New Birth Registration Online application Process 2024 । নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন পদ্ধতি (ভিডিও সহ)
New Birth certificate application – নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন bdris.gov.bd/br/application – জন্ম সনদ
জন্ম সনদ – ২০০০ সনের পরে জন্ম সনদ আবেদন করতে পিতা ও মাতার জন্ম নিবন্ধন তথ্য প্রদান করা বাধ্যতামূলক তাই ২০০০ সনের পূর্বে জন্মগ্রহণকারীদেরও জন্ম নিবন্ধনের প্রয়োজন পড়ছে। সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করতে যেহেতু পিতা/ মাতার জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন আবেদন করতে হচ্ছে।
জন্ম নিবন্ধন ছাড়াই নতুন জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করা যাবে শুধুমাত্র যারা ২০০০ সালের পূর্বে জন্ম গ্রহণ করেছেন। তাই আবেদনের ২য় পর্যায়ে পিতা/মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর* চিহ্ন দেখে ভয় পাবেন না। আপনি অর্থাৎ নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদনকারী যদি ২০০০ সালের পূর্বে জন্ম গ্রহণ করে থাকেন তবে শুধুমাত্র পিতা/মাতার নাম এবং জাতীয়তা তথ্যদিয়েই পরবর্তী ক্লিক করে আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন।
২০০০ সালের পরের ক্ষেত্রে চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যায়ন পত্র (বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত এমবিবিএস বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী) বা সরকার কর্তৃক পরিচালিত প্রথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট এবং শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট জমা দেওয়া চেষ্টা করবেন। পিতা মাতার প্রমানক হিসাবে ডকুমেন্ট যুক্ত করতে হবে।
ঘরে বসে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করুন / নিজেই আবেদন করুন ভুল তথ্য ইনপুট থেকে বাঁচুন।
নিজে আবেদন করলে কি সুবিধা? সুবিধা হচ্ছে ভুল তথ্য ইনপুট হবে না। একবার ভুল তথ্য ইনপুট হলে সেটি সংশোধন করা আরেক প্যারা।
ক্যাপশন: পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন ছাড়াই নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন সম্পন্ন করুন। কিন্তু যারা ২০০০ সালের পরে জন্ম নিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে তাদের পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর প্রদান ও ম্যাপিং আবশ্যিক করা হয়েছে।
নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদের জন্য অনলাইন আবেদন পদ্ধতি ২০২৩
- প্রথমে গুগলে গিয়ে New Birth Registration লিখে গুগল করুন।
- সার্চ রেজাল্ট এ প্রথমে আসা নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন লিংকে ক্লিক করুন।
- জন্মস্থান, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা যে কোন একটি সিলেক্ট করে আবেদন শুরু করুন। অনেকের তিনটি ঠিকানা একই তাই প্রযোজ্যটি সিলেক্ট করুন।
- আবেদনকারীর জন্ম ২০০০ সালের পূর্বে হলে পিতা এবং মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। পরে হলে অবশ্যই দিবেন অন্যথায় শুধু পিতার ও মাতার নাম এবং জাতীয়তা সিলেক্ট করে পরবর্তী ক্লিক করুন।
- কোনটিই নয় সিলেক্ট করে। আপনার স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা হিসেবে (জন্মস্থানের ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা একই) টিক দিন।
- পরবর্তী ক্লিক করুন
- নিজ সিলেক্ট করে মোবাইল নম্বর দিন।
- সংযোজন যুক্ত করুন। নিচের যে কোন একটি ডকুমেন্ট যুক্ত করে পরবর্তী ক্লিক করলেই আপনার সমস্ত তথ্য দেখাবে।
- ভালকরে দেওয়া তথ্যগুলো পড়ে সাবমিট ক্লিক করলেই কাজ শেষ।
- আবেদনপত্র প্রিন্ট করুন এ ক্লিক করে আবেদন পত্র প্রিন্ট করে নিবেন।
- স্বাক্ষর করে ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভায় ফি দিয়ে জমা দিবেন ব্যাস কাজ শেষ। (স্কান করে আপলোড করা সংযুক্তি অবশ্যই যুক্ত করবেন আবেদনের সাথে)
- ৩-৫দিন এর মধ্যে বাংলা এবং ইংরেজী ভাষায় জন্ম নিবন্ধন গ্রহণ করুন।
স্ক্যান করা সংযুক্তি বা ডকুমেন্টের ফাইল সাইজ কোন ক্রমেই ১০০ KB এর উপরে হওয়া যাবে না। উপরে হলে বার বার ট্রাই করলেও আপলোড নিবে না।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন করলে সাধারণ কোন ডকুমেন্টটি লাগে?
যে কোন একটি ডুকমেন্ট বা প্রমানক দিলেই হবে– ০১। চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যায়ন পত্র (বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত এমবিবিএস বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী) বা সরকার কর্তৃক পরিচালিত প্রথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট এবং শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট
২। পিতা / মাতা/ পিতামহ / পিতামহীর দ্বারা স্বনামে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ঘোষিত আবাস স্থলের বিপরীতে হালনাগাদ কর পরিশোধের প্রমানপত্র বা পিতা / মাতা/ পিতামহ / পিতামহীর জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট ঘোষিত স্থায়ী ঠিকানা বা জমি অথবা বাড়ি ক্রয়ের দলিল , খাজনা ও কর পরিশোধ রশিদ। (নদীভাঙ্গন অন্য কোন কারনে স্থায়ী ঠিকানা বিলুপ্ত হলে)
যদি লেখা পড়ে বুঝতে সমস্যা হয় তবে ভিডিও দেখে নিন। অনলাইনে আবেদন করলে নিজের তথ্য নিজেই ইনপুট দিলে ভুল তথ্য ইনপুট থেকে বাঁচবেন। তাই আমি নিজে পরামর্শ দিবো নিজে আবেদন করে আবেদনের কপি ইউনিয়ন পরিষদে জমা দিন তাতে অপ্রত্যাশিত ভুল থেকে বাঁচবেন।
জন্ম নিবন্ধন কোথায় করতে হয়? | জন্ম নিবন্ধন করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে করতে হয়। অথবা অনলাইনে আবেদন করে স্বাক্ষর করে আবেদন পত্র জমা দিলেই হয়।
|
জন্ম নিবন্ধন কখন করতে হয়? | সাধারণত শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করানো উত্তম। তবে শিশুর ৫ বছরের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা সুবিধাজনক। এর বেশি বয়স হলে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অনেক বেশি দিতে হয় যা অত্যন্ত ঝামেলাপূর্ণ। পরবর্তীতে করলেই ৫০-১০০ টাকা ফি গুনতে হয়। |
জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে? | নিজের ক্ষেত্রে প্রথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট এবং শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট জমা দিলেই হয়। পিতা-মাতার পক্ষ থেকে তাদের জন্ম সনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্র। স্থায়ী ঠিকানার প্রমানক। |
https://bdservicerules.info/%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6/
Pingback: জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম ২০২৩ - Technical Alamin