Noakhali Famous For What । নোয়াখালী কিসের জন্য বিখ্যাত
বর্তমান সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও নোয়াখালি জেলার লোক-নোয়াখালী-৫ আসন থেকে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সপ্তম, নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করেন।নোয়াখালী কিসের জন্য বিখ্যাত
নোয়াখালী কিসের জন্য বিখ্যাত? নোয়াখালী বেশ কিছু জিনিসের জন্য বিখ্যাত। ১৯৪৬ সালের নোয়াখালী দাঙ্গা: ভারতীয় উপমহাদেশের বিভাজনের সময় হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘটিত ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক হিংসাচার। মহাত্মা গান্ধীর ভ্রমণ: দাঙ্গা পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য তিনি নোয়াখালী সফর করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ: ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র প্রতিরোধ এবং যুদ্ধ।
জাতীয় সংসদের স্পিকার কোন জেলার? বাংলাদেশের সংসদের প্রধান শিরীন শারমিন চৌধুরী তিনি বাংলাদেশের সর্বপ্রথম নারী স্পিকার এবং একজন বিখ্যাত রাজনীতিবিদ। মোতাহের হোসেন চৌধুরী তিনি একাধারে শিক্ষাবিদ এবং লেখক। শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বর্তমানে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের একজন কমিশনার। আবুল কালাম আজাদ একজন বীর বিক্রম হিসেবে তিনি নোয়াখালী বিখ্যাত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। হেমপ্রভা মজুমদার তিনি ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা হিসেবে পরিচিত। ইঞ্জিনিয়ার ওবায়দুল্লাহ পেশায় এখন মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার। তিনি ইংরেজ শাসিত ভারতবর্ষে অবিভক্ত বাংলার প্রথম মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার। যিনি ১৮৭৬ সনে নোয়াখালী জেলার সুধারন থানার অধীনে সল্লাঘটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আব্দুল মালেক তিনি নোয়াখালী জেলার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, বিজ্ঞ আইনজীবী। তিনি জন্মগ্রহণ করেন নোয়াখালী যাওয়ার সুধারাম থানার রাজাপুর গ্রাম। কাজী গোলাম রসূল তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচারক।
খেজুরের গুড়ের মিষ্টি কি নোয়াখালীর? হ্যাঁ। মনোরম সমুদ্র সৈকত, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, এবং ম্যানগ্রোভ বনভূমির জন্য বিখ্যাত। বৃহত্তম দ্বীপ, ম্যানগ্রোভ বন, লবণক্ষেত্র, এবং সমুদ্র সৈকতের জন্য পরিচিত। শান্ত পরিবেশ, ম্যানগ্রোভ বন, এবং পাখির অভয়ারণ্যের জন্য বিখ্যাত। নোয়াখালীর বিখ্যাত মিষ্টি। পাতলা ভাতের পিঠা, নারকেল ও খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি। খোলাজা পিঠা: চালের গুঁড়ো, নারকেল, ও খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি মিষ্টি হয়।
অন্যান্য জেলার ভাষা হতে নোয়াখালি জেলার ভাষা খুবই অন্যান্য ও পৃথক / একজন নোয়াখালী-কে সহজেই শনাক্ত করা যায় এবং ভাষা শুনেই বোঝা যায় তার বাড়ি নোয়াখালী
ফেরদৌস মজুমদার পেশায় একজন অভিনেত্রী।। মাহমুদুর রহমান বেলায়েত মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার বি এল এফ, বৃহত্তর নোয়াখালী। মোফাজ্জল হায়দার তিনি একজন মরণশীল প্রবন্ধকার, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষক, শিক্ষাবিদ, এবং বুদ্ধিজীবী।। আমিনুল হক তিনি বাংলাদেশের ষষ্ঠ অ্যাটর্নি জেনারেল এবং আইনজীবী এবং প্রমুখ ব্যক্তিত্ব রয়েছে।
Caption: Click For Details
নোয়াখালীর দর্শনীয় স্থান ও বিখ্যাত খাদ্য ২০২৪ । নোয়াখালী কেন এত সুপরিচিত
- নোয়াখালীর ভাষা-নোয়াখালীর ভাষার জন্য এই জেলা বিখ্যাত।
- আতিথেয়তা- নোয়াখালীর মানুষ অত্যন্ত অতিথিপরায়ণতা। আপনাকে খালি মুখে বের হতে দিবে না।
- নোয়াখালীর দর্শনীয় স্থান-নিঝুম দ্বীপ, মুছাপুর ক্লোজার, বজরা শাহী মসজিদ, গান্ধী আশ্রম, ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক, কল্যান্দী জমিদার বাড়িসহ উল্লেখযোগ্য।
- মুছাপুর ক্লোজার-মুছাপুর ক্লোজার প্রথম দেখাতে মনে হবে সৈকত। খানিক পরে ভ্রম কাটবে। এখানে খুঁজে পাবেন নদীপাড়ে সাগরের আবহ।
- বজরা শাহী মসজিদ-নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার উত্তরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে অবস্থিত বজরা শাহী মসজিদ।
- গান্ধী আশ্রম-গান্ধী আশ্রম নোয়াখালীর একটি দর্শনীয় ও ঐতিহাসিক নিদর্শন।
- ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক-নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণে ধর্মপুর গ্রামে দৃষ্টিনন্দন গাছগাছালি পরিবেষ্টিত প্রায় ২৫ একর জায়গাজুড়ে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা করা হয়েছে ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক।
- কল্যান্দি জমিদার বাড়ী-নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলাধীন কল্যান্দি গ্রামে রায় চৌধুরী জমিদার বাড়ীটি অবস্থিত।
- খোলাজা পিঠা -নোয়াখালী জেলার বিখ্যাত পিঠা হচ্ছে ‘খোলাজা পিঠা’। খোলাজালি পিঠা বা খোলাজা পিঠা চালের গুঁড়ার তৈরি একটি বাঙালি পিঠা নোয়াখালীতেই জন্ম এবং নোয়াখালী জেলা থেকেই এর পরিচিতি ছড়িয়েছে সারা বাংলাদেশসহ বহিঃ বিশ্বে। এই পিঠা নোয়াখালী জেলার ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে।
নোয়াখালীর বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের নাম কি?
প্রথমেই যার নাম আসে তিনি হলে ওবায়দুল কাদের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ১৯৫২ সালের পহেলা জানুয়ারি নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার বড় রাজাপুর গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন। এরপর এ.এন.এম মুনীর চৌধুরী তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন শক্তিধর ভাস্কর এবং দক্ষ কারকার। আতাউর রহমান তিনি পেশায় মঞ্চ ও টেলিভিশন অভিনেতা মঞ্চ নির্দেশক এবং লেখক। হবিবুর রহমান তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে স্বীকৃত। চিত্তরঞ্জন সাহা তুমি বাংলাদেশের প্রফেশনাল শিল্পীর একজন পথিকৃত এবং বাংলা একাডেমি বইমেলার উদ্যোক্তা। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল তিনি একাদ্বারে গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক, গায়ক এবং মুক্তিযুদ্ধা হিসেবে পরিচিত। কবির চৌধুরী তিনি হচ্ছেন একজন শিক্ষাবিদ প্রাবন্ধিক এবং অনুবাদক। ঝর্না ধারা চৌধুরী সমাজকর্মী সমাজসেবক এবং নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের সাবেক সেক্রেটারি।