কোরবানির ঈদ কবে ২০২৪ । ঈদ উল আযহা জুন মাসের ১৬ নাকি ১৭ তারিখ?
সরকারি ক্যালেন্ডার মোতাবেক বাংলাদেশ জুন মাসের ১৭ তারিখ ঈদ উদযাপিত হবে-ঈদ উল আযহা বা কোরবানির ঈদ ৩ দিন অনুষ্ঠিত হয় এবং তিন দিনই গরু কুরবানি হয়ে থাকে-কোরবানির ঈদ কবে ২০২৪
বড় ঈদ মানেই ঈদ উল আযহা– ঈদুল আযহা, যা কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত, ইসলামের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। এই উৎসবটি হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর আল্লাহর প্রতি অসীম বিশ্বাস ও ত্যাগের স্মরণে পালিত হয়। আল্লাহ তাকে স্বপ্নে নির্দেশ দেন তার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস, যা ছিল তার পুত্র ইসমাইল (আ.) কে উৎসর্গ করতে। আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নেওয়ার সময়, আল্লাহ তাঁর ইচ্ছা পরিবর্তন করেছিলেন এবং একটি পশুকে ইসমাইলের বলি হিসেবে প্রেরণ করেছিলেন। এই ঘটনার স্মরণে মুসলমানরা প্রতি বছর পশু কুরবানি করে থাকেন।
কুরবানী ঈদের গুরুত্ব কি? ঈদুল আযহা মুসলমানদের আল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসের প্রতীক। এই উৎসব ত্যাগের গুরুত্বের উপর জোর দেয়। কুরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়: এক ভাগ নিজেদের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়স্বজনদের জন্য এবং বাকি অংশ গরিব ও অভাবীদের জন্য। ঈদুল আযহা আনন্দ ও উৎসবের সময়।
বাংলাদেশে মুসলমানগণ কোথায় শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকে? বাংলাদেশে ঈদুল আযহা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় পালিত হয়। মসজিদগুলোতে বিশেষ নামাজের আয়োজন করা হয় এবং সারা দেশে কুরবানির আয়োজন চলে। ঈদের দিন সকালে ঈদগাহে জামায়েত হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। আপনাকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা! ” ঈদ মোবারক” শব্দটি বিনিময় করে কুলাকুলি বা একে অপরের সাথে আলীঙ্গন করে থাকেন। ঈদের মাঠ থেকে ফিরে গরু কুরবানীর উৎসব শুরু হয়।
২০২৪ সালের ঈদুল আজহা কত তারিখ । কোরবানির ঈদ কবে ২০২৪
বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ৩ দিনই ঈদ উদযাপিত হয়ে থাকে। ঈদের আগে এবং পরের দিনও গরু কুরবানি হয়ে থাকে অর্থাৎ ঈদ উদযাপিত হয়।
Caption: Leave Calendar 2024 Download
ঈদের প্রস্তুতি ২০২৪ । বাংলাদেশে ঈদ কিভাবে পালিত হয়ে থাকে
- ঈদের আগে, মুসলমানরা নতুন পোশাক কেনেন, তাদের বাড়িঘর পরিষ্কার করেন এবং ঈদের খাবার তৈরির প্রস্তুতি নেন।
- ঈদের দিন সকালে, মুসলমানরা ঈদগাহে জমা হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
- নামাজের পর, তারা একে অপরকে ঈদের শুভেচ্ছা জানায় এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সাথে সময় কাটায়।
- ঈদের একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতিনীতি হলো কুরবানি দেওয়া। স্ব-স্ব সামর্থ্য অনুযায়ী গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ বা উট কুরবানি করা হয়।
- কুরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়: এক ভাগ নিজেদের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়স্বজনদের জন্য এবং বাকি অংশ গরিব ও অভাবীদের জন্য।
ঈদুল আযহা পালনের দিন কিভাবে নির্ধারিত হয়?
জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আযহা পালিত হয়। ঈদের সকালে, মুসলমানরা নামাজ আদায় করে, ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে এবং নতুন পোশাক পরে। স্ব-স্ব সামর্থ্য অনুযায়ী গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ বা উট কুরবানি করা হয়। কুরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়। ঈদের দিন আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা করার এবং সময় কাটানোর রীতি আছে। রোজার ঈদে কোন চাকরিজীবী না আসতে পারলেও সাধারণত কুরবানীর ঈদে বাড়ি ফিরে থাকে। তবে যাদের রোস্টার ডিউটি করতে হয় তারা এক ঈদ বাড়িতে এবং অন্য ঈদ অফিসে বা কর্মস্থলে পালন করে থাকে।
ঈদ উল আয়হা ২০২৪ কবে? ঈদুল আযহা ২০২৪ সালে ১৭ জুন, রবিবার পালিত হবে। এই তারিখটি নির্ধারণ করা হয়েছে চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে। জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ: ঈদুল আযহা জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখে পালিত হয়। ২০২৪ সালে, জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ পড়ে ১৬ জুন, শনিবার। সৌদি আরব: সাধারণত, বাংলাদেশ সরকার সৌদি আরবের চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ঈদের তারিখ নির্ধারণ করে। সৌদি আরবে ১৬ জুন চাঁদ দেখা গেছে, তাই ঈদ উল আযহা পরের দিন, ১৭ জুন পালিত হবে। কিছু দেশে, ঈদের তারিখ সৌদি আরবের থেকে একদিন আগে বা পরে পালিত হতে পারে।