ভূমি খারিজ সময়সীমা ২০২৩ । জমির মিউটেশন করতে কতদিন সময় লাগে?
জমি খারিজ বা মিউটেশনের জন্য ২৮ দিন সময় লাগে – ৪৫ কার্য দিবসের মধ্যে না হলে বা আদেশ না হলে এডিসি (রেভিনিউ) বরাবর আপীল করা যাবে – ভূমি খারিজ সময়সীমা ২০২৩
কি কারণে নামজারি করতে হয়?- ভূমি বা জমির বর্তমান মালিকের মৃত্যুর কারণে উত্তরাধিকারদের নামে সরকারি রেকর্ডে রেকর্ডভুক্ত করতে হলে নামজারি করতে হয়। জমি বিক্রি, দান, ওয়াকফ, হেবা, অধিগ্রহণ, নিলাম ক্রম, বন্দোবস্ত ইত্যাদি সূত্রে হস্তান্তর হলে নতুন ভূমি বা জমি মালিকের নামে রেকর্ডভুক্ত করতে হলে নামজারি করতে হয়। কোর্টের রায়ে জমির মালিকানা লাভ করলে সে রায় মোতাবেক নামজারি করতে হয়।
নামজারীর প্রয়োজনীয় ফি কত টাকা? কোর্ট ফি-২০(বিশ) টাকা। নোটিশ জারী ফি- ৫০(পঞ্চাশ) টাকা। রেকর্ড সংশোধন বা হালকরণ ফি- ১০০০(এক হাজার) টাকা। প্রতি কপি নামজারি খতিয়ান সরবরাহ বাবদ- ১০০(একশত) টাকা।উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে নামজারির জন্য আবেদন করতে হয়। সেখানে নামজারি সহকারী পদের একজন দায়িত্বে থাকেন। নাজির পদের একজন নামজারির জন্য ফি জমা নেন। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাগণ নামজারির তদন্তের দায়িত্বে থাকেন যাদেরকে তহশিলদার বলা হয়।
৭ দিনের মধ্যে কি খারিজ করা সম্ভব? না। সাধারণত একটি ভূমির নামজারি প্রক্রিয়া ২৮ দিনে নিষ্পত্তি হয়ে থাকে। সহকারী কমিশনার ভূমি এই আবেদনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে অফিস সহকারী অনলাইনে এর খতিয়ান প্রস্তুত করে। কয়েকটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে খারিজ বা নামজারি সম্পন্ন হয়ে থাকে।
নামজারি করতে কত টাকা লাগে । নামজারি করতে কি কি লাগে । জমি খারিজ করতে কি কি কাগজ লাগে
সাধারণত একটি ভূমির নামজারি প্রক্রিয়া ২৮ দিনে নিষ্পত্তি হয়ে থাকে। সহকারী কমিশনার ভূমি এই আবেদনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে অফিস সহকারী অনলাইনে এর খতিয়ান প্রস্তুত করে। খতিয়ান প্রস্তুত হলে ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রিসিট) ফি দেয়ার জন্য সিস্টেমে দেয়া মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হবে।
Caption: mutation.land.gov.bd
নামজারি নিয়ম । সব কাগজপত্র থাকলে আপনি অনলাইনেই নামজারি করে নিতে পারেন
- https://mutation.land.gov.bd ক্লিক করে পেইজ ওপেন করুন। অনলাইনে আবেদন করুন ট্যাবে (নামজারি আবেদনের জন্য ক্লিক করুন) এখানে ক্লিক করুন। আপনাকে নামজারি আবেদন করার ফরমে নিয়ে যাওয়া হবে।
- জমি খারিজ বা অনলাইনে নামজারির আবেদন করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় আপনার জনা জরুরী। যেমন আপনি যদি কারো প্রতিনিধি হিসাবে আবেদন করেন তাহলে আবেদন কারীর তথ্য ঘরের নিচে একটি ঘর রয়েছে। আবেদনকারী নিজে না হয়ে প্রতিনিধি হলে এখানে ক্লিক করুন ঘরে টিক মার্ক দিন। আপনার আবেদনটি জরুরী হয়ে থাকলে জরুরী কিন? টিক মার্ক দিন। নথিপত্র আপলোড করার ক্ষেত্রে, এক এক করে আপলোড করতে হবে। নথিটি আপলোড হলে এটি কি ধরণের নথি (দলিল/খতিয়ান/ নাগরিক সনদ) ড্রপডাউন মেনু থেকে সিলেক্ট করে দিতে হবে। প্রথমে যখন আপনি ই নামজারি আবেদন করবেন প্রথমেই কোর্ট ফি বাবদ ২০ টাকা এবং নোটিশ জারি ফি বাবদ ৫০ টাকা মোট ৭০ টাকা অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে। কিছু হয়ে গেলে নিচের “দাখিল” বাটনটি ক্লিক করুন। তাহলে আপনার আবেনদটি সাবমিট হবে এবং আপনার মোবাইলে একটা মেসেজ যাবে। আবেদনটি সাবমিট হলে আপনি একটি আইডি নাম্বার পাবেন। এই আইডি নাম্বার দিয়ে আবেদনের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
- আবেদন অনুমোদন হলে রেকর্ড সংশোধন বা হালনাগাদ ফি বাবদ ১০০০/- ( এক হাজার টাকা) এবং প্রতি খতিয়ান সরবরাহ ফি বাবদ ১০০/- (একশত) টাকা অনলাইনে জমা দিতে হবে। ফি পরিশোধ হয়ে গেলে অনলাইন থেকে কিউআর কোডযুক্ত (কুইক রেসপন্স কোড)) অনলাইন ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রিসিট) সংগ্রহ করতে পারবেন।
- আপনার আবেদন কি অবস্থায় রয়েছে বা কতদূর অগ্রগতি তা অনলাইনে জানতে পারবেন। আবেদনটি বাতিল হয়ে গেলেও কি কি কারণে বাতিল করা হয়েছে তা আপনাকে জানানো হবে।বর্তমানে আপনার নামজারি আবেদনটি কি অবস্থায় আছে তা জানার জন্য ই নামজারি ওয়েবসাইটের হোম পেজে যান। ই নামজারি বা জমি খারিজ আবেদন ট্রাকিং ফরম আপনার বিভাগ, আবেদন আইডি ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নাম্বার এবং নিচের ঘরে পাশের শর্তমত যোগফল বা বিয়োগফল লিখুন। এখন সার্চ করলে আপনার আবেদনটির সর্বশেষ অবস্থা জানা যাবে।
- আপনার নামজারি আবেদন অনুমোদন হলে শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে হবে। শুনানির দিন ধার্য হলে আপনার মোবাইলে একটি মেসেজ যাবে, কত তারিখ শুনানি হবে ও সময় জানিয়ে দেবে। বর্তমানে যে কোন ভুমি মামলার শুনানিতে অনলাইনেও অংশগ্রহণ করা যায়। শুনানিতে আপনি আপনার জরুরী কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত থাকবেন। শুনানি শেষে আপনার নাম জারি বা মিউটেশন এর কাজ শেষ। আপনাকে মোবাইলের মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনাকে।
জমির মালিকানা সূত্র কি কি ভাবে হতে পারে?
জমির মালিকানা কয়েকভাবে হতে পারে। যেমন- প্রকৃত ভূমি মালিকের নিকট থেকে জমি দলিলমূলে ক্রয় করা হয় এটি ক্রয়সূত্রে মালিক। ওয়ারিস সূত্রে মালিক অর্থাৎ ভূমি মালিকের মৃত্যুর পর তাঁর জমিজমা উত্তরাধিকারীগণ প্রাপ্ত হয়। হেবা সূত্রে মালিক অর্থাৎ প্রকৃত ভূমি মালিক কর্তৃক কাউকে কোন জমি দান করা হয়। ডিক্রি সূত্রে মালিক বিজ্ঞ আদালতের রায় ডিক্রিমূলে কোন জমি প্রাপ্ত হয়। নিলাম সূত্রে মালিক অর্থাৎ সরকারি পাওনা অনাদায়ে রুজুকৃত মামলায় বিজ্ঞ আদালতের আদেশে কোন দায়বদ্ধ জমি নিলামের মাধ্যমে বিক্রয় হয়। বন্দোবস্ত সূত্রে মালিক অর্থাৎ সরকারি খাসজমি দীর্ঘমেয়াদি লিজ (সাধারণ ক্ষেত্রে ৯৯ বৎসরের জন্য) নেয়া হয়। অধিগ্রহণ সূত্রে মালিক অর্থাৎ সরকার বা ব্যক্তি উদ্যোগে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন অনুযায়ী সরকার কর্তৃক সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা প্রত্যাশীর অনুকূলে কোন জমি অধিগ্রহণ করা হলে।
ই-নামজারি, জমাভাগ ও জমা একত্রীকরণ বাবদ ফি অনলাইনে প্রদান সংক্রান্ত।
Pingback: জমি ক্রয়ের নিয়ম ২০২৩ । জমি কেনার আগে ও পরে করণীয় দেখুন - Technical Alamin
Pingback: জমি উইল করার নিয়ম ২০২৩ । সম্পত্তি নাবালক কে দান কিভাবে করতে হবে? - Technical Alamin