স্মার্টফোন দিয়ে টাকা আয়ের উপায় ২০২৪ । ইচ্ছা থাকলে আপনি মোবাইল দিয়ে এখন ইনকাম করতে পারবেন?

বর্তমানে সকলের হাতেই রয়েছে একটি স্মার্টফোন। দৈনন্দিন কাজে আজকাল স্মার্টফোন ছাড়া চলছেই না, একজন ছাত্র বা ছাত্রী তার কাছেও একটি ভাল মানের স্মার্ট ফোন রয়েছে। যেহেতু অনলাইনে সারাদিনই থাকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এবং বন্ধুদের সাথে প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে কথা বার্তা চলেই তাই অনলাইনে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করা যায়-স্মার্টফোন দিয়ে টাকা আয়ের উপায় ২০২৪

এমন কোন বিজ্ঞাপন বা পোস্ট দেখলেই ক্লিক করে জানতে মন চায় কিভাবে অলাইনে ইনকাম করা যায় সেটি আমিও শিখতে চাই। অনলাইনে টাকা ইনকাম করা এতো সোজা নয়, সেজন্য আপনাকে হতে হবে আরও বেশি দুরন্ধর ও দ্রুতগতি সম্পন্ন চতুর মানুষ। অনলাইনে মোবাইল ফোন দিয়েও টাকা ইনকাম করা যায় এ কথা সত্যি তা আংশিক বা পুরোটা যাই হোক না কেন। UPWORK থেকে কোটি টাকা আয়ে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার। এখন মোবাইল দিয়েই অনেক জটিল কাজ সহজে ও দ্রুত সমাধান করা হয়। স্মার্টফোনগুলো এখন পুরনো বা লো কনফিগার কম্পিউটার হতে অনেক ফাস্ট এবং নির্ভরযোগ্য।

মোবাইল দিয়ে কত টুকু আয় করা সম্ভব? গুগল প্লে স্টোরে কিছু এ্যাপস রয়েছে যেগুলো দিয়ে আপনি একটি স্মার্ট ফোন দিয়েই অনলাইনে আয় করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন এ্যাপসগুলো হতে সাময়িক সময়ের জন্য আয় করা যায় তাছাড়া সেটি একটি ভাল এমাউন্টও নয়। তাই এসব অ্যাপস ব্যবহার করে যে আয় হবে তা বিকাশ বা রকেটের মাধ্যমে আপনার পকেটেও আসতে পারে কিন্তু সেগুলো কোন স্থায়ী ইনকামের উপায় হতে পারে না। যেমন Cash App money, Earn Money এসব এ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখে, গেইম খেলে, সার্ভে, এ্যাপ টেস্ট ইত্যাদি মাধ্যমে ছোট ছোট ইনকাম করতে পারবেন। তবে একটু ভেবে দেখুন আপনি আপনার কাজের দক্ষতা বাড়াতে গেলে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ প্রয়োজন পড়বেই। ইতি কথা এই যে, মোবাইল দিয়ে মাসে ৫-১০ ডলার আয় করা সম্ভব। চাকরির খবর Website হতে মাসে ১.৫ লক্ষ টাকা আয়।

মোবাইল দিয়ে কি লার্নিং সম্ভব? মোবাইল দিয়ে আপনি খুব সহজেই গুগল ব্যবহার করতে পারবেন। তাছাড়া ভয়েজ সার্চিং মোবাইল ব্যবহার করে করা যায়। আপনি মোবাইল দিয়ে ইউটিউব ব্যবহার করে লানিংটা করতে পারেন কিন্তু সেটি প্র্যাকটিজ করতে গেলে অবশ্যই আপনার একটি কম্পিউটার প্রয়োজন পড়বে। মোবাইলের পাশাপাশি আপনাকে অধিকতর প্র্যাকটিজের জন্য কম্পিউটার বা ল্যাপটপ প্রয়োজন পড়বে।

মোবাইল দিয়ে ফেসবুক থেকে আয় করা সম্ভব? হ্যাঁ কম্পিউটার ব্যবহার ছাড়া আপনি শুধু মোবাইল ব্যবহার করেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি কমিউনিটি পেইজ বা যে কোন ক্যাটাগরির একটি পেইজ খুলতে পারেন তা হোক টেকনোলজিক্যাল বা সেলিব্রেটিক্যাল বা নিউজ বা যে কোন সমস্যা সমাধানের পেইজ খুলে যদি আপনি বিভিন্ন আলোচনা বা সমালোচনা করে পেইজটি জনপ্রিয় করে তুলতে পারেন, ১-৫ লক্ষ পর্যন্ত লাইক থাকে আপনার পেইজ এ তাহলে বিভিন্ন মিডিয়া আপনা থেকে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে তাদের কোন নিউজ বা পোস্ট পাবলিশ করার জন্য এবং আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থও বিজ্ঞাপন বাবদ অফার করবে। অন্যদিকে যদি ভিডিও দিয়ে একটি পেইজ জনপ্রিয় করে তুলতে পারেন তা সে হোক দরকার বা হাস্যকার বা কমেডিমূলক তাহলে ফেসবুকে মনিটাইজেশন করেও ইনকাম করতে পারেন। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের প্লাটফর্মে ভিডিও ভিউ কাউন্ট ও অন্যান্য কাইটেরিয়া মিটআপ করলে বিজ্ঞাপন বাবদ অর্থ প্রদান করে যা আপনি কোন ব্যাংক একাউন্টে বা কার্ডে গ্রহণ করতে পারেন। সবাইকে যে এত টাকা দিচ্ছে, গুগল এতো টাকা কোথায় পায়?

মোবাইল দিয়ে কি ইউটিউব হতে আয় করা যায়?

অবশ্যই যায়। এক্ষেত্রে আপনার মোবাইলটি দিয়ে ইউনিক কোন কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। যত ভাল ভিডিও আপনি ক্রিয়েট করবেন ইউটিউবে ততই জনপ্রিয় হবে এটি। আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে ভিডিও জনপ্রিয় করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন, তা সে হোক কমেডি বা বিনোদনমূলক ভিডিও। ইউটিউবের মাধ্যমে গুগল এ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ভিডিও জনপ্রিয় করার মাধ্যমে একটি স্মার্ট মানি ইনকাম করতে পারেন। ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা কামানো যায়।

মোবাইল দিয়ে কি প্রফেশনার ওয়েবসাইটে কাজ করে আয় করা সম্ভব? প্রফেশনাল ওয়েবসাইট বলতে ফাইবার বা আপওয়ার্ক কে বুঝানো হয়। আপওয়ার্ক বা ফাইবার এ কাজ করতে হলে আপনার অবশ্যই একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকতে হবে। মোবাইল ব্যবহার করে হাই কোয়ালিটি’র কাজগুলো কোন কাজ করা সম্ভব না। শুধু তাই না আপনি নিম্ন মান সম্পন্ন কম্পিউটার দিয়েও গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন বা লোগো মেকারের মত কাজগুলো করতে পারবেন না। শুধুমাত্র ডাটা এন্ট্রি বা ওয়েব রিসার্চ সংক্রান্ত কাজগুলো করতে পারবেন।

সব শেষে একটি কথাই বলতে চাই যে, মোবাইল দিয়েও অর্থ ইনকাম করা যায় কিন্তু সেটি সীমিত পরিসরে, তাই একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কিনে ফেলুন এবং শুরু করুন আপনার ফ্রিল্যান্সার নতুন জার্নি।

অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় । ধৈর্য্য ধারণ করে কাজ করে যেতে হবে, শর্টকাট নেই

One comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *