শুক্রবার সরকারি ব্যাংক খোলা ২০২৫ । বেসরকারি স্কুল শিক্ষকরা কি বেতন ভাতা তুলতে পারবেন? - Technical Alamin
Latest News

শুক্রবার সরকারি ব্যাংক খোলা ২০২৫ । বেসরকারি স্কুল শিক্ষকরা কি বেতন ভাতা তুলতে পারবেন?

শুক্রবারও খোলা থাকবে ব্যাংক! জনগণের সেবায় নিয়োজিত ৪ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক (সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী) নিরলসভাবে কাজ করে যাবে- শুক্রবার সরকারি ব্যাংক খোলা ২০২৫

রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাংক কি? – রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক হলো সেই সব ব্যাংক, যেগুলো সরকার দ্বারা পরিচালিত হয় এবং এর মালিকানাও সরকারের হাতে থাকে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে সরকারের নীতি ও নির্দেশনা অনুসরণ করে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

বাংলাদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো হলো:
  • সোনালী ব্যাংক লিমিটেড
  • জনতা ব্যাংক লিমিটেড
  • অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড
  • রূপালী ব্যাংক লিমিটেড
  • বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল)
  • বেসিক ব্যাংক লিমিটেড
  • কর্মসংস্থান ব্যাংক

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো পরিচালনা করেন কে?এগুলো সরকারের মালিকানাধীন এবং সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়। এগুলো জনগণের আর্থিক সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত। এগুলোর লক্ষ্য মুনাফা অর্জন নয়, বরং জনগণের কল্যাণ সাধন। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে এই ব্যাংকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে সরকার বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে।

শুক্রবারও লেনদেন করা যাবে / অনলাইন এবং অফলাইনে টাকা উত্তোলন করা যাবে

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ভূমিকা কি? জনগণের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করা। কৃষি, শিল্প ও অন্যান্য খাতে ঋণ সরবরাহ করা। ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা।

Caption: Govt. Bank

বাংলাদেশে সরকারি ব্যাংক বলতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে বোঝায়। এই ব্যাংকগুলোর মালিকানা ও পরিচালনা সরকারের হাতে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৯টি সরকারি ব্যাংক রয়েছে।

  1. সোনালী ব্যাংক লিমিটেড
  2. জনতা ব্যাংক লিমিটেড
  3. অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড
  4. রূপালী ব্যাংক লিমিটেড
  5. বেসিক ব্যাংক লিমিটেড
  6. বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড1 (বিডিবিএল)
  7. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
  8. রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক
  9. প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক

শুক্রবার কেন ব্যাংক বন্ধ থাকে?

সাধারণত, শুক্রবার বাংলাদেশে সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় ব্যাংকগুলো বন্ধ থাকে। তবে কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে, যেমন ঈদ বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উৎসবের আগে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিছু নির্দিষ্ট রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশ দিতে পারে। এই নির্দেশনার উদ্দেশ্য হলো, যাতে সাধারণ মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করতে পারে। শুক্রবার বাংলাদেশে সরকারি ছুটির দিন। তাই, স্বাভাবিকভাবে এই দিনে ব্যাংকগুলো বন্ধ থাকে। ঈদের মতো বড় উৎসবের আগে, মানুষের আর্থিক লেনদেনের সুবিধার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কিছু শাখা খোলা রাখার নির্দেশ দেয়। উদাহরণস্বরূপ, এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা উত্তোলনের সুবিধার্থে ঈদের আগে কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিশেষ পরিস্থিতিতে ব্যাংক খোলা থাকলেও, লেনদেনের সময় সাধারণত সীমিত থাকে। যেমন, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।ব্যাংকের অন্যান্য কার্যক্রম ৩ টা পর্যন্তও চলতে পারে।বাংলাদেশ ব্যাংক, দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনস্বার্থে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।  
   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *