রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক । TAX Return Submit না করলে বন্ধ হবে বেতন?
বাংলাদেশের নাগরিকদের করসীমার উপরে আয় করলে বা সঞ্চয়পত্র ক্রয়কারীকেও রিটার্ণ দাখিল করতে হবে – রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক
ব্যক্তিগত সম্পদের হিসাব সরকারকে দিতে হবে? – রিটার্ন আইটি ১১গ (২০২৩) এর আইটি ১০বি (২০২৩) অংশে করদাতার পরিসম্পদ ও দায়ের বিবরণী রয়েছে। যে সকল স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা নিম্নবর্ণিত শর্তাদি পূরণ করবেন তাদেরকে এই পরিসম্পদ ও দায়ের বিবরণী বাধ্যতামূলকভাবে দাখিল করতে হবে, যথা:- করদাতা যদি গণকর্মচারী হন। করদাতার দেশে ও বিদেশে অবস্থিত মোট পরিসম্পদের মূল্য ৪০,০০,০০০ টাকার অধিক হলে, করদাতার মোট পরিসম্পদের মূল্য ৪০,০০,০০০ টাকার কম অথচ আয়বর্ষের কোন সময় মোটরযানের মালিক ছিলেন অথবা সিটি কর্পোরেশন এলাকার মধ্যে গৃহসম্পত্তি বা অ্যাপার্টমেন্টে বিনিয়োগ করেছেন অথবা বিদেশে কোন পরিসম্পদের মালিক হয়েছেন অথবা কোন কোম্পানীর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক হয়েছেন।
ঠিক কার আবশ্যিকভাবে রিটার্ন দাখিল করতে হবে? করদাতার মোট আয় করমুক্ত সীমা অতিক্রম করলে রিটার্ণ দাখিল করতে হবে। আয়বর্ষের পূর্ববর্তী তিন বছরের যেকোনো বছর করদাতার কর নির্ধারণ হয়ে থাকে বা তার আয় করযোগ্য হয়ে থাকে তবে রিটার্ণ দাখিল করতে হবে। ফার্মের অংশীদার হলে রিটার্ণ দাখিল করতে হবে। কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার কর্মচারী হলে রিটার্ণ দাখিল করতে হবে। গণকর্মচারী হলে রিটার্ণ দাখিল বাধ্যতামূলক। কোন ব্যবসায় বা পেশায় যেকোন নির্বাহী বা ব্যবস্থাপনা পদে বেতনভোগী কর্মী হলে এবং কর অব্যাহতি প্রাপ্ত বা হ্রাসকৃত হারে করযোগ্য আয় থাকলে বাধ্যতামূলক বা আবশ্যিকভাবে রিটার্ণ দাখিল করতে হবে।
রিটার্ন দাখিল না করলে কি হয়? যারা একদমই কর দেন না আর যারা করযোগ্য হওয়ার পরও একেবারেই কর দেন না, তাদের ক্ষেত্রে, তিন ধরনের জরিমানা করা যায়। একটি হল যে পরিমাণ কর বকেয়া হয়েছে সেটি ছাড়াও আরও ২৫ শতাংশ বাড়তি জরিমানা করার বিধান রয়েছে। যে পরিমাণ কর বকেয়া হয়েছে তার উপর ২ শতাংশ হারে মাসিক সরল সুদ। যে পরিমাণ কর বকেয়া হয়েছে তার সমপরিমাণ জরিমানা।
আয়কর রিটার্ন কত টাকা । আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে জরিমানা । শূন্য রিটার্ন দাখিল করার নিয়ম
Here are some photos of the best looking man in Bangladesh / The Most Handsome Man in Bangladesh
আয়কর আইন ২০২৩ এর ২৬৪(৩) (২৭) ধারা দেখুন
গণকর্মচারীদের রিটার্ণ জমা বাধ্যতামূলক । ৪৩ ক্যাটাগরির নাগরিককে রিটার্ণ দাখিল করতে হবে
- সিটি কর্পোরেশন বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি বা বহাল রাখিতে;
- কোম্পানির এজেন্সী বা ডিস্ট্রিবিউটরশিপ প্রাপ্তি ও বহাল রাখিতে;
- আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রাপ্তি ও বহাল রাখিতে;
- আমদানির উদ্দেশ্যে ঋণপত্র খোলায়;
- ৫ (পাঁচ) লক্ষাধিক টাকার পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলায়;
- ৫ (পাঁচ) লক্ষাধিক টাকার সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে;
- ১০ (দশ) লক্ষাধিক টাকার মেয়াদী আমানত খোলায় ও বহাল রাখিতে;
- পৌরসভা, উপজেলা, জেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন বা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে;
- মোটরযান, স্পেস বা স্থান, বাসস্থান অথবা অন্যান্য সম্পদ সরবরাহের মাধ্যমে শেয়ারড ইকোনমিক এক্টিভিটিজে অংশগ্রহণ করিতে;
- ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসনিক বা উৎপাদন কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানকারী পদমর্যাদায় কর্মরত ব্যক্তির বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তিতে;
- গণকর্মচারীর বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তিতে;
- মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেক্ট্রনিক উপায়ে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রিচার্জের মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য কোনো অর্থ গ্রহণ করতে রিটার্ণ দাখিল করতে হবে।
কত তারিখের মধ্যে রিটার্ণ দাখিল করতে হয়?
সাধারণত প্রতি অর্থবছরের এই পাঁচ মাস জরিমানা ছাড়া বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যায়। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যক্তি করদাতারা আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। আয়কর মেলাতেও আয়কর রিটার্ন দাখিল করা যায়। রিটার্ন দাখিলের সময় করদাতা বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসেও রিটার্ন দাখিল করতে পারেন।