Vat Audit manual bd – নিবন্ধিত না হওয়া- মূসক ব্যবস্থার আওতায় নিবন্ধনযােগ্য হওয়া সত্ত্বেও নিবন্ধন গ্রহণ না করা। বার্ষিক টার্নওভার গােপন করে কর অব্যাহতি সুবিধা গ্রহণ বা টার্নওভার করের আওতায় তালিকাভুক্ত হওয়া কোন কোন করদাতা স্বপ্রণােদিতভাবে বিক্রয় গােপন করে থাকেন। কেননা প্রকৃত বিক্রয়ের হিসাব প্রদর্শন তাদেরকে টার্নওভার সুবিধাভুক্ত শ্রেণীর বাইরে নিয়ে যেতে পারে। এ সকল প্রতিষ্ঠান ভুয়া ক্ৰয় দেখিয়ে অসত্য উপকরণের হিসাব প্রণয়ন করে, প্রকৃত উৎপাদনকে আড়াল করার প্রয়াস পেয়ে থাকে। এসকল কর্মকান্ডে ভুয়া ক্রয় চালানপত্র অথবা ক্যাশ মেমাের ব্যবহার হয়ে থাকে। বিশেষ করে নতুন তালিকাভুক্ত/নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের ছত্রছায়ায় কিছু অসাধু নিবন্ধিত/তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান উপযুক্ত পদ্ধতিতে কর ফাঁকি দিতে পারে। ক্রয় ও বিক্রয় গােপন করা কোন কোন করদাতা স্ব-প্রণােদিতভাবে ক্রয় বিক্রয় গােপন করে বা পারস্পরিক যােগসাজশে কর ফাঁকি দিতে পারে। নতুন নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান, টার্নওভার ও সহযােগী প্রতিষ্ঠান একই উপকরণ ব্যবহারক্রমে করযােগ্য ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত পণ্য/সেবা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এধরনের তথ্য গােপনের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। (ঘ) অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের ক্রয় চালানপত্রের ভিত্তিতে রেয়াত গ্রহণ মূসক ব্যবস্থায় উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণ করতে হলে মূসক নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে উপকরণ ক্রয় বা সংগ্রহ করতে হয়। অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান ভূয়া নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে “মূসক-৬.৩” চালানপত্র ইস্যু করতে পারে।

করমুক্ত পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণকে করযুক্ত পণ্যের উপকরণ দেখিয়ে রেয়াত গ্রহণ মূসক আইনের আওতায় যদি কোন নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত কোন পণ্য কর অব্যাহতির সুবিধাপ্রাপ্ত হয়, তাহলে অব্যাহতিপ্রাপ্ত পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণের বিপরীতে উপকরণ কর রেয়াত সুবিধা প্রযােজ্য নয়। সুতরাং যে সকল নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান একই সাথে অব্যাহতিপ্রাপ্ত এবং করযােগ্য উভয় পণ্য উৎপাদন করে, সে ক্ষেত্রে রেয়াতি সুবিধার অপব্যবহারের আশংকা থাকতে পারে। কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত পণ্য প্রস্তুত করতে যেসব উপকরণ ব্যবহৃত হয় অসাধু নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান তার বিপরীতে উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণ করে কর ফাঁকি দিতে পারে। চালানপত্রে অসত্য ঘােষণা কর ফাঁকি দেয়ার একটি প্রধান প্রক্রিয়া হলাে বিক্রয়/সরবরাহের ক্ষেত্রে পণ্য/সেবার পরিমাণ ও বিক্রয় মূল্য কম প্রদর্শন করে আনুপাতিক কম কর পরিশােধ করা।

নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অপরিশােধিত/ফাকিকৃত কর আদায় ও অনিয়মের বিষয় নিষ্পত্তির লক্ষ্যে প্রাথমিক কর নির্ধারণী সংক্রান্ত কারণ দর্শানাে নােটিশ জারি করা প্রয়ােজন। আইনের অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রাথমিক কারণ দর্শানাে নােটিশ জারি করবেন। কর নির্ধারণ সংক্রান্ত কারণ দর্শানাে নােটিশ জারির বিধান। কারণ দর্শানাে নােটিশ জারিকালে কোন আনুমানিক অংকের উল্লেখ সঠিক ও আইনানুগ হবে না। উক্ত নােটিশ নিরীক্ষা কর্মকর্তাদের প্রতিবেদনের আলােকে গাণিতিকভাবে নির্ণীত সঠিক অংকের ভিত্তিতে করতে হবে। মূল্য সংযােজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ধারা ৭৩ অনুযায়ী করদাতা প্রতিষ্ঠান বরাবর শুনানীর সুযােগ দিয়ে প্রাথমিক কর নির্ধারণী নােটিশ জারি করতে হবে এবং আইনানুগ প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত কর নির্ধারণ করতে হবে এবং নােটিশের সাথে নিরীক্ষা প্রতিবেদনের সংশ্লিষ্ট অংশ সংযুক্ত করতে হবে।

ব্যক্তিক বা কোম্পানি অডিট পদ্ধতি ২০২২ / ভ্যাট রিটার্ণ অডিট ফাইল নিষ্পত্তির নিয়ম ২০২২

কর ফাকিঁর কৌশলগুলো মাথায় রেখেই অডিট পরিচালিত হয় এবং ব্যক্তি বা কোম্পানির ভ্যাট প্রদানের পর এ অডিট পরিচালিত হয়।

Vat Audit manual bd। ভ্যাট অডিট ম্যানুয়াল-২০২২

Vat Audit manual bd। ভ্যাট অডিট ম্যানুয়াল-২০২২ : ডাউনলোড

কর নির্ধারণ সংক্রান্ত কারণ দর্শানাে নােটিশ জারির বিধান কি?

কারণ দর্শানাে নােটিশ জারিকালে কোন আনুমানিক অংকের উল্লেখ সঠিক ও আইনানুগ হবে না। উক্ত নােটিশ নিরীক্ষা কর্মকর্তাদের প্রতিবেদনের আলােকে গাণিতিকভাবে নির্ণীত সঠিক অংকের ভিত্তিতে করতে হবে; (খ) মূল্য সংযােজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ধারা ৭৩ অনুযায়ী করদাতা প্রতিষ্ঠান বরাবর শুনানীর সুযােগ দিয়ে প্রাথমিক কর নির্ধারণী নােটিশ জারি করতে হবে এবং আইনানুগ প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত কর নির্ধারণ করতে হবে এবং নােটিশের সাথে নিরীক্ষা প্রতিবেদনের সংশ্লিষ্ট অংশ সংযুক্ত করতে হবে। কর নির্ধারণ সংক্রান্ত (ক) আইনের ধারা ৭৩ অনুসারে প্রাথমিক কর নির্ধারণী কারণ দর্শানাে নােটিশ জারির জন্য মূল ভিত্তি হবে নিবন্ধিত/নিবন্ধনযােগ্য/তালিকাভুক্ত তালিকাভুক্তিযােগ্য প্রতিষ্ঠানের উপর পরিচালিত মূসক নিরীক্ষা প্রতিবেদন ও উহার সাথে পেশকৃত তথ্য/প্রমাণ/দলিল ইত্যাদি। শুনানীকালে প্রতিষ্ঠানের মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য এবং উপস্থাপিত তথ্যের বিষয়ে তা আইনগতভাবে যথাযথ কিনা এবং বক্তব্য সঠিক না হলে, কেন সঠিক নয় তার বিশ্লেষণ ও পর্যালােচনা চূড়ান্ত কর নির্ধারণী আদেশে থাকতে হবে।

নােট: নিরীক্ষাদলের প্রতিবেদনে যদি গাণিতিক ভুল থাকে বা অন্যকোন আইনসঙ্গত অসঙ্গতি থাকে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট নিরীক্ষা দল/দলের প্রতিনিধিকে দিয়ে তা পরীক্ষাপূর্বক সংশােধন করে নিতে পারবেন। উক্তরূপ মতামত গ্রহণ বা সংশােধনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণকল্পে নিরীক্ষা দলকে লিখিত আদেশ/নােটিশ প্রদান করতে হবে এবং তাদের যুক্তি ও বিশ্লেষণ স্পষ্টভাবে নথিতে লিপিবদ্ধ করে রাখতে হবে। এসকল নিরীক্ষা প্রতিবেদনের করদাবী নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার শুনানীকালে সংশ্লিষ্ট নিরীক্ষা দল/প্রতিনিধিকে আবশ্যিকভাবে শুনানীতে উপস্থিতির নােটিশ দিতে হবে।