১৬ মার্চ ২০২১ তারিখের ডিওএস সার্কুলার লেটার নং-০৭ এর মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ ঘোষণার নীতিমালা জারি করা হয়, যা ডিসেম্বর ২০২০ হতে অদ্যাবধি কার্যকর রয়েছে-শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ নীতিমালা ২০২৫

কেন লভ্যাংশের হার বেধে দেওয়া হলো? বর্তমানে দেশের ব্যাংক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি, আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা, ব্যাংকসমূহের আর্থিক সক্ষমতা এবং ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের রিটার্নের বিষয়টি সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করে ব্যাংকসমূহের শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ বিতরণের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত নীতিমালা অনুসরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানী আইন ১৯৯১ (২০২৩ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ধারা ২২ ও ধারা ২৪ এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময়ে সময়ে জারিকৃত এতদ্‌সংক্রান্ত নির্দেশনাসমূহের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

প্রতি বছরের আয় হতে লভ্যাংশ দিতে হবে? হ্যাঁ। কেবলমাত্র বিবেচ্য পঞ্জিকাবর্ষের মুনাফা হতে নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা যাবে; পূর্বের পূঞ্জীভূত মুনাফা হতে কোন নগদ লভ্যাংশ বিতরণ করা যাবে না। CRR ও SLR ঘাটতিজনিত আরোপিত দন্ডসুদ ও জরিমানা অনাদায়ী থাকা যাবে না। ব্যাংকের শ্রেণীকৃত ঋণ ও বিনিয়োগের হার মোট ঋণ ও বিনিয়োগের সর্বোচ্চ ১০% এর অধিক হবে না। ঋণ, বিনিয়োগ ও অন্যান্য সম্পদের বিপরীতে কোন প্রকার সংস্থান ঘাটতি থাকা যাবে না। প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হতে কোন প্রকার Deferral সুবিধা গ্রহণ করা হলে প্রদত্ত Deferral সুবিধা বহাল থাকা অবস্থায় কোন প্রকার লভ্যাংশ ঘোষণা করা যাবে না ।

ডিভিডেন্ড ঘোষণা সংক্রান্ত প্রতিবেদন (নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী) । নিচের লিংক হতে পিডিএফ ডাউনলোড করুন

Dividend Payout Ratio কি? (ক) নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত শর্তসমূহ সম্পূর্ণরূপে পরিপালনকারী ব্যাংকসমূহের লভ্যাংশ বিতরণের ক্ষেত্রে ঘোষিত লভ্যাংশের পরিমাণ Dividend Payout Ratio এর হার দ্বারা নির্ধারিত হবে। এক্ষেত্রে, Dividend Payout Ratio বলতে ব্যাংকের ঘোষিত লভ্যাংশের পরিমাণ এবং ব্যাংকের কর পরবর্তী মুনাফার অনুপাতকে নির্দেশ করে। ০২নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত শর্তসমূহ সম্পূর্ণরূপে পরিপালনকারী ব্যাংকসমূহ নিম্নরূপে শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ প্রদান করতে পারবে; তবে, ঘোষিত লভ্যাংশের পরিমাণ কোনক্রমেই পরিশোধিত মূলধনের ৩০% (ত্রিশ শতাংশ) এর অধিক হবে না।

Caption: Devidend instruction Bangladesh

লভ্যাংশ ঘোষণা ২০২৫ । প্রভিশন হতে কি লভ্যাংশ প্রদান করা যাবে?

  • প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর পর যে সকল ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে সংরক্ষিত মূলধনের হার ১২.৫% এর কম তবে ন্যূনতম রক্ষিতব্য মূলধন (১০%) এর বেশি হবে সে সকল ব্যাংক, তাদের সামর্থ্য অনুসারে কেবলমাত্র স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে।
  • এ নীতিমালা অনুসারে লভ্যাংশ প্রদানকারী ব্যাংকসমূহকে লভ্যাংশ ঘোষণার ০৭(সাত) দিনের মধ্যে ‘সংযোজনী-ক’ এ প্রদত্ত ছক মোতাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক/সিইও এর স্বাক্ষরে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন (ডিভিশন-২) এ একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
  • এ নীতিমালা ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত বছরের লভ্যাংশ ঘোষণার ক্ষেত্র হতে ব্যাংকসমূহের জন্য প্রযোজ্য হবে। এক্ষেত্রে, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখের ডিওএস সার্কুলার নং-০১ এবং তৎসংশ্লিষ্ট ১৬ মার্চ ২০২১ তারিখের ডিওএস সার্কুলার লেটার নং-০৭ এর নির্দেশনা ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ হতে রহিত বলে গণ্য হবে।
  • কেবলমাত্র ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত বছরের লভ্যাংশ ঘোষণার ক্ষেত্রে ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখের ডিওএস সার্কুলার নং-০১ এর ২(ক)নং অনুচ্ছেদ ও তৎসংশ্লিষ্ট ১৬ মার্চ ২০২১ তারিখের ডিওএস সার্কুলার লেটার নং-০৭ এর নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।
  • তবে, ডিওএস সার্কুলার নং-০১/২০২১ এর ২(খ) নং অনুচ্ছেদের নির্দেশনাসমূহ বাতিল মর্মে গণ্য হবে; অর্থাৎ, প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হতে Deferral সুবিধা গ্রহণকারী ব্যাংকসমূহ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত বছরের জন্য কোন প্রকার লভ্যাংশ বিতরণ করতে পারবে না।

মূলধন পর্যাপ্ততার হার ১৩.৫% এর নিচে নামা যাবে না?

না। যে সকল ব্যাংক প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর পর ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ২.৫% ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১৫.০% মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবে, সে সকল ব্যাংক তাদের সামর্থ্য অনুসারে নগদ ও স্টক লভ্যাংশ বিতরণ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে, তাদের Dividend Payout Ratio সর্বোচ্চ ৫০% এর অধিক হবে না এবং লভ্যাংশ বিতরণ পরবর্তী মূলধন পর্যাপ্ততার হার (ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে সংরক্ষিত মূলধনের হার) কোন ভাবেই ১৩.৫% এর নিচে নামতে পারবে না। যে সকল ব্যাংক প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর পর ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ২.৫% ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১২.৫% এর অধিক কিন্তু ১৫.০% এর কম মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবে, সে সকল ব্যাংক তাদের সামর্থ্য অনুসারে নগদ ও স্টক লভ্যাংশ বিতরণ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে, তাদের Dividend Payout Ratio সর্বোচ্চ ৪০% এর অধিক হবে না এবং লভ্যাংশ বিতরণ পরবর্তী মূলধন পর্যাপ্ততার হার (ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে সংরক্ষিত মূলধনের হার) কোন ভাবেই ১২.৫% এর নিচে নামতে পারবে না;

   
   
   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *